আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:০৩

আন্দোলনের মাঠ থেকে লাপাত্তা মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা

ডান্ডিবার্তা | ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৭:২১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দীর্ঘদিন যাবৎ এক দফা দাবির আন্দোলনে দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ পালন করে যাচ্ছে বিএনপি। যাকে ঘিরে মামলা, হামলা, গ্রেফতার, নির্যাতনে দিনের পর দিন ঘর-বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে বিএনপির নেতাকর্মীরা। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে দীর্ঘ ১ মাস কঠোর আন্দোলনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে কয়েক দফা হরতাল ও দশম দফা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। এদিকে এই এক মাসের মধ্যেই দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনীয় তফসিল ঘোষণা, মনোনয়নপত্র জমাসহ মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু যেহেতু বিএনপি বর্তমানে এই সরকারকে পতনের দাবিতে ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে কঠোর আন্দোলন করছে ও তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে তারা অংশগ্রহন করবে না আর নির্বাচন ও করতে দিবে না। কিন্তু আন্দোলনের কঠিন সময়ে মূখ ফিরিয়ে রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পদে থাকা একাধিক নেতাকর্মী যারা বিগত দিনে ব্যানারের সামনে অবস্থান রেখে রাজপথে ছিলেন আজকে এই নেতাদের খুঁেজই যাচ্ছে না কর্মীরা। যা নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। জানা গেছে, কঠোর আন্দোলনের ১ মাস পাড় হলে ও এদের মুখ দর্শন করেনি মহানগর বিএনপির আহŸায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, যুগ্ম আহŸায়ক সরকার হুমায়ুন, যুগ্ম আহŸায়ক সবুর খান সেন্টু, যুগ্ম আহŸায়ক হাজী নূর উদ্দিন, যুগ্ম আহŸায়ক আতাউ রহমান মুকুল, যুগ্ম আহŸায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহŸায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, যুগ্ম আহŸায়ক ফাতেহ মো.রেজা রিপন, যুগ্ম আহŸায়ক আবুল কাউসার আশা, সদস্য শওকত হাসেম শকু। এদের মধ্যে মহানগর বিএনপির আহŸায়ক সাখাওয়াত হোসন খানকে দুই অবরোধ পর্যন্ত রাজপথে দেখা গেলে ও আর দেখা যায়নি তাকে এদিকে তার বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগের প্রায় ৯টার মতো মামলা হয়েছে। যার কারণে সাখাওয়াত হোসেন খান আত্মগোপনে রয়েছে মানা গেলে ও বাকি পদে না থাকা যুগ্ম আহŸায়কদের নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। কেউ কেউ বলছে দীর্ঘদিন অবরোধের সমর্থনে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্পটে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে অবরোধ পালন হলে ও তার মতো দায়িত্ব নিয়ে নিয়মিত অবরোধের সর্মথনে মহানগর বিএনপিকে রাজপথে দেখতে পায়নি কেউ। তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরেছেন কর্মীরা। তা ছাড়া ও মহানগর বিএনপির সদস্য শওকত হাসেম শকু দীর্ঘদিন আলোচনায় না থাকলে ও মহানগর বিএনপির সম্মেলনের কথা উঠলে হঠাৎ সাধারন সম্পাদক হিসেবে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন ও পাওয়া গিয়েছিলো কিন্ত শেষ পর্যন্ত সম্মেলন না হওয়ায় আবারো মহানগর বিএনপি থেকে পিছপা হয়ে পরেছেন এই কাউন্সিলর শকু। তা ছাড়া বর্তমানে আন্দোলন থেকে শকু পুরোই পিছপা হয়ে আছেন। তা ছাড়া শহর কেন্দ্রিক মহানগর বিএনপির রাজনীতি কিন্তু শহরেই দেখা যায় না কাউকে। তা ছাড়া কমিটিতে থাকা আরো তিন যুগ্ম আহŸায়ক মহানগর বিএনপির সাথে একত্মতা প্রকাশ না করলে ও তাদের আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রয়োজন ছিলো। তারা দলের দু:সময়ে ও তাদের মধ্যে যে বিভক্ত তা বার বার প্রমান করে যাচ্ছেন। এমনকি এদের সাথে একত্মতা প্রকাশ করেই আরেক যুগ্ম আহŸায়ক এম-এইচ মামুন কানাডায় চলে গেছেন। যার কারণে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দাবি, মহানগর বিএনপির এই কমিটি গ্রহণযোগ্য হয়নি। ১০ জন যুগ্ম আহŸায়ক বিশিষ্ট কমিটি থাকতে ও মামলা-হামলা-গ্রেফতার থেকে বেঁচে এই নেতা দিব্বি ভালো আছে এদিকে কর্মীদের যাই হোক দেখার কোন সাবজেক্ট নাই এমনটাই বলছে কর্মীরা। সাখাওয়াত মাঠে না থাকলে ও নির্দেশনা দিয়ে রাজপথে মহানগর বিএনপির ব্যানারে আন্দোলন করিয়ে যাচ্ছে। যদি আহŸায়ক ও সদস্য সচিবই আন্দোলন চালিয়ে যাবে তাহলে বাকিরা কি করছে তাদের কমিটিতে রেখে কি লাভ এমন প্রশ্ন তৃণমূলে ঘুর-পাক খাচ্ছে। সূত্র বলছে, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহŸায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। সেখানে আহŸায়ক করা হয় এড. সাখাওয়াত ও সদস্য সচিব করা আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে যার পর থেকেই একটি অংশ বিভক্ত হয়ে আলাদা একাংশ মহানগর বিএনপি গঠন করে। কয়েক মাস দুই পক্ষের মধ্যে কমিটি নিয়ে টানাপোড়ন দেখা গেলে ও হঠাৎ নিস্কিয় হয়ে পরেন একাংশের ১৫ জন বিদ্রোহী নেতা। এদিকে বিদ্রোহী আতাউর রহমান মুকলকে বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঙ্গল মার্কা হিসেবেই চিনে থাকে। যার কারণে নেতাকর্মীরা বলছে সে ক্ষমতা চায় রাজনীতি চায় না যার কারণে বিএনপি থেকে গাঁ বাচিঁয়ে চলছে। আরেকজন বর্তমানে আব্দুস সবুর খান সেন্টু তিনি ও মুকুলের সাথে তাল মিলিয়ে চলে বর্তমানে তৈমূর বলয়ে ঘেঁষা খায় কিন্তু কিছুদিন পূর্বে তৈমূর আলম খন্দকার তৃণমূল বিএনপিতে চলে য়াওয়ার কারণে তারা হতাশ হয়ে পরেন, কিন্তু এক সময় এই কালাম বলয়ের সেন্টু ও মুকুল তৈমূরের সাথেই কাজ করেছেন এখনো তলে তলে করছেন কিনা তা ও অস্বাভাবিকের কিছু না। যার কারণে বর্তমানে বিএনপিতে ও তারা কোনভাবে যুক্ত নেই। তারা বর্তমানে কঠোর আন্দোলনে ঘরে বসে থেকে বিএনপির নামধারী নেতা হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। ইতিমধ্যে বিএনপির ১০ দফা পর্যন্ত কর্মসূচি গেলে ও তাদের ভূমিকা ছিলো এক বারে বলা চলে হাল ছাড়ার মতোই। তা ছাড়া যুগ্ম আহŸায়ক আবুল কাউসার আশা- সদস্য শওকত হাসেম শকু কাউন্সিল হিসেবে দায়িত্বরত আছেন যার কারণে তাদের দল নিয়ে কোন চিন্তা নেই বললে ও চলে। তা ছাড়া যখন মহানগর বিএনপির সম্মেলনের আলোচনা হয়ে ছিলো তখন উঠে পড়ে বাইটাল পদে আসতে চেয়েছিলেন এই দুই নেতা। তা ছাড়া যুগ্ম আহŸায়ক সরকার হুমায়ুন, মনির হোসেন খান, রেজা রিপন, আনোয়ার হোসেন আনু তাদের সকলেই ‘ওয়ানম্যান শো’ নেতা হিসেই চিনে তারা শুধু একাই রাজপথে আসে আর যায় তাদের নিজস্ব কোন লোকবল নেই কিন্তু পদটি নিয়েছেন যুগ্ম আহŸায়ক হিসেবে। তা ছাড়া মহানগর বিএনপির আহŸায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বহু মামলার চাপে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আত্মগোপনে আছেন কিন্তু নির্দেশনার মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। আর সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর গ্রেফতারের পর বলা চলে পুরো ধমে মহানগর বিএনপির ছন্নছাড়া প্রায়। তা ছাড়া কমিটির বাকিদের নিয়েই বর্তমানে মহানগরে আলোচনা-সমালোচনার বইছে। কর্মীদের দাবি এদের ধারা সংগঠনের আরো ক্ষতি হচ্ছে। তা ছাড়া এদের নামে মামলার কোন শব্দ ও শোনা যায়নি শুধু আহŸায়ক ও সদস্য সচিবের মানেই সকল মামলা তা ছাড়া চিহ্নি কিছু সদস্য ছাড়া এই যুগ্ম আহŸায়কদের নামে নেই কোন মামলা। কেউ কেউ বলছে, তারা দলের সুসময়ে পাশে থাকে আর দু:সময়ে পিছপা হয় তারা আন্দোলন না গাঁ বাঁচিয়ে চলা রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ হয়ে আছেন। তৃণমূলের দাবি, কখনো দলের সুসময়ে আবারো এদের মুখ দর্শন করতে পারে রাজপথ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা