আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:৪২

প্রতিমা বাহিরে ফেলে দিল শংকর-সুজন সাহা গং!

ডান্ডিবার্তা | ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভীর নির্দেশে মাসদাইর পৌর শ্মশানের সৎকারকর্মী টনি ডোমের ঘর থেকে প্রতিমাগুলো বের করে দিলেন পৌর শ্মশানের সভাপতি দাবীদার সংকর সাহা ও সেক্রেটারী দাবীদার সুজন সাহা, শ্মশানের পুরোহিত শান্তি ঘোষালগং এমন দাবি তাদের। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পৌর শ্মশানের ভেতরে ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দেয় উক্ত দুই হিন্দু নেতা। এ নিয়ে খোদ হিন্দু সম্প্রদায় মাঝে চলছে নানা প্রকার জল্পনা-কল্পনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুরে প্রায় সোয়া ১২টায় মাসদাইর পৌর শ্মশান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অফিসার হিরন এবং শ্যামল পালসহ শ্মশানের সভাপতি ও সেক্রেটারী দাবীদার সংকর সাহা ও সুজন সাহা, শ্মশানের পুরোহিত শান্তি ঘোষালগং সৎকারকর্মী টনি ডোমের তালাবদ্ধ ঘরে অভিযান চালিয়ে সেই ঘরে রক্ষিত মহাকাল ভৈরব, মা শ্যামা কালীর পাথরের প্রতিমা, গনেশের প্রতিমা, শ্রীকৃঞ্চ ভগবানের প্রতিমা, লক্ষী প্রতিমাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিমাগুলো ঘর থেকে বাহিরে ফেলে দেয়। এ সময় টনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। শংকর সাহা ও সুজন সাহার নির্দেশে কালী প্রতিমার চোখে থাকা স্বর্নের মনি চাকু দিয়ে খুচিয়ে উপড়ে ফেলা হয় এবং তা নিয়ে চলে যায়। সেখানে উপস্থিত টনির স্বজনসহ অনেক সনাতন ধর্মের লোকজন প্রতিমার কপাল থেকে স্বর্ন উপড়ে ফেলার প্রতিবাদ করলেও তারা তা আমলে নেয়নি। সংবাদ পেয়ে টনি দ্রæত শ্মশানে এসে শংকর সাহা ও সুজন সাহার কাছে জানতে চায় যে, আপনারা এখানে এসেছেন আমাকে কেন জানানো হলোনা। এমন প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে তারা বলেন, আমরা মেয়রের নির্দেশে এখানে এসেছি এবং ঘর থেকে প্রতিমাগুলো বাহিরে রেখেছি। প্রতিমা থেকে স্বর্ন কেনো খুললেন বা আপনিও হিন্দু মানুষ আপনি কি জানেন না যেন প্রতিমার গা থেকে স্বর্ন খোলা যায়না। এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেনি সংকর সাহা, সুজন সাহা, হিরন ও শ্যামল পালগং। টনির আগমনের পর তারা দ্রæত শ্মশান থেকে বাহিরে চলে যান। এদিকে কালী প্রতিমার চোখে থাকা স্বর্নের মনি চাকু দিয়ে খুচিয়ে উপড়ে ফেলার ঘটনাটি নিয়ে শ্মশানের ভেতরে থাকা সনাতন ধর্মের মানুষের মাঝে দেখা দিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তারা অনেকেই বলেন,মেয়র কিভাবে নির্দেশ দেন একটি ঘর থেকে প্রতিমা বের করে বাহিরে ফেলে দিতে। তার কথাই বা কিভাবে পালন করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা। ঘর থেকে প্রতিমা বের করা প্রসঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ কর্মকর্তা হিরন ও শ্যামল পাল বলেন, এখানে আমাদের কিছুই করার নাই। আমরা মেয়র মহোদয়ের নির্দেশ পালন করেছি। টনি সনাতন বলেন, একটি মিথ্যা অযুহাতে প্রায় ২মাস পুর্বে তারা আমাকে আমার পরিবারসহ উচ্ছেদ করেন তারা। আজ তারা এখানে আসবেন সে বিষয়ে আমাকে অবগত করেননি। আমি তাদের কাছে একদিনের সময় চেয়েছি কিন্তু তারা আমাকে সে সময়টুকু দেয়নি। বরং তারা আমার ঘরে থাকা প্রতিমাগুলো বাহিরে ফেলে রেখে সেই কালী প্রতিমার চোখের মনি স্বর্নগুলো চাকু দিয়ে খুচিয়ে উপড়ে তা নিয়ে চলে যায়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা