না’গঞ্জে ২৯ জনের এমপি হওয়ার খায়েশ মিঠলো না!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়ার আশায় ৩৩জন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। অনেকেই নৌকার মাঝি হয়ে যাচ্ছেন এমন মনোভাবও দেখা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ২৯ জনের এমপি হওয়ার খায়েশ পুরন হলো না। তাদের কপাল পুড়েছে। রূপগঞ্জ আসন থেকে আওয়ামী লীগের ৪ জন নৌকা প্রত্যাশী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন-বর্তমান সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দপ্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাজাহান ভূঁইয়া এবং রুপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ব্যারিস্টার খান আজিজ। এর মধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দপ্তগীর গাজী বীরপ্রতীকে মনোনীত করা হয়েছে। আড়াইহাজার আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬ জন। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক রাষ্ট্রদূত মমতাজ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান শাহজালাল মিয়া, বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহিদুল ইসলাম হেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা। এর মধ্যে মনোনীত হয়েছেন নজরুল ইসলাম বাবু এমপি। সোনারগাঁ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ১৬ জন জন। তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য হাসনে আরা বাবলী, সাবেক এমপি ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ স্বাাচিপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য এ এইচ এম মাসুদ দুলাল, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম, সাবেক সংসদ সদস্য মোবারক হোসেনের ছেলে এরফান হোসেন দীপ, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যান উপ-কমিটির সদস্য দীপক কুমার বণিক দীপু, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো: বাবুল ওমর বাবু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মনির হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, হাজী আব্দুল মতিন খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের নেতা মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী। আর এ আসনে নতুন করে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতকে মনোনীত করেন। এ আসনে ৩ মেয়দ ধরে আওয়ামীলীগ জাপাকে ছাড় দিয়ে আসছিল। এবার এ আসন ছাড় দেবে না। ফতুল্ল-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২ জন। তারা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ও জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ। এর মধ্যে শামীম ওসমান এমপিকে মনোনীত করা হয়। সদর ও বন্দর আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ৬ জন। তারা হলেন-মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ বাদল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত ও মহাশহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল। কিন্তু এ আসনে কাউকে ঘোষনা দেয়া হয়নি। এ আসনটি জাতীয়পার্টির জন্য ছাড় দিতে পারে এমন গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে। এ আসনে জাতীয়পার্টির এমপি সেলিম ওসমান বহাল রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জে ৩৩ জনের মধ্যে ২৯ জনের এমপি হওয়ার খায়েশ মিঠলো না।