আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৭:৫৪

নির্বাচনী মাঠে শঙ্কায় তৃণমূল বিএনপি-বিএনএম

ডান্ডিবার্তা | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৭:২২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট এবার নির্বাচনে বড় চমক ছিল তৃণমূল বিএনপি এবং বিএনএম। বিশেষ করে তৈমুর আলম খন্দকার এবং শমসের মবিন চৌধুরীর তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান এবং শাহ জাফরের বিএনএমর নেতৃত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনেকে মনে করেছিল যে, এই দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপির ভোটগুলো টানবে। বিএনপির অনেক নেতা এখানে যোগ দিবেন। আওয়ামী বিরোধী একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম হতে পারে এই দুটি রাজনৈতিক দলের যেকোনো একটি। দুটি দলই শতাধিক আসনে প্রার্থিতা দিয়েছিল কিন্তু নির্বাচনের মাঠে এখন তারা অনেকটা এতিম হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভিড়ে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তৃণমূল বিএনপি এবং বিএনএমকে। সারাদেশে যে সমস্ত স্থানে তৃণমূল বিএনপি এবং বিএনএম প্রার্থী দিয়েছে, সেই আসনগুলোতে সরজমিনে খোঁজখবর নিয়ে দেখা গেছে যে দু একজন জন প্রার্থী ছাড়া কাউকে নিয়েই সেখানে কোন ধরনের আলাপ আলোচনাই হচ্ছে না। বরং যে সমস্ত প্রার্থীরা এই দুটি জোটের মনোনয়ন পেয়েছেন তাদেরকে অনেকে এলাকায় চেনেও না। তাদের সম্বন্ধে কোন পরিচিতিও নেই। তৃণমূল বিএনপি এবং বিএনএম ছাড়াও আরও বেশ কিছু রাজনৈতিক দল এবার নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে। তাদেরও অবস্থা একই রকম। নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি দুটি আসনে আলোচনায় এসেছে। তারপরও সেই দুটি আসনের মধ্যে নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত কী হবে তা অনিশ্চিত। এ দুটি আসনের মধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আসন, যেখানে ছিল তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গাজী গোলাম দস্তগীর। এই আসনটিতে তৃণমূল বিএনপি কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। কারণ এখানে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে। অন্যদিকে শমসের মবিন চৌধুরী প্রার্থী হয়েছেন সিলেটে নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে। এই আসনেও এখন পর্যন্ত শমসের মবিন চৌধুরী ততটা আলোচিত নন। তবে অনেকেই মনে করেন যে, শেষপর্যন্ত হয়তো শমসের মবিন চৌধুরী এই আসনটিতে কিছুটা হলেও সারা জাগাতে পারবেন। কারণ এই আসনে নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের একটা অংশ অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং তারা শমসের মবিন চৌধুরীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করতে পারে বলেও কোনো কোনো মহল মনে করছেন। এই দুটি আসন ছাড়া আর কোন আসনেই তৃণমূল বিএনপির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাদেরকে জনসংযোগ বা অন্য কোন আলোচনাতেও দেখা যাচ্ছে না। বিএনএমের অবস্থা আরও শোচনীয়। বিএনএমর প্রধান নেতা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর প্রার্থী হয়েছেন ফরিদপুর-১ আসনে। কিন্তু সেই আসনে তিনি এখন পর্যন্ত জমাতে পারেননি। বরং আওয়ামী লীগ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর পদভারে এই আসন মুখরিত হচ্ছে। চাঁদপুর-৪ আসন থেকে বিএনএমের মহাসচিব ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু আসলে তিনি খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না বলেই স্থানীয় লোকজন বলছেন। তবে সাতক্ষীরা-৪ থেকে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের একান্ত সচিব এইচ এম গোলাম রেজা প্রার্থী হয়েছেন। তিনি সাবেক এমপি ছিলেন। তিনি এই আসনে কিছুটা হলেও প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন। এই তিনটি আসন ছাড়া অন্য কোন আসনে বিএনএমের তেমন কোন আলোচনা বা জোরালো তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত যদি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে এই দুটি রাজনৈতিক দল যারা কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিত তারা কয়টি আসন পাবে তা নিয়ে অনেকেরই সংশয় রয়েছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা