আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:৩০

ভোটার উপস্থিতিই প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ

ডান্ডিবার্তা | ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জের প্রার্থীরা এবার আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই দলীয় প্রার্থীর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। আওয়ামীলীগ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উপর নির্ভর করছে কেন্দ্রে ভোটর উপস্থিত করা। আর সেই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে কাজ করছে দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এছাড়া ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান এবং সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ হলো ভোট কেন্দ্রগুলিতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। কারণ তাদের সাথে এবারের নির্বাচনে কোনো শক্ত প্রার্থী নেই। এমনকি তাদের সাথে কে বা কারা প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন সেটাও জানেন না নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ। তাই ফতুল্লা-স্ধিরগঞ্জ এবং সদর-বন্দর আসনের ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা মনে করেন এবারের নির্বাচনে আরো সহজে বিজয়ী হবেন এই দুই এমপি। কারণ এবার একেবারেই ভোট কেন্দ্রে যাবে না ভোটাররা। এ বিষয়ে একজন রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের অধিকাংশই ভোট কেন্দ্রে যেতে রাজী নন। তারা পরিষ্কার ভাবেই জানিয়ে দেন যে এখানে তো ভোটের কোনো দরকারই নেই। কারণ শামীম ওসমান আর সেলিম ওসমানের সাথে প্রতিদ্ব›দ্বীতা হতে পারে এমন কোনো প্রার্থীই এবারের নির্বাচনে দাঁড়াননি। তাহলে আমরা ভোট কেন্দ্রে কেনো যাবো? তারাতো এমনিতেই জয়ী হবেন। শতকরা পাঁচ ভাগ ভোটারও যদি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন তবুও তারা বিজয়ী হবেন। ফলে ভোটারদের এমন মনোনভাবের বিষয়টি জানতে বা বুঝতে পেরেছেন শামীম ওসমান এবং সেলিম ওসমান নিজেরাও। তাই তারা ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য তৎপর রয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা এখন এ বিষয়টি নিয়েই দুশ্চিন্তার মাঝে রয়েছেন। ফলে এরই মাঝে কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি গঠন করে তারা তাদের কর্মী সমর্থকদের মাঠে নামিয়েছেন। যেকোনো মূল্যে তারা ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে চান। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তার নির্বাচনী এলাকায় আরো আগে থেকেই প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রকে ঘিরে কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি গঠন করেছেন। আর এসব কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কিভাবে তারা ভোটারদেরকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ভোট কেন্দ্রে আনতে পারেন। অপরদিকে একইরকম তৎপরতা শুরু করেছেন সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। তিনিও ভোটার টার্নআউট বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে শামীম ওসমানের আসনে আওয়ামী লীগের নিজস্ব ভোট ব্যাংক থাকলেও সদর-বন্দর আসনে সেলিম ওসমান জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করায় এখানে এখন আর জাতীয় পার্টির আগের সেই জনপ্রিয়তা নেই। তাই সেলিম ওসমান এবার ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি এবার তার নির্বাচনী এলাকার চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদেরকে কেন্দ্রেগুলিতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় তার অনুগামি কাউন্সিলররা মাঠে নেমেছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের একাংশ এবং জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও মাঠে রয়েছেন। তিনিও যেকোনো মূল্যে কেন্দ্রগুলিতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে চান বলে জানা গেছে। তবে সার্বিকভাবে সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, তারা মনে করেন এবারও সারা দেশেই ভোট হচ্ছে একতরফা। এই নির্বাচনে তাদের ভোট দেওয়ার কোনো দরকার পরবে না। তারা আরো মনে করেন বিগত দুই নির্বাচনেও তারা ভোট দিতে পারেন নাই। তাই এবারও বিনা ভোটেই ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ। মূলত এটা বুঝতে পেরেই নারায়ণগঞ্জের এই দুই এমপি তাদের নিজ নিজ এলাকার ভোট কেন্দ্রগুলিতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা