আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৩৬

সোনারগাঁয়ে মনোনয়ন বাজেয়াপ্ত হওয়ার মত নেতারাও নৌকা চান!

ডান্ডিবার্তা | ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ | ১০:০০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে সোনারগাঁ আসনে মনোনয়ন কেনার হিরিক পড়েছে। নেতা থেকে শুরু করে কর্মীরা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে। যাদের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে আবার যাদের মনোনয়ন বাজেয়াপ্ত হয়েছে তারাও রয়েছে মনোনয়ন সংগ্রহের তালিকায়। তবে মনোনয়ন সংগ্রহ করে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার সবার অধিকার থাকলে এমন কিছু নেতাকর্মী মনোনয়ন কিনেছেন তারা নির্বাচনে বিজয়ী তো দুরের কথা সাধারণ জনগন তাদের চিনেন না। তবে ভোটারা বলেছেন মনোনয়রপত্র তাদেরই কেনা উচিত যারা জনগনের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। রয়েছে ভোট ব্যাংক। জানাগেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্টিত হবে আগামী ৭ জানুযারী। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান ক্ষমতাশীন দল আওয়ামীলীগসহ তাদের সমমনা দলগুলো মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সোনারগাঁয়ে জাতীয়পার্টি ও আওয়ামীলীগের ১৬ জন মনোনয়ন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন কিনেছেন ১৫জন। এদের মধ্যে নেতা থেকে শুরু করে কর্মীও রয়েছেন। এরা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়াামী লীগের সাবেক সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা বাবলি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির সদস্য এ এইচ এম মাসুদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মোবারক হোসেনের ছেলে এরফান হোসেন দীপ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান উপ-কমিটির সদস্য দীপক কুমার বনিক দীপু, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ও তার সহোদর সোনারগাঁ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো. বাবুল ওমর বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফুল ইসলাম ঝলক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনির হোসেন, আওয়ামী লীগের সমর্থক আনোয়ার হোসেন, জসিমউদ্দিন ও মতিন খাঁন। এ ব্যাপারে নেতাকর্মীরা জানান, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে যারা আওয়ামীলীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তাদের মধ্যে সাবেক এমপি কায়সার হাসনতের অবস্থান প্রথম। কারণ ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ৮২ হাজার ভোটে বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিমকে পরাজিত করছিলেন। তাকে মনোনয়ন দিলে সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন মাহফুজুর রহমান কালাম। কারণ মাহফুজুর রহমান কালাম গত তিনবার উপজেলা নির্বাচনে হিসেবে নির্বাচন করছিলেন। সেই নির্বাচনে ৩বার পরাজিত হলেও তার রয়েছে বিশাল কর্মী বাহিনী ও ভোট ব্যাংক। মনোনয়ন পেলে হয়তো সেই ভোট ব্যাংক ও কর্মীদের দ্বারাই নির্বাচিত হতে পারেন। এরপর রয়েছেন এরফান হোসেন দীপ। তিনি সাবেক এমপি মোবারক হোসেনের ছেলে। দীপ গত ৪ বছর ধরে নৌকার মনোনয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। অল্প দিনে তিনি সারা উপজেলা তৈরী করেছেন কর্মী বাহিনী। অপরদিকে বাবু ওমর রয়েছেন নৌকার দাবিদার। তিনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি গত উপজেলা পরিষদে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করছিলেন। নৌকার অরেক দাবিদার তার ভাই মোশারফ হোসেন। তিনি কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি গত এক বছর ধরে নৌকার মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাপ করছেন। তিনি কাঁচপুরের চেয়ারম্যান হলেও উপজেলায় নেই তার বিচরন। এরপর ডাক্তার আবু জাফর চৌধুরী বিরু রয়েছেন। তিনি গত ১০ বছর ধরে নৌকার মনোনয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি প্রতিটি উপজেলায় কম বেশী কর্মী তৈরী করেছেন। তবে ভোটের রাজনীতিতে তেমন এগুতে পারেননি। অপরদিকে এইচএম মাসুদ দুলাল ও রয়েছেন দীপক কুমার বনিক। তারা দুজনই কেন্দ্রে রাজনীতি করেন। তবে বিভিন্ন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে রয়েছে তাদের সম্পৃক্ততা। সারা উপজেলার ভোটের রাজনীতিতে তারা তেমন সুবিধা করতে পারেননি। এদিকে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পত্র কিনেছেন সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া ও তার ছেলে মারুফুল ইসলাম ঝলক। সামসুল ইসলাম ভুইয়া নৌকা প্রতিক পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ভোটের রাজনীতি ও নেতাকর্মীতে তিনি রয়েছেন অনেক পিছিয়ে যার কারণে তার নিজস্ব ভোট কেন্দ্রে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক পরাজিত হয়েছিল। একই অবস্থা তার ছেলের ক্ষেত্রে রাজনীতিতে সে সবচে নতুন মুখ। তারপরও তিনি মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করছেন। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা বাবলি। তিনি সংরক্ষিত মহিলা এমপি ছিলেন। তিনি সোনারগাঁ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। সোনারগাঁয়ে ভোটের রাজনীতিতে নেই তার সম্পৃরতা। অপরদিকে মনির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মতিন খাঁন ও জসিমউদ্দিন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। আনোয়ার হোসেন ইউপি সদস্য পদে পরাজিত হয়েছিলেন। মনির হোসেন সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতে চাচা। ভোটের রাজনীতিতে তিনি নবীন। জসিমউদ্দিন ও মতিন খাঁ কখনোই সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগে দেখা যায়নি। তারাও আওয়ামীলীগের নৌকার দাবিদার।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা