আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:৩৯

মাঠে সরব নৌকার প্রার্থীরা

ডান্ডিবার্তা | ২১ নভেম্বর, ২০২৩ | ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিএনপি-জামায়াত এবং ইসলামী ঐক্যজোট নির্বাচনে না এলে দেশের প্রায় সব আসনেই নির্বাচিত হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। আর এই বিজয়ের জন্য কোনো রকম কারচুপি করতে হবে না বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল। তাই সরকার যতোই এসব দলকে বাদ দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলুক না কেনো জনপ্রিয় এসব দলবে বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে এই নির্বাচন দেশের মানুষের কাছে তো বটেই বিদেশেও এক তরফা নির্বাচন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং গ্রহনযোগ্য হবে না। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই নির্বাচনকে একটি একতরফা নির্বাচন হিসাবেই দেখবে বলে নারায়ণগঞ্জবাসী মনে করেন। এ বিষয়ে গতকাল নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে আলাপকালে তারা এমন মন্তব্য করেন। নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেইট এলাকায় কথা হয় দেওভোগ পাক্কা রোড নিবাসী মহিউদ্দিন পাটোয়ারীর সাথে। তিনি বলেন, নির্বাচন যে কি হবে সেটা তো বুঝাই যাচ্ছে। তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন মাঠে কি আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো দল আছে? অন্তত নারায়ণগঞ্জে তো আমরা এমন কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। তাহলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাটা হবে কার সাথে। তিনি বলেন পরিষ্কার ভাবে একটি কথাই বলা যায় বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন যদি শতভাগ সুষ্ঠুও হয় তাহলেও পাঁচটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হবে। কারণ দেশে দুটি দলের ভোট রয়েছে প্রায় সত্তর শতাংশ। আর এই দুটি দল হলো বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। তাই এই দুই দল নির্বাচনে অংশ না নিলে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে যাবে না। আর আওয়ামী লীগ যেহেতু একাই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তাই এই দলের দশ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে গেলেও তারাই জিতবে। কারণ তৃনমূল না কি জানি আরো যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের তো এক শতাংশ ভোটও নেই। সরকার যদি জোর করে তাদেরকে জিতায় তাহলে জিতবে। নইলে সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ জিতবে না। আর এবারের নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশ নিতো তাহলে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনেই পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। তাই আমরা মনে করি দেশে আবারও একটি একতরফা নির্বাচনই হতে যাচ্ছে এবং এই নির্বাচনে জয়ী হবে আওয়ামীলীগ। অপরদিকে চাষাঢ়া শহীদ মিনার এলাকায় কথা হয় ফতুল্লা থানার মাসদাইর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিম মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, নির্বাচন আর কি হবে সেটাতো বুঝাই যাচ্ছে। এবার তো মনে হয় জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে যাবে না। আর যদি জাতীয় পার্টি যায়ও তারাও জিততে পারবে না। কারণ সরকার বিএনপিকে বাদ দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনই করতে চাইবে বলে আমার মনে হয়। কারণ অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন করার জন্য বিদেশীর প্রবল চাঁপ রয়েছে। তাই সরকার অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন না করলেও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করবে বলে আমার মনে হয়। কারণ সরকার সেটা বিদেশীদের দেখাতে চাইবে। আর সেই নির্বাচনে জনগন ভোট দিতে যাবে না, জয়ী হবে আওয়ামী লীগের প্রায় সব প্রার্থী। এদিকে একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন শহরের বালুর মাঠের স্ট্রিটফুড বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন। তিনি বলেন, আমার তো মনে হয় এবারের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে না। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে কিছু লোক নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা জাতীয় পার্টির প্রার্থী হবে না এবং তাদেরকে সরকার জিতিয়ে না দিলে তারা জিততে পারবে না। তাই এবারের নির্বাচন কারো কাছেই গ্রহনযোগ্য হবে না। তবে নির্বাচনটি সরকার করে ফেলবে বলেই মনে করি এবং নির্বাচনে নৌকার সমর্থক ছাড়া অন্য কেউ মাঠে থাকবে না। এরই মাঝে গত দুই সপ্তাহে এমনটাই দেখা গেছে। নারায়ণগঞ্জ শহরে শুধু আওয়ামী লীগ আর নৌকার মিছিল হচ্ছে। তাই এই অবস্থায় নির্বাচন হলে সাধারণ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নেয়া সহজ হবে না বলেই আমরা মনে করি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা