আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:০৯

নির্বাচন বাতিলের ষড়যন্ত্র হচ্ছে!

ডান্ডিবার্তা | ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ৭ জানুয়ারি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্রও জমা দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাছাই যাছাই শেষে এখন যাদের আবেদন বাতিল হয়েছে তাদের আপিল শুনানিও শেষ হলো। আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনের সব আনুষ্ঠানিকতা যখন চলমান ঠিক সেই সময় নির্বাচন বাতিলের জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, নির্বাচন বানচালের জন্য একটি মহল এখনও ষড়যন্ত্র করছে। এখনও অব্যাহত রাখছে। তবে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে তার তফসিল অনুযায়ী অনুষ্ঠান করতে বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, এটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। এ ব্যাপারে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া বা আপস করার সুযোগ নেই। একাধিক সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের বর্তমান তফসিল বাতিল করে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নতুন তফসিল ঘোষণার একটি তৎপরতা চলছে। এই তৎপরতার মূল উদ্যোক্তা সুশীল সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধি। তারা অন্তত তিনটি দূতাবাসে বৈঠক করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এই সমস্ত বৈঠকে তারা বর্তমান নির্বাচন কেন অর্থপূর্ণ হবে না তার ব্যাখ্যা তাদের মতো করে দিচ্ছেন। তাদের মতে, এই নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল অংশগ্রহণ করছে না। জাতীয় পার্টি সহ অন্য যে রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করছে, তাদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি হচ্ছে। আসন ভাগাভাগি হলে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে না। একজন আরেকজনকে আসন ছেড়ে দেওয়া বা আসন সমঝোতা করা গণতন্ত্রের চেতনার পরিপন্থি বলেও তারা মন্তব্য করেছেন। একই সাথে তারা এই নির্বাচনে একটাই ফলাফল হতে পারে বলে মন্তব্য করছেন। তা হল আওয়ামী লীগের নিশ্চিত জয়। এরকম বাস্তবতায় তাদের ভাষায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করার জন্য তারা একটি নির্বাচনী সংলাপের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন, যে সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো আছে একটা মাঝামাঝি অবস্থানে আসবে এবং সেখান থেকে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হবে। ক‚টনীতিকদের কাছে সুশীলরা তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবি বলেনি বটে। কিন্তু সুস্পষ্ট ভাবে বলে তাদের বক্তব্য থেকে মনে হচ্ছে যে, তারা দেশে একটি সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন, যে ভাবে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করা হয়েছিল ২২ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে একটি নির্বাচনের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে। এবং নতুন সরকারকে দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। সেই অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন খুব একটা আগে না। নির্বাচনের তারিখ পেছানোর সুযোগ নেই। সেসময় সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে। কাজেই আওয়ামী লীগ ৭ জানুয়ারির নির্বাচন থেকে আর পিছু হটার কোন সুযোগ দিতে চায় না। অন্যদিকে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করার জন্যই জাতীয় পার্টিকে তুরুপের তাস হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করেন। জাতীয় পার্টি যদি ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে বা তাদের নেতারা যদি প্রতীক বরাদ্দ না দেয় সে ক্ষেত্রে একটি জটিল সমীকরণ তৈরি হবে এবং সেখান থেকে সুশীলরা অনির্বাচিত সরকার আনার পক্ষপাতী। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, সুশীল সমাজের কেউ কেউ বিভিন্ন দূতাবাস বলেছে যে, তারা নিশ্চিত শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকবে না। আর জাতীয় পার্টি নির্বাচনে না থাকলে এই নির্বাচন করাটা কতটুকু যৌক্তিক হবে সে প্রশ্ন তারা তুলেছে। তবে ক‚টনীতিকরা ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখতে চায় যে, পরিস্থিতি কোনদিকে যায়। অবশ্য আওয়ামী লীগ বলছে, জাতীয় পার্টি থাকুক না থাকুক যে সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আছে তাদের মাধ্যমেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। কারণ এই নির্বাচন একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা