আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৭:৪৩

ঝুঁকি মাথায় রেখেই নির্বাচনে ইসি

ডান্ডিবার্তা | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৭:২৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের আগে এখনও নানা রকম শঙ্কা উদ্বেগ উৎকণ্ঠা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নেতারা প্রতিদিনই বলছেন যে, নির্বাচনকে ঘিরে নানা রকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং এই ষড়যন্ত্র বানচাল করে তারা নির্বাচন করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তবে নির্বাচনের এই পদযাত্রায় আগামী কয়েকটা দিন অনেকগুলো ঝুঁকি সামনে আসবে। এবং ঝুঁকিকে মাথায় নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। এই নির্বাচন নিয়ে যে পাঁচটি বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে তার মধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা: ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে এক ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। সেই ভিসা নীতির আওতায় গত সেপ্টেম্বরে কয়েকজনের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এখন এবারের নির্বাচন যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হয়, জনমতের প্রতিফলন না ঘটে তাহলে মে মাসে ঘোষিত ভিসা নীতি অনুযায়ী অনেকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে, নির্বাচনের পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর আগে কম্বোডিয়া, নাইজিরিয়া এবং গুয়াতেমালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক না হয়, তাহলে বাংলাদেশেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে এমন গুঞ্জন রয়েছে। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা: ভিসা নিষেধাজ্ঞার চেয়েও ভয়ঙ্কর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এবং বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও আতঙ্কিত। যদিও সরকারি কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে বলছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের ভয় কোন নিষেধাজ্ঞা দেবে না বা নতুন শ্রমনীতি বাংলাদেশকে আক্রান্ত করবে না। কিন্তু ওয়াশিংটনে অবস্থানরত বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার কমার্স এক বার্তায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন যে মার্কিন নতুন শ্রমনীতির অন্যতম টার্গেট হতে পারে বাংলাদেশ। কাজেই নির্বাচনের পরে শ্রমনীতির একটি শঙ্কাও সকলের জন্য থাকতে পারে। শ্রমনীতির আলোকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার শঙ্কাও সবার জন্য থাকতে পারে। পশ্চিমা দেশগুলোর মনোভাব: পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে নির্বাচনের বিষয়গুলো দেখছে। শেষ পর্যন্ত যদি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হয় তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো অবস্থানে যাবে কিনা সে নিয়েও রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম আলোচনা আছে এবং এই ঝুঁকি মাথায় রেখেই সরকার নির্বাচন করেছে। ভারতের মনোভাব: ভারত এই নির্বাচনের পক্ষে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সহনীয় করার ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু ভারত বাংলাদেশে নির্বাচনের ব্যাপারে একটি সুস্পষ্ট শর্ত দিয়েছে তা হল যে নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন শেষ পর্যন্ত সরকার যদি না করতে পারে তাহলে ভারতও বাংলাদেশকে রক্ষা করবে না এমন গুঞ্জন আকাশে বাতাসে শোনা যায়। ভারত বারবার সরকারের বিভিন্ন মহলকে বলছে যে, নির্বাচন যেন শেষ পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং এটি নিশ্চিত করার জন্য সরকার যেন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সিইসির যেকোনো পদক্ষেপ: প্রধান নির্বাচন কমিশনার যেকোনো সময় যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। তিনি নির্বাচনের ব্যাপারে যদি সন্তুষ্ট না হন তাহলে শেষ মুহূর্তে কোনরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন এমন গুঞ্জনও আছে। এর আগে তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে পদত্যাগের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। আর এই কারণেই যদি নির্বাচনের পরিবেশ ভাল না থাকে, যদি সহিংসতা বা অন্য কোন ঘটনাবলী সীমার বাইরে চলে যায় বা নির্বাচন কমিশন কোন চাপের মুখোমুখি হয়, সেক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, যা নির্বাচনের জন্য একটি বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা