আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:৩০

ভোটযুদ্ধে নেই শক্তিশালী প্রার্থী!

ডান্ডিবার্তা | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আর মাত্র কয়েক দিন পরেই জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারনায় মাঠে নামছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন পার করে আগামী ১৮ ডিসেম্বর এমপি প্রার্থীরা প্রতীক পাচ্ছে। আর তখন থেকে তাদের প্রচারনায় কোন বাধা নেই। তাই এখন আর আওয়ামী লীগের সাথে জোট মহাজোট গঠন নিয়ে সকল আলোচনাকে উপেক্ষা করে নির্বাচনের ভোট গ্রহনে দিকে এগুচ্ছে। যদিও জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের ১৪ দলীয় শরীক দল সমঝোতার মাধ্যমে ৪০ থেকে ৫০টি আসনে জয়ের বিষয়ে নিশ্চয়তা কিংবা তাদের প্রস্তাবকৃত আসনে নৌকা প্রার্থী না রাখার জন্য বলেছেন। কিন্তু তাদের এই প্রস্তাবে টানা তৃতীয়বারের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এখনো সিদ্ধান্ত না দিলে দলটির সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদেল বলেছেন আসন ভাগাভাগি হচ্ছে না। সকলকে নিজের জনপ্রিয়তায় পাশ করে আসতে হবে। দলীয় সুত্রমতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের ৩৩টিতে বিজয় নিশ্চিতে আত্মবিশ্বাসী আওয়ামী লীগ। কারণ, এই আসনগুলো আওয়ামী লীগের বিপরীতে তেমন শক্তিশালী বিরোধী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই ৩৩ আসনে প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় এখানে অন্য দলের শক্তিশালী প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন না। এমনকি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্রপ্রার্থী না থাকায় সহজে জয়ের পথে রয়েছে। তার মাঝে সোনারগাঁ এমপি প্রার্থী জয়ের বেপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আড়াইহাজার আসনে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম বাবু, জাতীয় পার্টির আলমগীর সিকদার লোটন, তৃণমূল বিএনপির আবু হানিফ হৃদয় ও জাকের পার্টির মো. শাহজাহান। এখানে একমাত্র আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম ছাড়া বাকিরা দুর্বল প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী শামীম ওসমান, এছাড়া এই আসনে জাতীয় পার্টির ছালাউদ্দিন খোকা মোল্লা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সৈয়দ হোসেন, তৃণমূল বিএনপির আলী হোসেন, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সেলিম আহমেদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের হাবিবুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শহীদ উন নবী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের গোলাম মোর্শেদ রনি এমপি প্রার্থী হয়েছে। এখাইের নৌকার প্রার্থী শামীম ওসমানের সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য তেমন কোন শক্তিশালী প্রার্থী নেই। সদর-বন্দর আসনে পাঁচ জন প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। জাতীয় পার্টির থেকে লাঙলের প্রার্থী সেলিম ওসমান, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের এ এম এম একরামুল হক, জাকের পার্টির মোর্শেদ হাসান, তৃণমূল বিএনপির আব্দুল হামিদ ভাষানী ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ছামসুল ইসলাম। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের এই তিনটি আসনের এমপি প্রার্থীরা জয়ের বেপারে আত্মবিশ্বাসী রয়েছেন। কেননা তাদের বিপক্ষে যেমন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই তেমনি এখানে শক্তিশালী হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকায় তারা সহজন জয়ের পথে রয়েছে। তবে নিরব ভোট নিয়ে তারা আতঙ্কে রয়েছেন। কেননা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলে যাচ্ছেন আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু এবং অবাধ গ্রহন যোগ্য নির্বাচন হবে। নিজের যোগ্যতায় কিংবা জনপ্রিয়তায় পাশ করে আসতে হবে। সেই সাথে প্রশাসন কারো পক্ষে থাকবে না বলে বার বার বলা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ মনে করে স্বতন্ত্র প্রার্থী যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তাদের উৎসাহ উদ্দীপনার কারণে সারা দেশেই নির্বাচনে আমেজ তৈরি হয়েছে। শেষপর্যন্ত যদি এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ভালো হয় এবং নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তাহলেই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না। আর এক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের ৩টি আসনে বর্তমান এমপিদের বিপক্ষে তেমন কোন শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় জয়ে বেপারে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে রয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও তাই মনে করছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা