আন্দোলনে টিকে থাকতে চায় বিএনপি
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সারা দেশে বিএনপির আন্দোলন চলছে। কিন্তু সরকার বিএনপির এই আন্দোলনকে কোনো রকম পাত্তা না দিয়ে একটি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই নারয়ণগঞ্জের বিএনপি নেতারা মনে করেন সরকার এবার আরো ভয়ংকর ভাবে জনগনের সকল প্রকারের গণতন্ত্রিক অধীকার হরন করে চলেছে। সারা দেশে এবার সরকার ডামি প্রার্থী দাড় করিয়ে নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে চাইছে। কিন্তু এরই মাঝে এবারের এই নির্বাচন একটি ডামি নির্বাচন হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। আর ৭ জানুয়রীর নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোটারও ভোট কেন্দ্রে যাবে না। অতএব দেশের মাুনষের কাছে এবারের এই নির্বাচনও গ্রহনযোগ্য হবে না। গতকাল হোয়াট্সএপে এই প্রতিনিধির সাথে আলাপ কালে এসব কথা বলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ। তিনি আরো বলেন, দল থেকে বহিস্কৃত একমাত্র নেতা এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ আর কেউ এবারের নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপিতে স্বস্থি ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, মোটা অংকের টাকা অফার করেও সরকারের পক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কাউকে অথবা দলের অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে বাগিয়ে নেয়া সম্ভব হয়নি। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এবং কিংস পার্টির নেতারা চেষ্ঠার কোনো ঘাটতি রাখেননি বলেই জানিয়েছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির এই নেতা। তিনি আরো বলেন জনগনের ভোটের অধীকার আদায়ের আন্দোলন থেকে এক চুলও নড়বে না বিএনপি তাতে তাদেও উপর যতো অমানুষিক নির্যাতনই করা হোক না কেনো। এ বিষয়ে হোয়াট্সএপে কথা বলার সময় অপর এক বিএনপি নেতা জানিয়েছেন এবারের নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের অন্তত এক ডজন বিএনপি নেতার দিকে ছিলো সরকারের নজর। এরা হলেন সাবেক চার এমপি, জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ তিন নেতা এবং মাঝারী পর্যায়ের আরো কয়েকজন নেতা। এরা হলেন সোনারগাঁয়ের সাবেক এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম, সদর-বন্দর আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব এডভোকেট আবুল কালাম, আড়াইহাজারের সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপি নেতা মোস্তফিজুর রহমান ভুইয়া দীপু, নজরুল ইসলাম আজাদ, মাহমুদুর রহমান সুমন, অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, গোলাম ফারুক খোকন সহ আরো কয়েকজন নেতা। মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখানো সত্বেও তারা কেউ বিএনপির বাহিরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজী হননি বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট বারী ভুইয়া বলেন, আপনারা জানতে পেরেছেন সারা দেশেই বিএনপির সাবেক মন্ত্রী, এমপি এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতাদেরকে টার্গেট করে নির্বাচনে নেয়ার চেষ্ঠা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জেও আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ অনেককে টার্গেট করা হয়েছিলো। অফার করা হয়েছিলো মোটা অংকের টাকা। আর জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং তার ছেলে রিফাতকে নিয়ে কি নোংড়া খেলাটাই না খেললো ওরা। কিন্তু তাদের মিশন সম্পূর্ণ ব্যার্থ হয়েছে। বিএনপির কোনো পর্যায়ের কোনো নেতাকেই সরকার বাগিয়ে নিতে ব্যার্থ হয়েছে। এখানে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি। এখন সামনে আমরা আন্দোলনেও সফল হবো ইনশাআল্লাহ। আগামী ৭ জানুয়ারী দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নারায়ণগঞ্জ সহ সারা দেশে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ। দেশের সকল মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। তাই খুব শিগগিরই বিএনপির নেতৃত্বে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার জনগনের হাতে তুলে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। এদিকে একই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউ রহমান রনি স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন এটা সবাই এখন জানেন সরকার কিংস পার্টি গঠন করে সেই কিংস পার্টিতে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নেয়ার জন্য কোটি কোটি টাকার অফার দিয়েছে। কিন্তু সরকারের এই অপকর্মে কেউ সায় দেয়নি। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয় সারা বাংলাদেশেই দল থেকে বহিস্কৃত কয়েকজন লোভী ব্যাক্তিকে নিয়ে সরকার কিংস পার্টি গঠন করেছে। কিন্তু হাজার চেষ্ঠা করে এবং কোটি কোটি টাকা অফার করেও নারায়ণগঞ্জ সহ সারা দেশের কোথাও কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিএনপি নেতাকে নিতে পারেনি সরকার। এতে বিএনপির বিশাল সাংগঠনিক শক্তির প্রমান মিলেছে। তাই আগামী দিনে ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনের আগে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই সরকারের বিদায় নিশ্চিৎ করা হবে ইনশাআল্লাহ।