
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সদর-বন্দর আসনটি আওয়ামী লীগের জন্মস্থান বলে দাবি দলটির নেতাকর্মীদের। অথচ সেই আসনে গত তিন মেয়াদে (২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮) মহাজোটের শরিক দল হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এবারও দ্বাদশ নির্বাচনে এ আসনে জাতীয় পার্টিকে একক ভাবে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামীলীগ। স¤প্রতি, একটি অনুষ্টানে এমনটাই দাবি করেছেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড.খোকন সাহা। দীর্ঘ ২৭ বছর যাবত সদর-বন্দর আসনে নৌকার কোন সাংসদ না থাকায় এবার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিশ্বাস ছিল এ আসনটি আওয়ামীলীগ ছাড় দিবে না। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগেই দেখা গেল এ আসনে নৌকার কোন প্রার্থী নেই। যে কারণে শহর বন্দরের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। অনেকেই গল্পকরে কিংবা আড্ডা দিয়ে অনেকে আবার ভ্রমণে বেরিয়ে সময় পার করছেন। তাদের বক্তব্য এ আসনে জাতীয়পার্টির তেমন কোন নেতাকর্মী না থাকলেও আওয়ামীলীগের কাধেঁ ভর করে গত ৩টি নির্বাচনে জাতীয়পার্টির প্রার্থী বৈতরনী পার হয়েছেন। এবার তাদের সাথে সেই পূর্বের মত আচরণ করায় সাধারণ নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্ব এবং হতাশ। তাদের অনেকেই ক্ষোভ ঝেড়েছেন, পদ পদবীধারী আওয়ামীলীগ নেতাদের উপর। তাদের মতে দলের পদ পদবী ব্যবহার করে টোকাই থেকে কোটিপতি হওয়া নেতারা এতদিন নৌকা চাই নৌকা চাই করলেও এখন এ আসনে নৌকা প্রার্থী না থাকলেও রহস্য জনক কারণে তারা নিশ্চুপ। তাদের যদি তেমন হেডাম থাকত তবে স্বতন্ত্র হিসাবে দাঁড়িয়ে দলের ইজ্জত রক্ষা করতে পারতো। দলতো স্বতন্ত্রদের বিরুদ্ধে কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। তাহলে কোন কারণে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন না এর পিছনেও রহস্য রয়েছে। এমনটাই মন্তব্য মাঠ পর্যায়ের আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের কর্মীদের। এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ফলে গত দুই মেয়াদ ধরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এলেই এ আসনে নৌকার প্রার্থী দেওয়ার জোরালো দাবি তোলা হয়। এবারও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নৌকার প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করে আসলেও নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৪টিতে নৌকার প্রার্থী দেওয়া হলেও সদর-বন্দর আসনে নৌকার কোন প্রার্থী দেয়নি দলীয় হাই কমান্ড। এতে করে ক্ষোভ বিরাজ করছে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের একাংশের নেতৃবৃন্দের মাঝে। অপরদিকে, সদর-বন্দর আসনে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়ে কারন ব্যখা করছেন মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড.খোকন সাহা। স¤প্রতি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় এড.খোকন সাহা বলেন, নির্বাচনে সেলিম ওসমানের পক্ষে কে মাঠে নামলো আর কে নামলো না সেটা দেখার বিষয় না, শেখ হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীদের নির্বাচনে মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, কে নির্বাচনে নামলো আর কে নামলো না এটা দেখার দরকার নাই। অনেকেই মনোনয়ন কিনেছেন কিন্তু দল কাউকে মনোনীত করেননি, আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকলে কেউ প্রার্থী হননি। কেন্দ্রীয় নেতাদের ফোন করে ছিলাম ওনারা আমাকে বলেছেন সদর-বন্দর আসনে একেএম সেলিম ওসমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী এটাই ওনার সিদ্ধান্ত। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়নে কাজ করবো। সেলিম ওসমান সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ডে কর্মসূচী ঘোষণা করবেন। মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে এমপি সেলিম ওসমানকে নির্বাচনী কাজে সহযোগীতা করবেন। আমাদের কাজ আমরা শতভাগ স্বতস্ফুর্ত ভাবে করবো। এদিকে গতকাল সোমবার প্রতীক নেয়ার পর সেলিম ওসমান আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে বৈঠক করেন এবং তাদের মান অভিমান ভুলে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আহবান জানান। সূত্রমতে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী থেকে একেএম সেলিম ওসমান টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। তিনি আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি জাতীয় পার্টির দলীয় একক প্রার্থী হিসেবে সভা-সমাবেশ, সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করে রেখেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল বলছেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনসহ নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে নৌকার প্রার্থী দাবি করে কেন্দ্রকে অবগত করছিলাম। নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনে নৌকার প্রার্থী দেয়া হলেও সদর-বন্দর আসনে দল থেকে কাউকে নমিনেশন দেয়া হয়নি তবে নির্বাচনে কার পক্ষে কাজ করতে হবে তাও বলা হয়নি। আমার কেন্দ্রীয় নির্দেশনাট অপেক্ষায় আছি। দল যার পক্ষে কাজ করতে বলবে আমরা তাট পক্ষেই কাজ করবো। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু বলেন, সদর-বন্দর আসনে জাতীয় পার্টি থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এ আসন থেকে তিনি জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী। তিনি জনগণের জন্য বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত নাসিম ওসমান সেতু নির্মাণসহ উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করেছেন। স্বাধীনতার পরে তার মতো এমন সংসদ সদস্য আমি দেখিনি। সাধারণ জনগণ যদি তার দ্বারা উপকৃত হয়ে থাকে আগামীতে তাকেই নির্বাচিত করবেন, ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য, সদর-বন্দর আসনটি শহর ও বন্দর উপজেলা এলাকা নিয়ে গঠিত। এ আসনটি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড থেকে ২৭নং ওয়ার্ড এলাকা ও বন্দর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় পড়েছে। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৩ হাজার ১৬৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৩৪৪ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৮২০ জন।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯