আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | রাত ৩:০০

মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে নাশকতাকারীদের আগুন

ডান্ডিবার্তা | ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১০:১২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিএনপি-জামায়াতের টানা অবরোধ ও হরতালের কোন প্রভাব বন্দরে না পড়লেও ভিন্ন চিত্র মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কে। চলমান অবরোধ ও হরতালের সময় এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিল, সড়কে আগুন, আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২ জনকে আটক করে থানা পুলিশে হস্তান্তর করেছে সরকার দলীয় নেতারা। তারপরও বন্ধ হচ্ছে না এ সড়কে আগুন দেয়া। ১৪ ডিসেম্বর দিবাগত গভীর রাতে সড়কের হাসপাতালের মোর হতে বাগবাড়ির ৬/৭টি পয়েন্ট আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে গিয়েছে দূর্বৃত্তরা। বন্দরে মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কের বাগবাড়ি হাসপাতালের সামনের বিভিন্ন স্থানে আগুন দিয়েছে। কে বা কারা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা ভাবে আগুন দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা তার ফেইসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে। যা হুবহুব তুলে ধরা হল.. এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহবান হুমায়ন কবির মৃধার। গত ২৯ নভেম্বর রাতে মশাল, পেট্রোল এবং গানপাউডার সহ গাড়ি পোড়ানোর প্রস্তুতিকালে বহিরাগত ২ জনকে হাতেনাতে ধরে এলাকাবাসী আইনে সোপর্দ করে। কয়েদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল ১৪ ডিসেম্বর রাতে পুনরায় কতিপয় আগুন সন্ত্রাসী বন্দর নবীগঞ্জ রুটে আগুন সন্ত্রাস করে। চলমান প্রেক্ষাপটে মদনগঞ্জ-মদনপুর মহাসড়কের বাগবাড়ি এলাকায় গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে পুনরায় অগ্নি সন্ত্রাসীরা আগুন দেয়। সড়কে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। গভীর রাতে হঠাৎ সড়ক আলোকিত। এলাকার লোকজন বেরিয়ে আসলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। নবীগঞ্জ সড়কে হাসপাতালের সামনে প্রতিনিয়ত এমন ঝটিকা মশাল মিছিল ও সড়কে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে দূর্বৃত্তরা। ওই এলাকার লোকজনের সহযোগিতা ছাড়া এমন কাজ করা অসম্ভব বলে সচেতন মহলের দাবী। এলাকার কতিপয় কয়েকজনের জন্য আমরা সমস্যায় পরতে চাই না। প্রশাসনের কাছে দাবী দূর্বৃত্তদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় নেয়ার। সূত্র মতে, গত ২৯ নভেম্বর রাতে ছাত্রদলের অগ্নি সন্ত্রাসীরা মশাল মিছিল করে। এ সময় নাসিক ২৩ নং ওর্য়াড সেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বাদশা মৃধা ও সিফাত কবিরের নের্তৃত্বে ৬/৭ জন তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফাহিম (২৮) ও হাসিবুল ইসলাম (৩০)কে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে অকটেন ও এক প্রকারের পাউডার উদ্ধার করেন। গত ২৯ নভেম্বর বুধবার রাত পৌনে ৮ টার সময় নাসিক ২৩নং ওর্য়াডের বাগবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই বন্দর থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃতদের গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে বন্দর থানার রুজুকৃত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে বন্দর থানা পুলিশ। গত ৩০ অক্টোবর বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কের ফুলহার এলাকায় নাশকতার করার জন্য বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা হরতাল সমর্থনে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও যাত্রিবাহী গাড়ী ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। এ বিষয়ে বন্দর থানায় মামলা রুজু করে পুলিশ। বিএনপির ডাকা অবরোধ ও হরতাল সমর্থনে বাগবাড়ি এলাকায় ঝটিকা মশাল মিছিল করে। গত বুধবার রাতে মশাল মিছিল করার সময় বাদশা মৃধা ও সিফাত কবিরের নেতৃত্বে ৬/৭ জন গিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় বন্দরের রাজবাড়ী এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে ফাহিম ও হাসিবুল ইসলামকে আটক করে। মশাল মিছিল ও ছাত্রদলের অগ্নি সন্ত্রাসীদের আটকের সংবাদে দ্রæত ঘটনাস্থলে যান মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা, মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগ সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ২৩নং ওর্য়াড আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুবুর রহমান কমল, মোসাদ্দেক আলী আঙ্গুর, জাকির হোসেনসহ সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। সরকারদলীয় নেতারা উপস্থিত থেকে বন্দর থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক লক্ষনখোলা এলাকার রোমান ও মদনপুর এলাকার আল আমিনের নের্তৃত্বে এ মশাল মিছিলে ৮/১০ জন ছিল বলে আটককৃতরা তাৎক্ষণিকভাবে জানায়। বন্দর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক মোঃ শওকত ও সহকারী উপ পরিদর্শক মোঃ সোহেল রানা গিয়ে আটককৃতদের থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা বলেন, রাজনীতির নামে কেউ অগ্নি সন্ত্রাসী করলে সে যেই হোক না কেন কোন প্রকার ছাড় নেই। অন্য এলাকা হতে এসে বাগবাড়িতে কেন মশাল মিছিল করবে। তাদের ধরে থানা পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে এর সাথে আর কে কে ছিল তাদের বের করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিবে। মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগ সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান কমল বলেন, দেশের শান্ত পরিবেশকে কেউ অশান্ত করার চেষ্টা করলে এক বিন্দু পরিমান ছাড় দেয়া হবে না। ওরা চোরের গুপ্ত হামলা/ মিছিলের নামে অগ্নি সন্ত্রাসী করে। ওরা জানে না প্রশাসনের পাশাপাশি সরকার দলীয় নেতাকর্মীরাও রাজপথে আছে ও থাকবে। কোন অগ্নি সন্ত্রাসী কারো আপন বা আত্মীয় হতে পারে না। তাদের একটাই পরিচয় তারা অগ্নি সন্ত্রাসী। গত রোববার ও গত সোমবার রাতে মশাল মিছিল করে। বাগবাড়ি হাসপাতালের সামনে রোববার রাতে হঠাৎ মশাল মিছিল করে। একই স্ট্যাইলে গত সোমবার রাতেও মশাল মিছিল ও রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যায় চক্রটি। তারপর থেকে পুলিশের পাশাপাশি সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা একটু সজাগ দৃষ্টি দেয়। যার ফলসূতিতে বুধবার রাতে মশাল মিছিল পূর্বক মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ধাওয়া করে সেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বাদশা মৃধা, সিফাত কবিরের নের্তৃত্বে ৬/৭ জন। ধাওয়া খেয়ে ছাত্রদলের অগ্নি সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২ জনকে আটক করে পুলিশে দেয়। সরকারদলীয় নেতাদের দাবী, এলাকার কোন নেতা বা অগ্নি সন্ত্রাসীদের আস্ফালন ছাড়া অন্য এলাকা হতে এসে বাগবাড়িতে মশাল মিছিল ও রাস্তায় আগুন দেয়নি। স্থানীয় ইন্ধনদাতাদের বের করার জন্য পুলিশের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা