
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গণ অনেকটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এরই মাঝে হচ্ছে নানা মেরুকরণ। এদিকে নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে নিবার্চনে অংশ নিতে ইতি মধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন বিভিন্ন দলের নেতারা। এদিকে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলন করতে গিয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি রাজপথের সবচাইতে বড় বিরোধী দল বিএনপি। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহা-সমাবেশে পুলিশ-বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পশু হয়ে যায় সমাবেশ। তার পর থেকেই কঠোর আন্দোলনের লক্ষ্য হিসেবে কয়েক দফায় অবরোধ ও দুই দফা হরতাল পালন করেছেন। কিন্তু কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি রাজনীতিতে, এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে তফসিল ঘোষণার পর এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নের ৩০০ আসনের নৌকা প্রার্থী ও ঘোষণা হয়ে গেছে। অন্য অন্য দলের নীতিনির্ধারকরা ও তাদের আসন গুলোর প্রার্থী দেওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু এদিকে এখনো বিএনপি তাদের নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। কিন্তু যেহেতু বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতারের পর বাকি নেতাদের অনেকেই গ্রেফতারের আশঙ্কায় আত্মগোপনে রয়েছেন। ইতিমধ্যে বিএনপির হরতাল ও অবরোধকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জের সাতটি থানায় ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে প্রায় হাজারের উপরে বিএনপি নেতাদের সেই মামলার আসামী ও সেখান থেকে চারশত নেতার মতো গ্রেফতার হয়েছে। যার কারণে বর্তমানে সপ্তম দফা অবরোধ পালন বলা চলে নারায়ণগঞ্জে অনেক কম জায়গায় পালন করা হয়েছে যার কারণে কোন প্রভাব নেই বললেই চলে। এদিকে নারায়ণঞ্জের জেলা বিএনপি, মহানগর বিএনপিসহ আরো নিবার্হী কমিটির নেতাকর্মীরা অঙ্গসংগঠনের মূল পদে থাকা নেতারা রাজপথে না নামায় কর্মীরা ও নিরাআশা হয়ে পরেছেন। যার কারণে সামনে বিএনপি আরো অস্তিত্ব সংকটে পরতে পারে বলে ও দাবি করছে বৃদ্ধমহল। এছাড়া ও মামলা ও গ্রেফতার ঠোকাতে কৌশল অবলম্বন করতে পারলে ও রাজপথে কোন কৌশল দেখাতে পারছে না বিএনপি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার পতনের আন্দোলনে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে গত ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত কয়েক দফায় ডেট লাইন দিয়ে গেছে। কিন্তু ডেট লাইন দিয়ে তারা আরো মামলায় পিষ্ট হচ্ছেন আর কিছুই না। এছাড়া ও হরতাল ও অবরোধে ও চমক দেখানোর কথা থাকলে ও নিশ্চুপই দেখা যাচ্ছে বিএনপিকে। এবার আবারো নির্বাচনের আগের মাস ডিম্বেবরের দিকে চোখ বিএনপির। কিন্তু তৃণমূলের নেতাদের দাবি, বর্তমানে নির্বাচনের মাত্র বাকি দেড় মাস যার কারণে ডেট দিয়ে কোন আন্দোলণ হবে না যে কো মুহুর্ত্বে আন্দোলনে নামার সময় এখন কিন্তু নেতাকর্মীদের দাবি, কেন্দ্রীয়ভাবে কোন প্রকারের কঠোর ঘেরা ও কর্মসূচি না থাকলে তো সকলে নামতে পারবে না। এদিকে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ইতিমধ্যে বিএনপির আরেকটি সংগঠন তৃণমূল বিএনপিতে যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন। আরো বেশি কয়েকজনের যাওয়ার আলোচনা ও চলছে বলে জানা গেছে। এদিকে বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী এক কথায় বসে আছে যে নির্বাচন এবার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে এই বাংলাদেশের মাটিতে কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হলে না বলে ও নেতাকর্মীরা দাবি জানিয়েছে। এর আগে ও বিএনপির নেতাকর্মীরা ভাষ্য দিয়েছেলেন যে তফসিল ঘোষণার পর পর ‘অসহযোগ’ আন্দোলন হবে কিন্তু কোন কঠোর আন্দোলন দেখিতে পায়নি জনগণ ও বিএনপির কর্মী সমর্থনরা যার কারণেই অনেকেই হতাশায় রয়েছেন। নেতাকর্মীরা আরো বলছে, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে একটি রেজাল্ড দেখা দিবে এমটাই দাবি জানাচ্ছে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা। এদিকে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু করা হলেও এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন আরও জোরদার করবে বিএনপি। চলমান কর্মসূচিসহ আগামী দিনের আন্দোলনে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে ইতোমধ্যে সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নেতাকর্মীরা আরো বলছে, আপাতত চলমান আন্দোলনকে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবে দলটি। এরমধ্যে ২৬ ও ২৭ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা ছাড়াও ২৯ ও ৩০ নভেম্বর হরতাল কিংবা অবরোধ কর্মসূচি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে যে কোনো সময় পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। যে কোনো সময় আরও বড় ধরনের কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে দলটি। পরিস্থিতি অনুযায়ী ‘অসহযোগ’ আন্দোলনের ঘোষণা ও আসতে পারে। এ দিকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ডাক দিয়ে ও রাজপথে কেউ নেই। এবার এর থেকে বড় কর্মসূচি দিলে রাজপথে আসবে নাকি নেতারা ও এটা ও দেখার বিষয়। এদিকে আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটবদ্ধ নেতারা নির্বাচনী প্রচারনায় আর বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে ডিসেম্বরের দিকে তাকিয়ে যার কারণে বলা চলে এবার কঠিন পরীক্ষায় পরতে হচ্ছে বিএনপিকে। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহŸায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান যুগের চিন্তাকে বলেন, এই সরকার যেভাবেই তাদের আওতাধীন অবৈধ নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকুক না কেন। সময় আরো বাকি আছে আমাদের বিশ্বাস দেশের জনগণ এবার দেশে এই অবৈধ নির্বাচকে সায় দিবে না। এবার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। আর সামনে আমাদের আরো কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি আসছে আমরা যথাযথভাবে সেইকর্মসূচি রাজপথে সফল করবো ও দেশের রাজনীতিতে জনগণের মাধ্যমে একটি চমক সৃষ্টি হবে।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯