আন্দোলনই থাকবে বিএনপি!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতায় নেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দূর্নীতির মামলায় প্রায় তিন বছর জেলে থাকার পর বর্তমানে অসুস্থতার কারনে তাকে প্যারলে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে বর্তমানে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান কিন্ত তিনিও মামলার কারনে দেশে আসতে পারছে না। তবে দেশে থাকা সকল নেতাকর্মীদের সাথে প্রতিনিয়তই যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতারা আন্দোলন সংগ্রামে তেমন ভাবে সক্রিয় না থাকলে সাম্প্রতিক সময়ে তারা আন্দোলন সংগ্রাম দিয়ে মাঠ গরম রাখার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জে জেলা বিএনপিতে যখন রদবদল হয় তখনই পাল্টে যায় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের দৃশ্যপট। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক গোলম ফারুক খোকনের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন অকেটাই উজ্জীবিত। শুধু তাই নয় বিভিন্ন থানা ইউনিয়ন দীর্ঘদিনের কমিটি না হওয়া কমিটি গুলো মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই সেগুলো কম্পিলিট করে জেলা বিএনপির সম্মেলন করে। ইতিমধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক জিয়া ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনায় একের পর এক কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা শুধু নারায়ণগঞ্জেই নয় ঢাকার আন্দোলন সংগ্রামেও ব্যাপকভাবে ভাবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সারাদেশ ব্যাপী একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে রাজপথ দখলে রেখেছে তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুলাই ঢাকার নয়া পল্টনে এই বিশাল সামবেশের ডাক দেওয়া হয় আর এই মহা সমাবেশে ডাকা বিভাগের কয়েকটি জেলার নেতাবৃন্দ সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়। আর তাতেই এই সমাবেশে কয়েক লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়। শুধুমাত্র নারায়ণগঞ্জ থেকেই প্রায় লক্ষাধিক লোক নিয়ে সেই সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন। শুধু তাই নয় ১৮ জুলাই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী পদযাত্রার নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সারাদেশকে চমক দেখিয়ে এক ইতিহাস রচনা করেছে এই ঐতিহাসিক পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে। আর এই পদযাত্রায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি কাচঁপুর থেকে শুরু করে এই পদযাত্রা সাইনবোর্ড এলাকায় এসে শেষ হয়। অন্যদিকে মহানগর বিএনপি নারায়ণগঞ্জ শহর পুরো এলাকা নেতাকর্মীদের জাগরন ছিলো। নারায়ণগঞ্জে মহানগর বিএনপিতে সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা শক্ত অবস্থানে থেকে দলীয় প্রত্যেকটা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে মহানগের বিদ্রোহী আরেকটি গ্রুপের তৎপরতা কোন অংশেই কম নয়, তারাও প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে তারা তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে প্রতিটা কর্মসূচিতে তাদের সক্রিয় ভাবে রাজপথে দেখা যাচ্ছে। এদিকে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের একটাই দাবি এই সরকারের পতন ও তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন বাস্তবায়ন করা তার আগে তারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম থাকবে। তবে এই সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির ব্যাপক কর্মসূচিতে বিএনপি ও বিএনপির নেতাকর্মীরা কতটা সুফল পেল এমন প্রশ্নের জবাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন জানান, আপনারা জানেন একদফা কর্মসূচি ঘোষনা হয়েছে এক দফার আন্দোলন এটা দেশবাসীর ভোটাধিকার, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, দশ দফা আন্দোলনে যে সকল ইস্যু গুলো ছিলো এই ইস্যুকে ঘিরে আমাদের এক দফা দাবির কর্মসূচি চলমান আছে আমাদের ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান থাকবে। এটা আমরা গন্তব্যের খুব কাছাকাছি পৌছে গেছি ইনসাআল্লাহ এখন শুধু সময়ের ব্যাপার আপনি যে সুফলের কথা বলেছেন সুবাতাস বৈতেছে। আমাদের দাবি দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা দেশের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং মানুষের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, মানুষের অধিকার তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করা। আমরা আন্দোলনের শেষ প্রান্তে এসে পৌছেছি আমরা আন্দোলনে সফল। আপনারা জানেন আমাদের এই সকল কর্মসূচিতে এখন শুধু নেতাকর্মীই নয় সাধারন জনগনও মিলিত হয়েছে। আর সাধারন জনগন যখন আমাদের কর্মসূচিতে যোগদেয় তখন অটোমেটিক প্রোগ্রাম সফল করার জন্য যতেষ্ট হয়ে যায়। তাই আমাদের আর কোন রকম ভয় নেই আমরা আমাদের সফলতা নিয়েই বাড়ি ফিরবো।
