আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:৩০

তৈমুরের চেয়ে স্ত্রীর সম্পদ ৩ গুণ

ডান্ডিবার্তা | ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ আসনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন। আলোচিত এই রাজনৈতিক নেতার সম্পদ পরিমাণ মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৮ গুণ। আর তাঁর গৃহিনী স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৬৬ গুণেরও বেশি। শুধু তাই নয় এর মধ্যে একটি মাইক্রোবাসও কিনেছেন তাঁর স্ত্রী। নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্রের সাথে কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে। দুই বছর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন তৈমুর আলম খন্দকার। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়ায় পরবর্তীতে বিএনপি তাকে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহŸায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করে। নাসিক নির্বাচন উপলক্ষে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তৈমুর আলমের কাছে তখন নগদ ৫ লাখ টাকা ছাড়া অস্থাবর কোন সম্পদ ছিল না। কিন্তু মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে সেই সম্পদের পরিমাণ ৮ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৫০২ টাকা নগদ এবং ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৮ টাকা ব্যাংকে জমা রয়েছে বলে হলফনামায় দেখিয়েছেন তিনি। এছাড়া দুই বছর আগে তার কাছে স্বর্ণ ছিল ৫ ভরি। যা তিনি উপহার হিসেবে পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন। উপহারে পাওয়া আরও ১১ ভরি মিলিয়ে বর্তমানে তাঁর কাছে ১৬ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। যার মূল্য তিনি হলফনামায় দেখাননি। দুই বছর আগে তৈমুর আলমের স্ত্রী হালিমা ফারজানার কাছে নগদ টাকা ছিল মাত্র ২ লাখ। এছাড়া আর কোন অস্থাবর সম্পদ ছিল না তাঁর নামে। বর্তমানে স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৩৭২ টাকা রয়েছে। যা আগের তুলনায় ৬৬ গুণেরও বেশি। এই বিষয়ে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, তাঁর স্ত্রী একজন গৃহিনী। তৈমুরের দুই কন্যা ও স্ত্রীর বেশিরভাগ আত্মীয়-স্বজন দেশের বাইরে থাকেন। তারা তাঁর স্ত্রীকে টাকা পাঠান, এই কারণে সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। এদিকে, দুই বছর আগে তাঁর স্ত্রীর কোন গাড়ি না থাকলেও এবার একটি মাইক্রোবাসও (নোয়া) তাঁর অস্থাবর সম্পদের তালিকায় দেখিয়েছেন তৈমুর। তবে, দুই বছর আগের ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবারও একই আছে। অস্থাবর সম্পদের তালিকায় নিজের ও স্ত্রীর ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র থাকলেও তার মূল্য উল্লেখ করেননি। তৈমুর আলমের কোন ছেলে নেই, তাঁর দুই কন্যার একজন আমেরিকা ও অপরজন লন্ডন থাকেন বলে জানিয়েছেন হলফনামায়। ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত রূপগঞ্জ আসনে ২০১৮ সালেও প্রার্থী হয়েছিলেন তৈমুর। ২০১৮ ও ২০২২ সালের হলফনামায় তাঁর উপর নির্ভরশীলদের আয় ছিল শূণ্য। তবে, এবার তাঁর উপর নির্ভরশীলদের আয় তিনি দেখিয়েছেন ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩ টাকা। অন্যদিকে, আইন পেশায় নিয়োজিত তৈমুর আলম খন্দকারের নিজের বাৎসরিক আয় ১২ লাখ ১৯ হাজার ২৪৮ টাকা। যা ২ বছর আগে ছিল ৮ লাখ ১ হাজার ৬৪১ টাকা। স্থাবর সম্পদ হিসেবে তৈমুরের রাজউকের ৫ কাঠার একটি প্লট রয়েছে এবং ২৭৬ বর্গমিটারের একটি নির্মাণাধীন বাড়ি রয়েছে। যা ২ বছর আগেও একই ছিল। আগে যৌথভাবে ২০০ শতাংশ কৃষিজমির ২২ দশমিক ২২ শতাংশের অংশীদার ছিলেন। এছাড়া ৩০ শতাংশ অকৃষিজমির ২২ দশমিক ২২ শতাংশ জমির অংশীদার ছিলেন। যা এবার তিনি উল্লেখ করেননি। স্ত্রীর নামে ৭৪ দশমিক ৩৪ বর্গমিটারের স্পেস রয়েছে ঢাকার তোপখানা রোডে। আগে ৩১৪ বর্গমিটারের একটি ফ্ল্যাট ছিল। ‘কিংস পার্টি’ খ্যাত তৃণমূল বিএনপির এ প্রার্থীর কোন দেনা বা ঋণ নেই। তাঁর নামে বর্তমানে দশটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত এবং বাকিগুলো বিচারাধীন। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে আরও ২০টি মামলা ছিল। যার মধ্যে পাঁচটি বিচারাধীন এবং কয়েকটি রাষ্ট্রপক্ষের মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হয় এবং বাকিগুলোতে অব্যাহতি পেয়েছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা