বন্দরে গণহত্যার ইতিহাস
১৯৭১ সালে ৪ এপ্রিল ভোরে বন্দর উপজেলায় সিরাজদৌল্লাহ ক্লাব মাঠে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ৫৪ জন নারী-পুরুষকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশগুলো গান পাউডার দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে তারা। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় বাড়িঘর। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বন্দর, আমিনপুর, সোনাকান্দা, ডকইয়ার্ড, র্যালিবাগান, বিএসডি, ইস্পাহানী সহ বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প করে। তার স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় বিভিন্ন স্থানে আক্রমন চালাতো। ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে নবীগঞ্জ থেকে বন্দর স্টেশন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তাঁদের যুদ্ধ হয়। পাকিস্তানিরা ব্যাংকার থেকে বেরিয়ে এসে আক্রমন করে। ব্রাশফায়ারে মিএ বাহিনীর ৮ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়। ২ মুক্তিযোদ্বা আহত হয়। ঐ দিন বিকেল থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত যুদ্ধ চলে। পরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পালিয়ে যায়। পরে মুক্তিযোদ্বারা নবীগঞ্জে ১৫ রাজাকারকে ধরে হত্যা করে। সেদিনের ঘটনায় শহীদ হওয়া ৫৪ জনের মধ্যে ২৫ জনের পরিচয় গেছে। এরা হচ্ছে -ছমির উদ্দীন সরদার, মন্তাজ উদ্দীন মাষ্টার, আলী আকবর, রেজাউল ইসলাম, বাবুল, আমির হোসেন, নায়েব আলী, আলী হোসেন, ইউসুফ আলী, সুরুজ চন্দ্র, যবুনা চন্দ্র কানু, লছমন চন্দ্র কানু, কানাই লাল কানু, গোপাল চন্দ্র, ভগবত দাস, দুগচিরন প্রসাদ, নারায়ণ চন্দ্র প্রসাদ, ইন্দ্রচন্দ্র দাস, সুরেশ চন্দ্র দাস, দিগেন্দ্র চন্দ্র বর্মন, বনেল চৌধুরী, মোবারক, হারাধন মাষ্টার, নারায়ন চৌধুরী, বাদশা খান, পরেশ খান।