আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:১৮

বিএনপির কবর রচনা করব: এম এ রশিদ

ডান্ডিবার্তা | ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ | ১:৪২ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আর ছার দেয়া হবে না। কবর রচনা করে সারা দেশে ইতিহাস করে দিব যে আমরা কবর রচনা করলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদের এমন কঠোর হুশিয়ারি ও অবস্থানকে আমলে নিয়ে বন্দরের রাজপথের ত্যাগী নেতাদেরও দেখা মিলেছে না। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রেক্ষিতে আগামী রোববার ও সোমবার টানা হরতালের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এর আগেও বিএনপির টানা ৫ম’ বারের মত অবরোধের সময়ও রাজপথে দেখা মিলেনি বিএনপির সক্রিয় পদদারী নেতাদের। বিএনপির ডাকা অবরোধের ১ম ধাপে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে মদনপুর চৌরাস্তায় শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ সত্তুর্দ্ধো বয়সের হলেও ষোলর্দ্ধোর মত বক্তব্যে হঠাৎ কঠোর অবস্থানে রীতিমত অনেকটা চিন্তিত বিএনপিসহ নিজ দলীয় আতাতকারীরা। তার এমন কঠোর অবস্থান ও হুশিয়ারীর পরে নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা পক্ষ খেলছেন নতুন খেলা। শুরু করেছেন নানা কৌশল। যা গত ৬ নভেম্বর হতে বন্দরের মদনপুর চৌরাস্তায় শান্তি সমাবেশ অশান্তির দেখা মিলে। বর্ষীয়ান নেতার এমন কঠোর অবস্থান ও যারা পদে আশার ১ ঘন্টা আগেও জানতো না সেই নেতারা। যা বর্ষীয়ান নেতা এম এ রশিদ তার বক্তব্যে অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে সেখানে আমার সেক্রেটারি, ভাইস চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন তারপরও সেখানে কোন প্রতিবাদ হয়নি। সেখানে আমার কিছু বলার থাকে না। আমি ধর্য্যশীল। ধর্য্যশীল ব্যাক্তিকে আল্লাহ পছন্দ করেন। তবে ধর্য্যেরও একটা সীমা আছে। ধর্য্যের সীমা অতিক্রম করলে জনগণ, দেশ, জাতির স্বার্থে কাউকে এক বিন্দু ছাড় দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, আপনি সামান্য একজন মুদির দোকানদার, ২টি অটোরিকশা আছে। আপনিও গাড়ীতে আগুন দেন। আমি বলবো আপনি হতদরিদ্র মানুষ। আপনি কিভাবে গাড়ীতে আগুন দেন। আমার কাছে সকল খবর আছে। আর যদি আপনি এমন কোন কাজ করার চিন্তাও করেন, তাহলে আপনার দোকান, গাড়ী, বাড়িঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিব। আর ছাড় দেয়া হবে না। ১৫ বছর আরাম আয়েশে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন। আমরা বা আমার দলের লোকজন কোন ডিস্টার্ব করেনি। এখন দেখি আপনাদের আসল রুপ। মনে করছেন দল ক্ষমতায় এসে পড়েছে। আরে ভাই দল ক্ষমতায় আনার জন্য অগ্নি সন্ত্রাসী কেন। প্রশাসন কি করবে জানি না, আমার দলের লোকজনও এক বিন্দু পরিমান ছাড় দিবে না। আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এম এ রশিদের এমন কঠোর অবস্থান ও আক্ষেপে বিএনপিসহ নিজ দলীয় অর্ধ ডজন নেতা রয়েছে আস্থা অর্জনের দিকে। বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ধারাবাহিকভাবে পাল্টাপাল্টি মদনপুর স্ট্যান্ডের উত্তর ও দক্ষিন পার্শে পৃথকভাবে আলাদা মঞ্চ বানিয়ে পৃথকভাবে শান্তি সমাবেশ করছে উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের নেতারা। মদনপুর ষ্ট্যান্ডের উত্তর পার্শে উপজেলা আ’লীগের ব্যানারে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি গাজী এমএ সালাম শান্তি সমাবেশ করছে অপরদিকে একই ব্যাানারে দক্ষিন পার্শে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদের নেতৃত্বে শান্তি সমাবেশ করছে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। এতে করে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মনে নানা আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হচ্ছে। আওয়ামীলীগের কেউ কেউ বলছে তবে উপজেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে দুই গ্রুপের দ্বন্দ এতদিন প্রকাশ্যে না এলেও মদনপুরে আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে পৃথক মঞ্চের সমাবেশ এখন বরাবরই দৃশ্যমান হল। যা দলের জন্য কখনো কল্যান বয়ে আনবেনা। একই স্থানে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের পৃথক মঞ্চ নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীসমর্থকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এতে ক্রমেই উপজেলা আওয়ামীলীগে বিভাজনের সুর ঘনিভূত হচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামীলীগের এক নেতা জানান, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে একই স্থানে পৃথক মঞ্চ সত্যিই ভাঙ্গনের একটি ইঙ্গিত। তবে দলের এমন সময়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করাই বাঞ্চনীয়। মদনপুরে একই স্থানে উপজেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে পৃথক মঞ্চ তৈরী করে আলাদা আলাদা সমাবেশ করা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ তৈরী হচ্ছে। তবে আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে অশান্তির সুর বাজছে। সালাম চেয়ারম্যানের কিছু কড়া বক্তব্যের কারনে কারো কারো গাত্রদাহ হয়েছে বলে যতটুকু শুনলাম। সম্ভবত এসব কারনেই তারা পৃথকভাবে মঞ্চ করেছে। তবে সামনে নির্বাচন। বিএনপি-জামাত দেশে নাশকতা করছে। এমন সময়ে দলের মধ্যে অর্ন্তদ্বন্দ শুভা পায় না। আমরা একই পতাকাতলে সকলে মিলে মিশে থাকতে চাই। তবে আলীনূর একজন ছাত্রলীগের নেতা হয়ে যে বেফাঁস মন্তব্য করেছে তা ঠিক না। তেমনি আবার যারা বসে থেকে চুপ থাকা মানে আস্ফালন দেয়া। আলীনুর মাস্টারমাইন্ড হিসেবে খেলে গেছে, দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হলেই বা তার যেমন কিছু আসে যায় না। তেমনি কাজিম, শান্তা, নাজিম উদ্দিন, মূহিদ ভূইয়ারাও একই। দলের এমন সময়ে বিভাজন সৃষ্টি কারীদের সনাক্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা আওয়ামীলীগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তৃনমূল।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা