ভালো নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন মৌনব্রত অবলম্বন করছে। নির্বাচন নিয়ে তেমন কোন কথাবার্তা বলছে না। কিছুদিন আগেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে নির্বাচনের ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রাসী এবং তৎপর ছিল। একের পর এক মার্কিন প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। উজরা জেয়া থেকে শুরু করে ডোনাল্ড লু কেউই বাদ যায়নি। এমনকি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে ওয়াশিংটনে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন ব্লিনকেন। সেখানে নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ এবং সতর্কবার্তা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই ২৮ অক্টোবরের পর থেকে অনেকটাই চুপসে গেছে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যতবার প্রশ্ন করা হচ্ছে ততবারই ম্যাথিউ মিলার উত্তর দিচ্ছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর বাইরে তারা কোন কথা বলছেন না। বিভিন্ন সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিসাবে তিনি যতগুলো প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন, সবগুলো প্রশ্নে একই রকম উত্তর দিচ্ছেন। আজও তিনি একই উত্তর দিয়েছেন। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় এবং নির্বাচনের পরিস্থিতি যাচাই বাছাই করতে চায়৷ যদি শেষ পর্যন্ত, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ভোটারদের অংশগ্রহণ থাকে তাতে, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কগুলো আরও জোরদার করবে। অন্যদিকে যদি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হয়, নির্বাচনে যদি কোন কারচুপি হয় কিংবা ভোটারদের অংশগ্রহণ কম হয়, সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারে বলেও অনেক কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি রকমের হস্তক্ষেপ না করার জন্য ভারতের পক্ষ থেকেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওয়াশিংটনে গিয়ে জো বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বৈঠক করেন। এমনকি জি-২০ সম্মেলনে যখন নরেন্দ্র মোদির জো বাইডেনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, সেখানেও তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কথাবার্তা বলেন। এছাড়াও টু প্লাস টু সম্মেলনে এস জয়শঙ্কর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন এর সাথে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে ভারতের সুস্পষ্ট অবস্থানের কথা বর্ণনা করে। এরকম একটি প্রেক্ষাপটে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষার করার নীতিগত কৌশল নিয়েছে বলে কূটনীতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সূত্র: ইনসাইডার বাংলাদেশ