
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নিয়াজুল ইসলামের সেই অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহমুদুল হক তার অস্ত্রের লাইসেন্সটি বাতিল করেন। পাঁচ বছর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর ওপর সশস্ত্র হামলার সময় প্রকাশ্যে সেই পিস্তল উঁচিয়ে হামলার চেষ্টা করেন নিয়াজুল। গত রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, অস্ত্র আইনের নীতিমালা লঙ্ঘন করায়, পুলিশি প্রতিবেদনের আলোকে নিয়াজুলের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। নিয়াজুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ হেফাজতে থাকা তাঁর অস্ত্রের লাইসেন্সের নবায়ন চেয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছিলেন নিয়াজুল। ওই সময় তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মতামত জানতে চেয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপারকে চিঠি দেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। জবাবে অস্ত্রটি নবায়ন না করার জন্য মতামত দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রতিবেদন দিয়েছিল পুলিশ। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অস্ত্রটির লাইসেন্স নবায়ন করা হলে তা ব্যবহার করে নিয়াজুল যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় বছর আগে ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ নগরীতে ফুটপাতে হকার বসানো নিয়ে আইভী ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ নিয়াজুলের অস্ত্রটি জব্দ করে। অস্ত্রটি পুলিশের কাছে জব্দ থাকায় এটির লাইসেন্স নবায়ন করতে পারছিলেন না। এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেন। নিয়াজুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ৩০ দিনের মধ্যে নিয়াজুলের অস্ত্রের লাইসেন্স নবায়নের আবেদনের বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য জেলা প্রশাসককে আদেশ দেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন নির্দেশনা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর। চলতি বছরের ২৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নীতিমালা অনুযায়ী নিয়াজুলের অস্ত্রের লাইসেন্সের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশনার আলোকে চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর নিয়াজুলের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি হকার ইস্যুতে মেয়র আইভী ও তাঁর সমর্থকদের ওপর সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অনুসারীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। ওই হামলায় মেয়র আইভীসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী-পুলিশ-সাংবাদিকসহ আহত হন। ওই সময় শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিয়াজুল অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি হয়। এ ঘটনায় মেয়র আইভী তাকে হত্যাচেষ্টা ও প্রকাশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগে একটি মামলা করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি নিয়াজুল ইসলাম খান। মামলাটির তদন্ত শেষে গত ২৩ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দেয় তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। পিবিআই’র চার্জশিটে ১২ অভিযুক্তের মধ্যে প্রথম নামটি নিয়াজুল ইসলামের।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯