আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | ভোর ৫:৫৭

চাপা ক্ষোভে আ’লীগের তৃনমূল

ডান্ডিবার্তা | ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৭:২২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতি শহরকে ঘিরেই। তাই জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দপ্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ অফিস আদালতও এই শহরকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে। সেই প্রয়োজনের তাগিদেই এখানকার রাজনৈতিক দলগুলোর নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র কিংবা মূল কার্যালয়ও এই শহরে রয়েছে। কিন্তু এই সদরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা নির্বাচনী আসনটিকে গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। যার কারণে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতারাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই তারা অনেকটাই গৃহবন্দী করে রেখেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা। অনেকটা মুখ লুকিয়ে রাখার মতো অবস্থায় আছেন তারা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেওয়ার কারণে দলীয় প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের পর থেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অনেকটাই নিজেদের লুকিয়ে নিয়েছেন বলে সচেতন মহলের অভিমত। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির সাথে এবার কোন জোটবদ্ধ নির্বাচন না করার পরও এই আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় তৃণমূলে ক্ষোভের মুখে পড়ার ভয়েই এই আত্মগোপন বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে তৃণমূলের কাছে নিজেদের অসহায় নেতা হিসেবে পরিণত হওয়ার ভয় অন্যদিকে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার পরও এখান থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে না পারায় হতাশাসহ চাপা কষ্টে আছেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতারা। নিজেদের অবমূল্যায়ন ও অসহায়ত্ব প্রকাশের ভয়ে নির্বাচনের বিষয়ে সহজে মিডিয়ার কাছেও আসছেন না তারা। সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের অন্যতম ঘাটি হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ সদর এবং বন্দর উপজেলা নিয়ে গঠিত সদর-বন্দর আসনটি শুধু নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগই নয়, পুরো নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছর পরও এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ মাত্র দুইবার নির্বাচিত হয়। যেখানে এগারটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে গণতন্ত্র উদ্ধার হিসেবে পরিচিত অর্থাৎ ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর থেকে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ মাত্র একবার নির্বাচিত হয়। যা ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে বন্দরের বাসিন্দা এসএম আকরামের হাত ধরে নির্বাচিত হয় আওয়ামী লীগ। এর বাইরে এই আসনটি হয় বিএনপি আর না হয় জাতীয় পার্টির দখলে চলে যায় বারবার। যা সদর-বন্দর আসনের আওয়ামী লীগ ভক্তদের কাছে খুবই লজ্জাজনক বা হতাশাজনক বলে মনে করা হয়। এই ব্যর্থতার জন্য জেলার নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতৃত্বকেই দায়ী করছেন আওয়ামী লীগের ভক্তরা। কেন্দ্রকে তারা বিষয়টি সঠিকভাবে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে দাবি তাদের। এমনকি আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কান্না তাদের কান পর্যন্ত ঠিক মতো পৌঁছায়নি বলেও মনে করেন তারা। তাই আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব সংকটের কথা শুনেও কেন্দ্র নির্বিকার থেকেছে বলে তাদের দাবি। এই আসনে সর্বশেষ টানা ২২ বছর যাবৎ ক্ষমতার বাইরে আওয়ামী লীগ। অথচ এরমধ্যে ১৫ বছর যাবৎই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। এর ফলে দলের কোন উন্নয়ন কাজেই অংশ নিতে পারছে না আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মীরা। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের কিছু সুযোগ সন্ধানী নেতা এসব তৃণমূলের রক্ত হরণ করে তাদের আখের গুছাচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে প্রায় একযুগ ধরে। ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকেই এই দাবি দৃঢ় হতে শুরু করে। যা ২০১৮ সালে আরও জোরালে হয়। তবে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকেই সেই দাবি এই আসনের আওয়ামী লীগ সমর্থকদের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয় বলে জানা যায়। এদিকে কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পেয়েই এবারের নির্বাচনে কমপক্ষে ৬ জন আওয়ামী লীগের নেতা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু বেলা শেষে তাদের অবজ্ঞা করেই অর্থাৎ সদর-বন্দর আসনের আওয়ামী লীগের কোন প্রকার জোটবদ্ধ নির্বাচন না করা সত্তে¡ও জাতীয় পার্টিকে এই আসনটি ছেড়ে দেয় কেন্দ্র। এতে করে এখানকার আওয়ামী সমর্থকদের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হওয়ার ভয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই চুপসে গেছেন তারা। তাছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকলেও এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের কোন নেতা প্রার্থী না হওয়ার দলের প্রতি তাদের দরদ নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা