আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | ভোর ৫:৫৭

সভাপতিরা নিরব সম্পাদকরা সরব

ডান্ডিবার্তা | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৪টি আসনে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার পর থেকে সংসদীয় আসনগুলোতে দলীয় নেতাকর্মীরা সক্রীয় হয়ে উঠে। তবে সদর-বন্দর আসনে আওয়ামীলীগ তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণ্ ানা করলেও মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন স্থানীয় আওয়ামীলীগ বুঝে নিয়েছে এই আসনটি জাতীয় পাটি তথা মহাজোটের জন্য রাখা হয়েছে। যেখানে জাতীয় পাটির বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান প্রার্থী। ফলে শহর-বন্দরের এই আসনে স্থানীয় আওয়ামীলীগ মাঠে সক্রীয় রয়েছেন। কিন্তু নিশ্চুপ রয়েছে আওয়ামীলীগের অপর একটি অংশ। এদিকে নির্বাচন ঘিরে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের মধ্যে বিভক্তি দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো: বাদল ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাকে বেশ তৎপর দেখা যাচ্ছে নির্বাচনী মাঠে। কিন্তু নিশ্চুপ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। যদিও তারা দুজনই সদর-বন্দর আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোয়ন ফরম কিনেছিলেন। কিন্তু দল তাদের মনোনয়ন দেয়নি। এবং তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীও হননি। কিন্তু তাদের নিরবতা দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। ওদিকে সদর-বন্দর আসনের জাতীয় পাটির প্রার্থী সেলিম ওসমানকে সমর্থন দিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন আবু হাসনাত শহিদ বাদল ও খোকন সাহা। তারা নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন সেলিম ওসমানের পক্ষে কাজ করার জন্য। বন্দরে একাধিক দোয়া-মাহফিল করে সেখানে নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। কেন্দ্র কমিটিও গঠন করেছেন। একইভাবে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে শামীম ওসমানের পক্ষেও তৎপরতা চলছে। মোটকথা ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর-বন্দর আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করতে নেতাকর্মীদের সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের দুই সাধারণ সম্পাদক। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকায় অবস্থিত খোকন সাহার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি জামায়তের অগ্নি সন্ত্রাস, দেশ বিরোধী অপপ্রচার অপরাজনীতির বিরুদ্ধে দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ আঞ্চলিক শ্রমিক লীগ নেতৃবন্দকে শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের জন্য মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা। সেই সাথে ভোট কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে প্রতি ১০০ জন ভোটারের জন্য দুইজন করে কর্মীকে মাঠে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, নেত্রী যোগ্য প্রার্থীর জন্য সদর-বন্দর আসনটি ফাঁকা রেখেছেন। আমি নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে যাবো না। নেত্রীর সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করতেই আমি কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা যদি বর্তমান প্রেক্ষাপট বুঝে থাকেন, নেত্রীর ইঙ্গিত যদি বুঝে থাকেন তাহলে আপনারও সেলিম ওসমানের জন্য মাঠে নামবেন। এরআগে গত রোববার বিকালে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের ১৯ থেকে ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে আবু হাসনাত শহিদ মো: বাদল সেলিম ওসমানকে সমর্থন দিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা সেলিম ভাইয়ের পক্ষে আছি। এই বন্দরের সহজ সরল মানুষগুলো কিছু চায় না, সেলিম ভাইয়ের ভালোবাসা চায়। আমরা সেলিম ভাইয়ের মাধ্যমে যদি উন্নয়ন কাজ করতে না পারি আর কেউ পারবে না। তারা দুইভাই এমপি, আপনাদের যে কোন দাবি দাওয়া আদায় করে ছাড়বে, ইনশাআল্লাহ। নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের বায়তুল আমানে আওয়ামীলীগের জন্ম। সেই বাড়ির সন্তান সেলিম ওসমান। তাই আমাদের নৌকা মার্কা সেলিম ভাই। ওনি আমাদের মহাজোটের প্রার্থী। এই বন্দরের মাটি সেলিম ভাইয়ের ঘাঁটি। কিন্তু মাঠে দেখা যাচ্ছে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে। তাদের সঙ্গে তাদের অনুসারী নেতারাও মাঠে নেই। তবে তাদের একাধিক অনুসারি নেতা জানান, ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওইদিনই চুড়ান্ত হবে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী কারা। কারণ রূপগঞ্জ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামীলীগের এক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আবার তৃণমূল বিএনপির মহাসচিবও প্রার্থী। শেষ পর্যন্ত সেলিম ওসমানকে মহাজোটের প্রার্থী হচ্ছেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আড়াইহাজার আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে জাতীয় পাটির প্রার্থীও মাঠে। সোনারগাঁ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে জাতীয় পাটির প্রার্থী রয়েছেন। তিনি মহাজোট থেকে নির্বাচন করে বর্তমান এমপি। সেখানে শেষ পর্যন্ত কে হবে মহাজোটের প্রার্থী তার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী যাকে দেয়া হয়েছে তিনি শেষ পর্যন্ত চুড়ান্ত প্রার্থী। কিন্তু সদর-বন্দর আসনে আওয়ামীলীগ কোন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। সেখানে জাতীয় পাটির বর্তমান এমপি মাঠ। তারা আরও জানান, এমন পরিস্থিতিতে এখনো কেন্দ্র থেকে কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। কেন্দ্র নির্দেশ দিলে অবশ্যই নেতারা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে। মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে করতে বললে করবে। কিন্তু এতো তাড়াহুড়োর কি আছে। সবমিলিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের দুই সাধারণ সম্পাদক শামীম ওসমান এবং সেলিম ওসমানের পক্ষে মাঠে তৎপর আর দুই সভাপতি আপাতত নিশ্চুপ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা