অনলাইনে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার প্রতি দেশবাসী যখন আকৃষ্ট হচ্ছে তখন একটি প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমনই এক প্রতারক চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ভাবে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে একটি চক্র বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানীর নামে মোবাইল বিক্রির কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের জিম্মি করে আরো টাকা হাতিয়ে নেয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই সকল প্রকাশ্য প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটাই দাবি ভ’ক্তভোগীদের। প্রথমে মোবাইল বিক্রির কথা বলে যৎ সামান্য টাকা ডেলিভারী চার্জ হিসাবে নিয়ে পরবর্তিতে বিভিন্ন বাহানায় টাকা নিতে থাকে। আর সাধারণ ক্রেতারা তখন পূর্বের টাকা পওয়ার আশায় এদেন কথামত টাকা দিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। এই চক্রের হোতার নাম এনামুল ইসলাম রনি। অনুসন্ধানে তার ওয়ার্ডঅ্যাপ নাম্বার ও জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার পাওয়া গেছে। রনির ওয়ার্ডঅ্যাপ নাম্বার ০১৯০৫৫০৪৭৪১ ও তার এনআইডি নাম্বার ৫৫৬১৮১০০২৮ যা আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, ফেসবুকে পেজ খুলে কখনো টিএম মোবাইল আবার কখনো মা মোবাইল, বিডি মোবাইল ও বিডি মোবাইল গ্যালারীসহ বিভিন্ন নামে তারা মোবাইল বিক্রির কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমনই এক চক্রের হোতা এনামুল ইসলাম রনি তার ফেসবুক একাউন্টে ভিভো ২৭ মডেলের মোবাইল প্রথমে মাত্র ৪ হাজার টাকায় বিক্রির অফার দিলে ভোক্তভোগী একাধিক ক্রেতা ০১৬০৪৯৭৮৮২০ নাম্বারে প্রথমে ৫২০ টাকা ডেলিভারী চার্জ হিসাবে বিকাশে পাঠানোর কথা বলে বাকি সাড়ে ৩ হাজার টাকা মোবাইল ও ৫টি গিফট আইটেমসহ পার্সেল হাতে পেলে প্রদান করনের কথা বলে। পরবর্তিতে দেখা যায়, এই রনি একই নাম্বার থেকে ফোন করে বলেন, আপনার পার্সেল এলে উক্ত নাম্বারে বাকি সাড়ে ৩ হাজার টাকা পরিশোধ না করলে পার্সেল ছাড় করানো যাচ্ছে না। উক্ত পার্সেলটি ভারতীয় বলে উল্লেখ করলে ভ’ক্তভোগী জানান, চোরাই মোবাইল হলে সে কিনবে না। তখন রনি বলে কোন অবস্থাতেই এইসব মোবাইল চোরাই নয়। বরং ভারত থেকে আমদারীকৃত। পরবর্তিতে সাড়ে ৩ হাজার টাকা প্রদানের পর কথিত ডেলিভারীম্যান ০১৮৭৪৫৫২৪৪৪ নাম্বার থেকে ভ’ক্তভোগীকে জানান, পার্সেল ছাড়ানোর জন্য ২২৫০ টাকা দিলে সেই টাকা ডলারে কনভার্ট করে পার্সেল ছাড়িয়ে ২ হাজার টাকা ভ’ক্তভোগীকে ফেরত দেয়া হবে। ভ’ক্তভোগী ইতিমধ্যে ৪ হাজার টাকা প্রতারকদের কথা বিকাশ করে দেয়ার কারণে বাধ্য হয়ে পুনরায় ২২৫০ টাকা বিকাশ করেন। এরপর ম্যানেজার পরিচয়দানকারী এনামুল ইসলাম রনি তার এনআইপি নং ৫৫৬১৮১০০২৮ নাম্বারের আইডি ওয়ার্ডসঅ্যাপে পাঠিয়ে বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা চালায়। কিন্তু পূর্বের ৬হাজার ২৫০ টাকা আর ফেরত না আসায় রনির দাবিকৃত আরো ৪ হাজার টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে একের পর এক ওয়ার্ডস্যাাপের ভয়েজ ম্যাসেজ পাঠিয়ে টাকা দাবি করতে থাকে। এভাবে রনির ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই সর্বশান্ত হচ্ছে। জানা গেছে, রনি ভারতীয় চোরাকারবারী চক্রের অন্যতম সদস্য। এভাবে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষকে সর্বশান্ত করছে। এ ব্যপারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে র্যাবের হস্তক্ষেপ চেয়েছে ভ’ক্তভোগীরা।