চাচা-ভাতিজার অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাইনবোর্ড রঘুনাথপুরবাসি
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ভুইগড় রঘুনাথপুর এলাকায় চাচা রুহুল আমীন মুন্সি ও ভাতিজা ইমরান বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। কখনো আওয়ামী লীগ কখনোবা বিএনপির নাম ব্যবহার করে এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাদক ব্যবসা, থেকে শুরু করে নানা অপকর্মের হোতা এই চাচা রুহুল আমিন মুন্সী ও ভাতিজা ইমরান হোসেন। এদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় রয়েছে একাধিক মামলা, অভিযোগ ও জিডির পাহাড়, গত এক মাসে ফতুল্লা মডেল থানায় চাচা রুহুল আমীন এবং ভাতিজার বিরুদ্ধে হয়েছে দুইটি মামলা ও পাঁচটি অভিযোগ। মামলাটি চাচা রুহুল আমীন ভাতিজার বিরুদ্ধে এবং ভাতিজা ইমরান চাচার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলে মামলা দুটি করেন এবং পাঁচটি অভিযোগ দায়ের করেন চাচা ভাতিজা। চাচা রুহুল আমিন মুন্সির মামলায় ইমরান হোসেন গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে রয়েছেন, সাইনবোর্ড মিতালী মার্কেট সংলগ্ন রঘুনাথপুর এলাকায় আশপাশে মিনি প্রায় ২০টির মত গার্মেন্ট গড়ে উঠেছেন। এ সকল গার্মেন্টস গুলোতে চাচা রুহুল আমিন ও ভাতিজা ইমরান বাহিনী মিলে চালাচ্ছে চাঁদাবাজির মহা উৎসব। নাম না বলতে ইচ্ছুক গার্মেন্টস মালিকরা জানান এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে প্রতিমাসে প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার ঝুট নিয়ে যায় রুহুল আমিন মুন্সী ও ইমরান বাহিনী। এদেরকে কিছু বলতে গেলে নানা হুমকির মুখে পড়তে হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিকদের, তাছাড়াও অনেককে এই মর্মে হুমকি প্রদান করেন যে আমাদের ছাড়া অন্য কাউকে ঝুট দিলে এলাকায় গার্মেন্টস ব্যবসা বন্ধ করে দিব এই ভয়ে অনেকে মুখ খুলেন না। প্রায় বছর খানেক ধরে এভাবেই চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে সাইনবোর্ড মিতালী মার্কেট সংলগ্ন রঘুনাথপুর এলাকায় গড়ে ওঠা মিনি গার্মেন্টস গুলোতে। ভাতিজা ইমরান গ্রেফতার হলেও চাচা রুহুল আমীন এখন রয়েছেন বহাল তরবিয়াতে তাই এলাকাবাসী ও সাধারণ মানুষের দাবী অচিরেই চাচা ভূমিদস্যু রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে এলাকায় শান্তি ফিরে আন দাবি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও ফতুল্লা মডেল থানার ওসির কাছে।