বিএনপির প্রতি কঠোর প্রশাসন!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট চাঙ্গা নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি। নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বেশীর ভাগ শীর্ষ নেতাই একাধিক মামলার আসামী হয়ে পলাতক জীবন পার করছেন। এদের মধ্যে যারাই এলাকায় রয়েছেন এদের মধ্যে অনেকেই আদালত চত্বরে ঘুরপাক খাচ্ছে। এরপরেও দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেছেন ঠিক এ মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সা¤প্রতিক এক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হওয়ার পর চুপছে গেছে সাংগঠনিক কর্মকান্ড! এদিকে পুলিশের ভয়ের কথা বলে, জেলা বিএনপি নেতাদের অনেকেই নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছেন না। নির্বাচনকে সামনে রেখে যাদের নেতৃত্বে দলের তৃনমূল চাঙ্গা হয়ে উঠবে সে সমস্ত নেতারা জেলায় না ফেরার কারনে বিএনপির রাজনীতি চাঙ্গা হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল। জানাগেছে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পূর্ববর্তী মুহুর্তে নারায়ণগঞ্জের সাতটি থানায় বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের পর গ্রেফতার আতংকে বিএনপির নেতারা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পালনে মাঠে থাকাতো দূরের কথা এলাকাতেই প্রবেশ করেননি। একাদশ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকারের গঠনের কিছুদিন পর থেকে নেতৃবৃন্দ এলাকায় প্রবেশ করেন। এরপরেও অনেক সতর্কতার সাথে এলাকায় বসবাস করতে হয়েছে তাদের। তারপরেও মিথ্যা মামলার খড়গ থেকে রেহাই পায়নি অনেকে। এখনো বিএনপির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোতে আদালতে চত্বরে ঘুরেপাক খেতে হচ্ছে। এদিকে, দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো মথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি আবারো সরকার বিরোধী আন্দোলনে যেতে পারে বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে। এর মধ্যে বিএনপির হাইকমান্ডের সাথে যোগাযোগ করে নতুন করে দিক নিদের্শনা দিতে পারে বলে বিএনপির একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে। স¤প্রতি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালনে রাজপথে নিজেদের অস্তিত্বের জাগান দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। ইতিমধ্যে পুলিশের গুলিতে শাওন নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ ঘঁনায় পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এ মামলা থেকে অনেকেই জামিন নিলেও অধিকাংশ নেতাকর্মী রয়েছে আত্মগোপনে। স¤প্রতি সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বক্তব্যেই আন্দোলন থেকে পিছু নিয়েছে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ এমনটাই গুন্জন শুনা যাচ্ছে। তবে, অধিকাংশ বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, দলীয় প্রধান রাজনৈতিকভাবে রাজপথের প্রধান বিরোধীদলকে কোনঠাসা করতে বিভিন্নপন্থা অবলম্বন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কারো বক্তব্যে ভীত নয় নারায়নগঞ্জ বিএনপি। মূলত দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে জেলা ও মহানগর বিএনপির আহŸায়ক কমিটি পূনাঙ্গ কমিটিতে রূপ দেয়া না পর্যন্ত চাঙ্গা হবে না দল। দলকে চাঙ্গা করতে হলে আহŸায়ক কমিটিকে পূনাঙ্গ কমিটিতে রূপ দিলেই নারায়ণগঞ্জের রাজপথ বিএনপির নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে বলে নেতৃবৃন্দ দাবি করেন। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটির বিভিন্ন পদে যারা আসীন পেতে মরিয়া তারাই তারাই বিগত নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের পক্ষে মাঠে নামা তো দূরের কথা নির্বাচন ইস্যুতে দলের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ পর্যন্ত রাখছেন না। যে কারনে নির্বাচন পরবর্তী সময়ের রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। যতোদিন না পর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতারা প্রকাশ্যে এসে রাজনৈতিক কর্মকান্ড করতে পারবে ততোদিন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি চাঙ্গা হবে না। তবে গুঞ্জন উঠেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি পুন:গঠন করা হবে। তবে কমিটি পুন:গঠন করা হলে অচিরেই নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতি চাঙ্গা হবে। কেননা কমিটিতে পদ-পদবী বাগিয়ে আনতে নেতারা রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন। নতুন কমিটিতে দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত, নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে বলে জানাগেছে। একই সাথে থানা, মহানগরের আওয়াতাধীন ওয়ার্ডগুলো ও ইউনিয়ন কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে দলকে নতুন করে সাজানো হবে। এতে করে চাঙ্গা হবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।