আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৮:৪৬

উন্নয়নের প্রচারে নেই জাপা

ডান্ডিবার্তা | ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ

বন্দর প্রতিনিধি আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে আলোচিত ও রহস্যময় আসন সদর-বন্দর। যে আসনে নৌকা প্রতীকের কোন প্রার্থী নাম ঘোষনা হয়নি, এমনকি নৌকা প্রতীকের কোন প্রার্থী দেয়া হবে না। যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন নিয়ে প্রত্যাশী ও দৌড়ঝাপ কারীদের ইতিমধ্যে সরাসরি বলে দিয়েছে এ আসনটি তিনি নিজে দেখবেন। সে ঘোষনা ও সিদ্ধান্তের পরিপ্রক্ষিতে চুপসে গেছে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীরা। কারন সেলিম ওসমান সাড়ে ৯ বছর যাবত এমপির দায়িত্ব পালন করছেন। নিজস্ব তহবিল ও সরকারীভাবে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এত উন্নয়ন করলেও প্রচার হয়নি তার অর্ধেকাংশও। এমনকি মূল্যায়ন করা হয়নি সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের। উন্নয়নের ক্ষেত্রে সেলিম ওসমান এমপি সকল দলের লোকেদের নিয়ে করেছে। এখন নির্বাচন লাঙ্গল প্রতীকে করতে যাচ্ছেন সেলিম ওসমান। এখনই দেখা মিলবে দানশীল খ্যাত সেলিম ওসমান এমপির নির্বাচনে সকল দলের নেতাকর্মীরা করেন কি না এটাই দেখার বিষয়। ভোট কেন্দ্র পাহারা, ভোটারদের উপস্থিত করানোসহ সার্বিক বিষয়ে সেই অবহেলিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের লাগবেই। আওয়ামীলীগ ছাড়া সুষ্ট নির্বাচন হলে বিজয়ের মালা কোনদিকে যায় তা বলা অসম্ভব। উন্নয়ন আর ভোটের রাজনীতি টোটাল ভিন্ন একটি প্রেক্ষাপট। সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান সরকারী বরাদ্ধ ছাড়াও ব্যাক্তি তহবিল হতে যে পরিমান উন্নয়ন করছে তার আংশিকও প্রচার নেই। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ রাস্তা-ঘাটের গত সাড়ে ৯ বছরে যে পরিমান উন্নয়ন হয়েছে তা অন্য কোন এমপি থাকাকালীন সময়ে হয়নি বলে দাবী সচেতন মহলের। বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে উন্নতমানের স্কুল নির্মান পূর্বক ৭টি উদ্বোধন ইতিমধ্যে হয়েছে। ৫টি ইউনিয়নে ২০ ফুট চওড়া রাস্তা নির্মানসহ টি-আর, কাবিখা প্রকল্পসহ সরকারী বরাদ্ধগুলো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দ্বারা যথাযথভাবে করার ফলেই দলীয় নেতাকর্মীদের কাছের ব্যাক্তি হতে পারেননি সেলিম ওসমান এমপি। দলীয় নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়নের কারনেই তার উন্নয়নের চিত্রগুলো সাধারন লোকদের চোখে পরে না। সেলিম ওসমান এমপি হওয়ার পর থেকে প্রতিটি ঈদে দুঃস্থ ও অসহায় লোকদের মাঝে বিতরন করেন। নিজস্ব তহবিল হতে এমন অনুদান পূর্বের কোন এমপির রেকটে না থাকলেও উন্নয়নের রুপকার বলা হয় তাদের। আর যে ব্যাক্তি নিজস্ব তহবিল হতে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয় পূর্বক উন্নয়ন করছে। তার প্রচার নেই কেন? যে কারনে সেলিম ওসমান এমপিকে বার বার নানা ঝামেলা মোকাবেলা করতে হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক শিকার হয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলন করে বলছিলেন। উপ নির্বাচনে এমপি হওয়ার পরই কিছু বুঝে উঠার আগেই শিক্ষকের এক ঘটমায় ঝামেলায় পরেন। শিক্ষকের এক ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে সেলিম ওসমান এমপি বলে ছিলেন আমি রাজনৈতিক শিকার। রাজনৈতিক শিকার পরে তা উপলব্ধি করতে পারলেও বাস্তব চিত্র দেখা মিলে উল্টো। সকল দলের লোকেদের নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজগুলো করলেও দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেননি বলে অনেক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উন্নয়ন, রাজনীতি ও ভোটের মাঠের মধ্যে বিশাল পউন্নয়নে এগিয়ে থাকলেও প্রচারে অনেকটা পিছুনে। দলীয় নেতাকর্মীরা এর জন্য দায়ী বলে সচেতন মহলের ভাষ্য। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি। এ নির্বাচনে দেখা মিলবে সব দলীয় নেতাকর্মীরা সেলিম ওসমান এমপির নির্বাচন করবে নাকি? বিএনপি কার নির্বাচন করবে। জাতীয় পার্টি এককভাবে করলে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ভোট পাবে। আওয়ামী লীগ কাজ না করলে তার নির্বাচনী মাঠে হাওয়াই লাগবে না। উন্নয়ন আর ভোটের রাজনীতি আলাদা এটা আর কতবার প্রমান হলে মূল্যায়ন হবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। ভোট ও উন্নয়নের রাজনীতি এক না।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা