আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:৩০

ফের রাজপথে নামছে বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশে থম-থমে পরিবেশ বিরাজমান রয়েছে। দেখা যাচ্ছে না কোন উৎসব আমেজ। এদিকে বর্তমানে ১৭ তারিখের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ক্ষতাসীনসহ বিরোধী দলগুলো। ক্ষমতাসীন নেতাকর্মীদের দাবি, যে কোন মূল্যে এবার আগামী ৭ জানুয়ারী নির্বাচন হবে, আর বিরোধী বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর দাবি, ১ দফা দাবি যে পর্যন্ত বাস্তবায়ন না হবে সেই পর্যন্ত এই দেশে কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। যাকে ঘিরে বর্তমান তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী দল বিএনপি চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ১১ দফা অবরোধ-হরতাল চলমান। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলন হিসেবে একদফা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। থেমে থেকে অবরোধ এবং ঝটিকা মিছিলেই সীমাবদ্ধ থাকছে বিএনপি। এর বাইরে বিএনপির আর কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও তাই বিএনপির ফল প্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছে, বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীকে মামলা দিয়ে দাবিয়ে রাখতে চাইছে এই সরকার কিন্তু তা কখনো সম্ভব হয়ে দাঁড়াবে না। অতি শীঘ্রই মামলায় জর্জরিত থাকা নেতাকর্মীরা রাজপথে আশা শুরু করেছে। সামনে আরো কঠোরভাবে অবস্থান নিবে বিএনপি। নেতাকর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী জানা গেছে, ইতিমধ্যে জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় অনলাইন বৈঠক চলমান রেখেছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশ আসলেই ঝাঁপিয়ে পরার আশঙ্কা জানিয়েছে দলটি। এদিকে কর্মীরা হতাশায় তাদের ও নিয়মিত আশ্বাস দিয়ে রেখেছে বলে ও জানা গেছে। সূত্র বলছে, গত ১০ ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ার বার ভবনের সামনে কেন্দ্রীয় ঘোষিত মানববন্ধন করতে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছেন বিএনপির পরিবার ও আইনজীবীরা। অন্যদিকে মামলায় জর্জরিত বিএনপির নেতাকর্মীরা আসতে পারছে না রাজপথে। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জে প্রায় হাজারো নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছে। কিন্তু, যারা বাইরে আছে তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড চোখে পড়ছে না। অবরোধ ডেকেও তাদের খোঁজ নেই। এছাড়াও মানবাধিকার দিবস পেরিয়ে গেলেও মার্কিনিদের নির্লিপ্ত থাকায় সরকার ও সরকারি দল আওয়ামী লীগ এখন অনেকটাই নির্ভার। বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশ। কিন্তু এখন ১৭ ডিসেম্বরে দিকেই তাকিয়ে আছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া ও নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করা দলগুলো। কি হতে যাচ্ছে ১৭ ডিসেম্বর তা নিয়ে অনেক আলোচনার ঝড় বইছে। তাছাড়া এক কথায় বলা চলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বর্তমানে হতাশায় ভুগছেন তেমনি কর্মীরা ও হতাশাগ্রস্থ হয়ে আছেন। সবকিছু মিলিয়ে বিএনপির অবস্থান এখন হ-য-ব-র-ল মনে করছেন অনেকেই। সব মিলিয়ে একদফার আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে এই মুহূর্তে বিএনপি কোন সুবিধা করতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকের মুখেই। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর হবে প্রতীক বরাদ্দ। এদিন থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে। আর ৭ জানুয়ারি হবে ভোট। এখন দেখা বিষয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং ভোটের আগে ধাপে ধাপে দেওয়া অবরোধ হরতালের কি ফল পায় বিএনপি। এদিকে নেতাকর্মীরা বলছে, প্রায় দেড় মাস বিএনপির মামলায় থাকা নেতারা রাজপথে জমায়েত হতে পারছে না। কিন্তু আর কত আটকে রাখা যাবে এবার রাজপথে নামার সময় এসেছে। কোন ডেট দিয়ে আন্দোলন করা যাবে না, শীঘ্রই দেশের জনগণ এই সরকারের থেকে ১ দফা দাবি আদায় করেই ছাড়বেই। এই সরকারের পাতানো নির্বাচন যেমন জনগণ মানতে চায় না তেমনি ভাবেই এই সরকার ক্ষমতায় থাকুক এটা ও দেশের জনগণ চায় না। এবার জনগণের হাতেই এই সরকারের পতনের ঘন্টা বাজবে বলছে, বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহŸায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমরা বর্তমানে সরকার পতনের আন্দোলনে রয়েছি। আর যাকে ঘিরে আমাদের বিরুদ্ধে হাজারো মিথ্যা-মামলা দিয়ে রেখেছে এই সরকার। যাকে ঘিরে দীর্ঘদিন বিএনপির নেতাকর্মীরা গ্রেফতার এড়িয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। কিন্তু সকলেই বুঝে গেছে এই সরকারকে আর সুযোগ দিয়ে লাভ নেই যাকে ঘিরে ধীরে ধীরে নেতাকর্মীরা রাজপথে নামা শুরু করে দিয়েছে। সামনে আরো কঠোরভাবে নেতাকর্মী ও দেশের জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান করবে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, জেলা বিএনপি বর্তমানে এই সরকারের পতনের ঘন্টা বাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। শীঘ্রই বিএনপির নেতাকর্মীরা আবারো জমায়েত হয়ে রাজপথে নামবে ইতিমধ্যে কয়েক জায়গায় নামা শুরু হয়ে গেছে। অতি শীঘ্রই নারায়ণগঞ্জেও দেখা যাবে। বিএনপির নির্বাহী কমিটিসহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, আমরা ধীরে ধীরে রাজপথে নামা শুরু করে দিয়েছি। আর কাউকে আত্মগোপনে রাখা যাবে না সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে সর্বাত্মক আন্দোলনের মাধ্যমে এই পাতানো নির্বাচন বন্ধ করবো ও সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবো।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা