
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচিতেই ভরসা রাখছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। ইতিমধ্যে কয়েক দফায় প্রায় তিন দফা হরতাল ও দশ দফা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি দেওয়ার পর এরই ধারাবাহিকতায় আবারো গতকাল মঙ্গলবার থেকে এগারো দফার ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি চলছে। যাকে ঘিরে সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী মামলায় জর্জরিত ও গ্রেফতার আতঙ্কে আত্মগোপনে রয়েছেন। যার কারণে শুধু ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছেন। কঠোর আন্দোলনের ৪৩ দিনে ও বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে জমায়েত হয়ে বড় কোন চমকের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা ও করতে পারছে না। জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর থেকে মাঝে মাঝে দুই একদিনের বিরতি দিয়ে হরতাল-অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। তাদের মূল উদ্দেশ্য নেতাকর্মীদের ‘আত্মগোপন’ অবস্থা থেকে বের করে আনা এবং চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করতে। বর্তমানে সামগ্রিকভাবে নির্বাচন বন্ধ করাই বিএনপির মূল উদ্দেশ্য। যার কারণে বর্তমানে আন্দোলনকেই নির্বাচন ঠেকানোর চূড়ান্ত হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে বিএনপি। আর নেতাকর্মীরা বলছে, বর্তমানে এই আন্দোলন হরতাল-অবরোধ ও ‘অসহযোগের’ মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তাছাড়া ও নেতাকর্মীরা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি কিছুটা হলেও সফল হচ্ছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচিই অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। এদিকে অতি শীঘ্রই আত্মগোপন কাটিয়ে বের হয়ে রাজপথে আসছেন বিএনপির মূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তাদের আবারো রাজপথে নামার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। নেতাকর্মীদের দাবি, এক দফা দাবি এবার বাস্তবায়ন ছাড়া এই সরকার তাদের পাতানো নির্বাচন করতে পারবে না। ইতিমধ্যে আন্দোলনেই যেহেতু বিএনপির নেতাকর্মীদের ভরসা তাহলেই রাজপথের আন্দোলনেই সফলতা ফিরিয়ে আসবে বলছে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মী। সূত্র বলছে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনে থাকা বিএনপির লক্ষ্য এখন ভোট ঠেকানো। এ জন্য ভোটের প্রচার শুরুর দিন ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যবর্তী সময়কে আন্দোলনের উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচনার আলোকে রেখেছে দলটির নেতাকর্মীরা। এদিকে ভোট ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ আন্দোলন পরিচালনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে জড়িত নেতারা বর্তমান বাস্তবতায় হরতাল-অবরোধের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি কিছুটা হলেও সফল হচ্ছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচিই অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। তাছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ঘিরে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন পন্ড হয়ে যায়। দীর্ঘ ৪৩ দিন পর প্রকাশ্য এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজপথে নেতাকর্মীদের জমায়েত করতে চাইলে ও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে দলটি। বিএনপির নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী বুঝা যাচ্ছে তারা মনে করছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রেখে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হলেও তা আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। কারণ এবার বিদেশিদের চাওয়া, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। সুতরাং ভোটের পরে আন্দোলন অব্যাহত রাখলে আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রবল চাপ এবং বিরোধী দলগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। যাকে লক্ষ্য করেই বিএনপির নেতাকর্মীরা বর্তমানে ভোট ঠেকাতে আরো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। তাদের দাবি হরতাল-অবরোধের মাধ্যমেই তারা তাদের ১ দফা দাবি আদায় করবে। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহŸায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এই সরকার তো একটি স্বৈরাচারী সরকার এই সরকারের অধীনে এ দেশে আর কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। যাকে লক্ষ্য করেই বর্তমানে আমরা কঠোর আন্দোলনের ধারবাহিকতায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছি। আর বর্তমানে এই আন্দোলনই আমাদের মূল ভরসা। এই আন্দোলনের মাধ্যমে কঠোর থেকে কঠোর কম আন্দোলন পরিচালনা করে হলেও এবার এই সরকারের পতনের ঘন্টা বাজাতে হবে। এ বিষয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটিসহ অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, বর্তমানে আমরা আন্দোলনেই রয়েছি। কোনভাবেই এই সরকারকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। আমরা অবরোধ-হরতাল ও ‘অসহযোগের’ মাধ্যমেই আমাদের সফলতা ফিরিয়ে আনবো। বর্তমানে সরকারের পাঁয়ের নিচে মাটি নেই, যে কোন মুহূর্তেই পতনের ঘন্টা বাজবে এই সরকারের সকল মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীরা আবারো আত্মগোপন ছেড়ে মাঠে নামা শুরু করে দিয়েছে। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু বলেন, এই সরকারের সময় প্রায় শেষের দিকেই, কোনভাবেই তারা তাদের এই পাতানো নির্বাচন করে সফলতা ফিরে পাবে না। আমরা দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। আর সামনে আন্দোলনের উপরে ভর করেই ‘অসহযোগ’ আন্দোলন করে হলেও এই সরকারের পতন অনিবার্য করা হবে। জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, আমরা আমাদের কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমেই এবারের সরকারের পাতানো নির্বাচন প্রতিহত করবো। বর্তমানে আমরা যে চলমান অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছি। বর্তমানে এই অবরোধ কর্মসূচির উপরেই ভর করে বিএনপি সামনের দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯