সদর-বন্দর আসনে চমকের অপেক্ষা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৪টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। সদর ও বন্দর আসনে নৌকার প্রার্থীর নাম পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল রবিবার বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের ৪টি আসনসহ দেশের ২৯৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। রূপগঞ্জ আসনে গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), আড়াআইহাজার আসনে নজরুল ইসলাম বাবু, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে একেএম শামীম ওসমান, সোনারগাঁ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। সদর-বন্দর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ৬ জন। কিন্তু এ আসনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীরা মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও নৌকার প্রার্থী ঘোষণা না করায় এই নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। সদর-বন্দর আসনে বর্তমানে সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমান। তিনি নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সদস্য। ২০১৪ সালের এপ্রিলে বড় ভাই নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন সেলিম ওসমান। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা নাগরিক ঐক্যের নেতা এসএম আকরামকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বারের মতো এমপি হন তিনি। সদর ও বন্দর আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল (ভিপি বাদল), আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি.এম আরাফাত, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জল। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীরা মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও এই আসনে কেন এবং কবে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে তাও বলা হয়নি। তাই এই আসনটি ঘিরে তৈরি হয়েছে নানান সমীকরণ। দীর্ঘদিন ধরে এই আসনে নৌকার প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আবার সেলিম ওসমানকে আওয়ামী পরিবারের সন্তান দাবি করে তাকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার দাবি জানিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তবে আরেকটি সুত্র বলছে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা তৈমুর আলম খন্দকার তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব। জোটগতভাবে আওয়ামী লীগের সাথে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে তৃণমূল বিএনপি। তাই এই আসনে নৌকার প্রতীক নিয়ে তৈমুর আলম খন্দকারকেও নির্বাচন করতে দেখা যেতে পারে। তবে সদর-বন্দর আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করার মধ্যে চমক নাকি সেলিম ওসমানের ধারাবাহিকতা আছে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকদিন।