আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:৫০

বন্দরে এএমএস চালের জন্য রাত ১২ থেকে লাইন

ডান্ডিবার্তা | ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১২:৩২ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বন্দরে ওএমএস চাল ও আটার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রতিদিন এক ওএমএস ডিলার ২শ’ জনকে ন্যায্য মূলে জনপ্রতি ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা দিয়ে থাকেন। আর এ চাল আটার জন্য নারী-পুরুষের লাইন চোখে পড়ার মত। সকাল ১০টা থেকে চাল আটা দেয়া হলেও রাত ১২টায় এসে লাইন ধরতে হয় ওএমএস চাল আটা গ্রহীতাদের। গত সোমবার রাত ১২টায় বন্দরের নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডে কবিলের মোড় এলাকায় ওএমএস ডিলারের দোকানের সামনে ২০/২৫জন নারী এসে লাইন ধরে বসে আছেন। তারা সকালে যখন চাল-আটা দেয়া শুরু হবে তখন তারা তা কিনে নিবেন। এ ব্যপারে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, রাতে এসে লাইন না ধরলে চাল-আটা পাওয়া যায় না। এ ব্যপারে হেলেনা নামে এক মহিলা বলেন, আমরা সারা রাত এখানে বসে থাকব। সকালে চাল-আটা দেয়া শুরু করলে তা কিনে নিব। আমরা গরীব মানুষ বাজার থেকে বেশী দামে কিনে খেতে পারিনা। আমাদের যা আয় হয় তাতে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বাজারে কুলিয়ে উঠতে পারিনা। তাই রাতে এসে লাইন ধরে চাল-আটা নিতে হয়। কত জনকে চাল-আটা দেয়া হয় জনতে চাইলে তারা বলেন, জনকে দেন তারা বলতে পারিনা তবে অনেক ভীড় হয়। তাই আমরা রাতে এসে লাইন না ধরলে সকালে হুরুহুরি লেগে যায়। কত টাকা কেজি দরে চাল-আটা বিক্রি হয় জানতে চাইলে তারা বলেন, ৩০ টাকা কেজি চাল ও ২৪ টাকা কেজি আটার মূল্য রাখে। এখন শীতকাল আপনারা রাত ভর কষ্ট হবে না জানতে চাইল তারা বলেন, কি করব আমরা গরীব মানুষ বাজার থেকে কিনে খাওয়া আমাদের কষ্ট হয়। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায্যমূলে চাল-আটা বিক্রির ব্যবস্থা করায় আমরা গরীব মানুষের অনেক উপকার হয়েছে। রাতভর কষ্ট করে নিলেও সে কষ্ট আমাদের গায়ে লাগেনা যখন কম মূল্যে আমরা খাদ্য পাই। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। তবে ওএমএস এর চাল-আটা যদি আরো বেশী লোককে দেয়া ব্যবস্থা হতো তবে অনেক গরীব মানুষের উপকার হতো। এ ব্যপারে ওএমএস ডিলার ওসমান মিয়া জানান, আমরা প্রতিদিন ২শত লোককে চাল-আটা দিয়ে খাদ্যের জোগান দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যবস্থা করে গরীবদের দোয়া পাচ্ছেন। এ ব্যপারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আসমা উল হুসনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যপারে খাদ্য ইন্সিস্পেক্টর জুয়েল জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৬টি স্থানে প্রতিদিন ২শ’ জনতে চাল-আটা ওএমএস এর মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। সরকারি ছুটি ও সপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন নাসিকের ৫ হাজার ২শ’ লোক উপকৃত হচ্ছেন। সরকার একটা নিয়মের মধ্যে আনার চিন্তা করছেন। ওএমএস চাল-আটার জন্য কার্ড দেয়া হবে। তখন কার্ডধারীরা নিয়মমত চাল-আটা পাবেন। বিষয়টি আমরা এর তদারকি করছি। স্থানীয়দের দাবি ওএমএস চাল-আটা বিক্রির স্থান বৃদ্ধিসহ কমপক্ষে প্রতিদিন ৫শ’ লোককে দেয়া ব্যবস্থা করা হলে এর প্রভাব বাজারে দ্রæত পড়তে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা