আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:১২

সোনারগাঁয়ে মহাসড়কে অবৈধ দোকান ভাড়া দিয়ে চাঁদাবাজী

ডান্ডিবার্তা | ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ | ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া বাস স্ট্যান্ডে উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসের সামনের মহাসড়কের একাংশ ভাড়া দিয়ে মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে আয় করছে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের গোহাট্টা গ্রামের মৃত মো. নায়েব আলীর ছেলে সোহেল। ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে নিরবে চালাচ্ছে এ চাঁদাবাজি। শুধু মহাসড়কই নয়, ফুটপাত সম্পূর্ণ দখল করে রেখেছে সোহেল মিয়া। বিষয়টির পুলিশ-প্রশাসন জানে বলেও জানা গেছে। উপজেলার মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ড একটি জনবহুল ও ব্যস্ততম এলাকা। এই এলাকায় ফুটপাত দখল করে হকারদের ভ্রাম্যমাণ দোকান চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৪লেনে উন্নীত হওয়ার পরও হকারদের দখলে চলে গেছে তার বিশাল বড় একটি অংশ। বাহারী দোকান রয়েছে এই ফুটপাত ও মহাসড়কে। তৈরি পোশাক, স্টেশনারি, কাঁচাবাজার, চায়ের দোকান, খাবার ও ফলের দোকানসহ বিভিন্ন নিত্য পণ্যের দোকান। জনবহুল এলাকা হওয়ায় একজন ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সব দোকানই রয়েছে এই ফুটপাত ও মহাসড়ক জুড়ে। বিভিন্ন সময় পুলিশ ফুটপাতে অভিযান পরিচালনা করলেও একটি সংঘবদ্ধ চক্রের কারণে সকল অভিযানই ব্যর্থ হয়ে যায়। ভুক্তভোগীরা জানান, মহাসড়ক ও ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা। মোগরাপাড়া চৌরাস্তার বাসস্ট্যান্ডের আশেপাশে বড় বড় মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলো প্রতিমাসে তাদের ক্ষতিপূরণ গুনছে হকারদের কারণে। ফুটপাতে সব ধরনের পণ্য বিক্রি হওয়ায় খদ্দেররা মার্কেটে প্রবেশ না করে ফুটপাত থেকেই কেনাকাটা করে নেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুটপাতের সাধারণ হকারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফুটপাতে দোকানভেদে চাঁদাবাজ সোহেলকে অগ্রিম দিতে হয় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা। এরপর প্রতিদিন একটি দোকান থেকে চাঁদা আদায় করা হয় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা করে। এভাবে শুধু মহাসড়কের ১৫/২০ দোকান থেকে মাসে গড়ে প্রায় লক্ষাদিক টাকা আদায় করে থাকে এই চাঁদাবাজ সোহেল। এতে করে ক্ষীণ হয়ে গেছে মহাসড়ক। প্রতিনিয়ত যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে, ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মো.নাসির জানান, মোগরাপাড়া চৌরাস্তার মহাসড়ক, ফুটপাত ও ওভারব্রিজ যেভাবে দখল হয়ে আছে, তাতে জনগণের চলাচলের রাস্তা আছে কিনা তা সন্ধিহান। এ কারণে পথচারীদের চলতে হচ্ছে মহাসড়ক দিয়ে। পথচারীরা মহাসড়ক ব্যবহার করায় প্রতিনিয়ত ট্রাফিক জ্যাম ও সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি। উক্ত বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে চাঁদাবাজ সোহেল বলেন, আমি যুবলীগ করি, আমাদের পার্টি আফিসের সামনে দোকানপাট আমরাই বসাইছি। এই দোকানপাট বসানোর ব্যাপারে আমাদের পার্টি অফিসের নেতারা সবাই জানে। ওই পার্টি আফিসের সমস্ত দায়িত্ব আমিই পালন করে থাকি। ওই ভাসমান দোকানপাট থেকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণের চাঁদা তোলা হচ্ছে। ওই চাঁদার টাকা তুলে আমাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামের জন্য খরচ করে থাকি। আমাদের পার্টি আফিসের উল্টোপাশের যে দোকানপাট বসানো হয়েছে সেগুলো বিএনপির লোকেরা বসাইছে, তারা ওখান থেকে প্রতিদিন চাঁদা তুলে। চাঁদাবাজ সোহেল আরও বলেন, আপনি আমাদের অফিসে আসেন চায়ের দাওয়াত রইল। এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল হক জানান, মোগরাপাড়া বাস স্ট্যান্ডের উভয় পাশের মহাসড়কের বাই লেন দিয়ে যান চলাচল করবে। এ মহাসড়কে কোনো দোকানপাট বসানো যাবেনা। সুনির্দিষ্ট চাঁদাবাজির অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যথা শীঘ্রই আবারও এসব দোকানপাট উচ্ছেদ করা হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা