আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:১১

না’গঞ্জে আ’লীগ প্রার্থীর ছাড়াছড়ি!

ডান্ডিবার্তা | ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ | ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। বিরোধী দল বিএনপি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে না বলে তফসিল প্রত্যাখান করেছে। কিন্তু নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। সেই সাথে সারাদেশের তুলনায় নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের এমপিরাও প্রস্তুত। এছাড়া বিএনপির অবরোধ বিরোধী মিছিল করে রাজপথে বর্তমান সাংসদ থেকে শুরু করে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে সক্রিয় ভাবে ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন। এদিকে বিএনপি নির্বাচনে আসবে এটি ধরে রেখেই আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তাই কৌশলগত কারণে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী প্রস্তুত থাকবে। সেই হিসেবে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী রাখা হয়েছে। তবে দলীয় সূত্রমতে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের যারা টিকিট পাবেন না এরকম বহু প্রার্থীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর জন্য সবুজ সংকেত দেওয়া হতে পারে। আর এজন্য জেলার ৫টি আসনে আওয়ামী লীগের এমপি মনোনয়ন প্রার্থীরা মাঠে নেমে অবরোধ প্রতিরোধ মিছিলের মাধ্যমে শান্তিসমাবেশ করে নিজের অবস্থান তুলে ধরছেন। কয়েকটি আসনে আওয়ামী লীগের বেশি প্রার্থী থাকায় সেখানে কোন্দল তৈরী হয়ে রয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে দলের মাঝে। অপরদিকে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান ঘোষনা দিয়ে নির্বাচনের প্রচারনায় নেমেছেন গত ১০ নভেম্বর কুতুবপুর লাকিবাজার এলাকা থেকে। যদিও তিনি একাধিক সভা সমাবেশে বার বার বলে আসছে আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে যেন সাংসদ শামীম ওসমানকে মনোনয়ন না দেয়া হয়। তাকে যেন অন্য কোন জায়গায় কাজে লাগানো হয়। কিন্তু তিনিই সকলের আগে মাঠে নেমে মানুষের সাথে কথা বলা শুরু করেছেন। তবে তার আসনে আওয়ামী লীগ থেকে ২০১৮ সনের নির্বাচনে কাউসার আহম্মেদ পলাশ দল থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন। এ নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন চাইতে পারেন। অপরদিকে সদর-বন্দর আসনটি জাতীয় পার্টি থেকে দখল থেকে উদ্ধার চায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বর্তমানে এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম ওসমান। তিনি এখন এমপি হওয়ায় সদর বন্দরের আওয়ামী লীগের নেতারা অবহেলিত বলে আওয়ামীলীগ নেতারা দাবি করেন। আর এজন্য এবারের নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী রয়েছে। তার মাঝে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনা রয়েছেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু। তিনি বন্দরের বাসিন্দা হওয়ায় সদর বন্দরে মনোনয়ন চাইতে পারেন। এছাড়া এখানে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনও দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন এমন আলোচনা রয়েছে। তাছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল নৌকার প্রার্থী দেয়ার দাবী জানিয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছে। সেই সাথে নিজের মত করে সদর বন্দর বিভিন্ন এলাকায় সভা সমাবেশে তিনি ইদানিং বাড়িয়ে দিয়েছেন। সোনারগাঁ আসনটিও ১০ বছর যাবৎ জাতীয় পার্টির অনুকুলে রয়েছে। একই ভাবে এই আসনটিও আওয়ামী লীগ উদ্ধারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে পরে লেগেছে। যদিও সোনারগাঁ আসনে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বেশি প্রার্থী হওয়ায় এখানে দলীয় কোন্দল রয়েছে। এখানকার সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত এবার দল থেকে মনোনয়ন পেতে পুরোদমে মাঠে রয়েছেন। এছাড়া সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সদস্য মাহফুজুর রহমান কালামও দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন তার সমর্থকরা জানিয়েছেন। এছাড়া এরফার হোসেন দীপও মাঠে রয়েছেন। তাছাড়া গত কয়েক দিন আগে সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুল ইসলামও দল থেকে নৌকা চাইবেন বলে সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষনা দিয়েছেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরীও বিভিন্ন ভাবে উকিঝুঁকি মারছেন। দলের মাঝে বলা বলি হচ্ছে এখানে প্রার্থী বেশি হওয়ায় কোন্দল তৈরী হয়েছে। তবে এই কোন্দল নিয়ে জাতীয় পার্টিকে কতটুকু ঠেকাতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আড়াইহাজার আসনটি টানা তৃতীয়বারের মত আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। এখানে কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সাবেক সেক্রেটারি দায়িত্ব পালন করে আসা নজরুল ইসলাম বাবু এমপি হিসেবে রয়েছেন। কিন্তু এ নির্বাচনে তার সাথে পাল্লা দিতে তার দল থেকে একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। তার মাঝে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ আলোচনায় রয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে মমতাজ উদ্দিন মাঠে রয়েছেন। তাছাড়া কৃষকলীগ নেতা হাবিব মোল্লা মাঠে উকিঝুঁকি মারছেন। রূপগঞ্জ আসনে এখনো পর্যন্ত শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে গাজী গোলাম দস্তগীর আলোচনায় রয়েছেন। এ নির্বাচনেরও নিজের অবস্থান ধরে রাখতে তিনি পুরোদমে মাঠে রয়েছেন। তবে তার সাথে প্রতিযোগিতায় থেকে দল মনোনয়ন পেতে আলোচনায় রয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া। রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। কোন আসনে বেশি প্রার্থী থাকায় দলের মাঝে কোন্দল রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ তার নিজস্ব কৌশলগত কারণে প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই হিসেবে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই তাদের প্রার্থী রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মনে করছে যে, বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত করবে এবং ষড়যন্ত্র চক্রান্তের অংশ হিসেবে তারা নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কিন্তু সরকার এ ধরনের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবে না বলে জানা গেছে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ বিএনপি নির্বাচনে আসবে এটি মাথায় রেখে প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় একাধিক প্রার্থীকে প্রস্তুত রাখেন। যদি শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থীরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করবে এমন আলোচনা চলছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা