
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বন্দরে একের পর এক ইটভাটার নির্মাণ হচ্ছে। এ সকল সর্বনাশা ইটভাটার কালো ধুঁয়ায় জনজীবন চরম হুমকির পড়ছে। সেই সাথে ধ্বংস হচ্ছে কৃষি জমিগুলো। বায়ু ও পরিবেশ দূষনের কবলে বন্দরের উত্তরাঞ্চল এলাকা। বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নবাসী ইটভাটার কারণে পরিবেশ দুষনের কবলে। কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। কারন বেশীরবভাট ইটভাটার মালিক প্রভাশালী। এ শীত মৌসুমে ইটভাটার কালো বিষাক্ত ধোঁয়ায় মানুষের জীবন যাপন চরম হুমকির মুখে। ধ্বংস হচ্ছে কৃষি জমির পাশাপাশি আশপাশের ফলফলাদীর গাছপালা। নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সকল বয়সী মানুষ। প্রতিদিন ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও বর্জ্যে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। এতে ভাটার আশপাশের এলাকা, নদী, শহরাঞ্চল ও গ্রামীণ জনপদের জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, ইটভাটা সৃষ্ট দূষণে বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে মানুষের ফুসফুসের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডাজনিত নানা রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইটভাটাগুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে গাছপালা। অধিকাংশ ইটভাটায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ইট পোড়ানো কার্যক্রম বলেও অভিযোগ রয়েছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনে (২০১৩) নিষেধ থাকা সত্তে¡ও বেশির ভাগ ভাটাই স্থাপন করা হয়েছে বা হচ্ছে লোকালয় তথা মানুষের বসতবাড়ি, গ্রাম-গঞ্জ, শহর-বন্দরের অতি সন্নিকটে, কৃষি জমিতে, নদীর তীরে, পাহাড়ের পাদদেশে। সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে আবাদি জমির উপরিভাগ, নদীর তীর এবং পাহাড়ের মাটি, যা আইনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে। কাঠ ও অত্যন্ত নি¤œমানের কয়লা পোড়ানো এবং স্বল্প উচ্চতার ড্রাম চিমনি ব্যবহার করায় ইটভাটাগুলোতে নির্গত হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে কালো ধোঁয়া। সে ধোঁয়া বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে চার পাশে। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়সহ জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে। এ বিষয়ে পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আইনুন নিশাত বলেন, উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য ইট প্রস্তুত করতেই হবে। তবে বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ইট তৈরি হয় তাতে প্রচুর পরিবেশ দূষণ হয়। এ পদ্ধতি বাদ দিয়ে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ইট প্রস্তুত করতে হবে। এ ছাড়া যেসব অবৈধ ইটভাটা রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠনকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশে সরকার আছে, আইন আছে। তাই আইনের প্রয়োগ যারা করবেন তারা তা সঠিকভাবে করছেন না। তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন- এটাই আমরা আশা করি। ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ। অথচ ওই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজধানীর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে অর্ধশত ইটভাটার কাস্টম এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাটের লাইসেন্স নেই। অথচ স্থানীয় প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে এদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অভিযোগ আছে স্থানীয় ইটভাটার মালিকদের কেউ কেউ কৃষকদের ম্যানেজ করে জমি লিজ নিয়ে অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করছেন। বেশির ভাগ ইটভাটা গড়ে উঠেছে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা ও আবাসিক এলাকার আশপাশে। ভাটাগুলোর বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও বর্জ্যে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। ছড়িয়ে পড়েছে রোগ-ব্যাধি। সারা দেশে ইট তৈরিতে আধুনিক প্রযুক্তির পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনি বা সম্পূর্ণ অবৈধ ড্রাম চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটা। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি বলে পরিবেশবিদরা মনে করেন। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩’ সংসদে পাস করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই তারিখের গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আইনটি ওই বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর করে। এই আইনের আওতায় জ্বালানি সাশ্রয়ী, উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন জিগজ্যাগ কিলন, ভার্টিক্যাল স্যাফট ব্রিক কিলন, হাইব্রিড হফম্যান কিলন, টানেল কিলন, বা অনুরূপ কোনো ভাটা স্থাপন/পরিচালনা করা যাবে বলা হয়েছে। আইন কার্যকর হওয়ার পর কোনো ব্যক্তি আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা; সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর; সরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি, কৃষি জমি, প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা, ডিগ্রেডেড এয়ার শেড এলাকার সীমানার অভ্যন্তরে কোনো ইটভাটা স্থাপন করতে পারবেন না। নিষিদ্ধ এলাকার সীমানার অভ্যন্তরে ইটভাটা স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বা জেলা প্রশাসক কোনো আইনের অধীন কোনোরূপ অনুমতি বা ছাড়পত্র বা লাইসেন্স প্রদান করতে পারবে না। আইন কার্যকর হওয়ার পূর্বে, ছাড়পত্র গ্রহণকারী কোনো ব্যক্তি যদি নিষিদ্ধ এলাকার সীমানার মধ্যে বা নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে বা স্থানে ইটভাটা স্থাপন করে থাকেন, তা হলে তিনি, আইন কার্যকর হওয়ার দুই বৎসর সময়সীমার মধ্যে, ওই ইটভাটা, যথাস্থানে স্থানান্তর করবেন, অন্যথায় লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। অথচ বর্তমানে দেশের অধিকাংশ ইটভাটাই এ আইন অমান্য করে স্থাপিত এবং ইট তৈরি করছে বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি মদনপুর, মুছাপুর ও ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় প্রায় অবৈধ ৫২টি ইটভাটা আছে। যে ইটভাটাগুলোর মধ্যে ১টির ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতির কাগজ দেখাতে পারবে না। বন্দরে ৩টি ইউনিয়নবাসী চরম হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে। অবৈধ ইটভাটা ও মাটি খেকুদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান সচেতন মহল।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯