
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া এখন কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। বিশেষ করে বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমরের আকস্মিকভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত বিএনপির জন্য একটি বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। জেলে থেকে যদি একজন নেতা সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে পারেন, তাহলে অন্যরা কি করছেন সেটি নিয়ে দলের হাইকমান্ড চিন্তিত। এই ধরনের ঘটনার পরে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া কাউকেই আর আস্থায় নিতে পারছেন না। কারণ কে কখন সরকারের সাথে কি ধরনের সমঝোতা করছে তা নিয়ে সন্দেহের ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে বিএনপির মধ্যে। বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। আর এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা আগামীকাল থেকে আবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালন করবে। কিন্তু এই সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি গুলোতে দলের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ তেমন আশাব্যঞ্জক নয়। বরং নেতাকর্মীরা যে যার মতো করে দূরত্ব বজায় রেখে চলে এসেছে। এতদিন মনে করা হত যে, মামলা-হামলা এবং গ্রেপ্তারের ভয়ে হয়তো তারা এই ধরণের কর্মসূচিগুলো থেকে নিজেদেরকে গুছিয়ে রাখছেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে মামলা-হামলার ব্যাপার নয় বরং সরকারের সাথে একটি সমঝোতার ভিত্তিতেই তারা এই ধরনের কর্মসূচিগুলো থেকে নিজেদেরকে গুটিয়ে রাখছেন। বাজারে গুঞ্জন রয়েছে যে, বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সরকারের একটি সমঝোতা হয়েছে, সেই সমঝোতার অংশ হিসেবে বিএনপির নাম কা ওয়াস্তে কর্মসূচি দেবে এবং এই কর্মসূচিগুলো নির্বাচনকে বাধা দেবে না। বিএনপির এই কর্মসূচির মধ্যেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের পর বিএনপির সঙ্গে সরকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দর কষাকষি করবে বা সমঝোতার চেষ্টা করবে। যদিও লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার প্রধান লক্ষ্য হল নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা, প্রতিহত করা এবং নির্বাচন ঠেকানোর জন্য আন্দোলনকে বেগবান করা। কিন্তু তারেক জিয়ার বিভিন্ন তৎপরতার পরেও আন্দোলনের গতি পাচ্ছে না। এর পিছনে রয়েছে বিএনপির অনেক নেতার বিশ্বাসঘাতকতা এমনটাই মনে করছেন দলটির মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা। তারা তারেক জিয়ার কছেও একই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। আর এরকম যদি বিশ্বাসঘাতকতা হয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন ঠেকানো তো দূরের কথা, নির্বাচনের সময় কোনও প্রতিরোধও করতে পারবে না। ২০১৪ সালে যখন বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল। তখন সারা দেশে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল এবং মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াটাও ছিল বিপজ্জনক। নির্বাচনী আমেজ নয় বরং সেসময় আন্দোলনের আতঙ্কই বড় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। সারাদেশে একটি নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দাঁড়ানোর ফলে এই নির্বাচন একটি গাজীপুর মডেলের নির্বাচন হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। আর এরকম যদি একটি নির্বাচন হয় তাহলে ভোটার অংশগ্রহণও বাড়বে। সরকার যদি হস্তক্ষেপ না করে, প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ থাকে তাহলে এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না। নির্বাচনী উৎসবে আন্দোলন ভেসে যাবে। আর এই জন্য বিএনপির অনেকেই তাদের নেতাদেরকে দায়ী করছেন। নেতাদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই বিএনপি কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না বলে ধারণা অনেকের।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯