আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৯:০৯

লাঙ্গল নিয়ে সেলিম ওসমান আ’লীগে

ডান্ডিবার্তা | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নরায়ণগঞ্জ সদর-বন্দর আসনের আওয়ামীলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতারা যখন নৌকা প্রতীক না থাকায় হতাশায় ভোগছে, ঠিক তখনই জাতীয়পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমান আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ঘোষনা দিলেন আমার প্রতীক লাঙ্গল হলেও মূলত: আমি আওয়ামীলীগেরই প্রার্থী। তার এই বক্তব্যে আওয়ামীলীগের দক্ষিণ পন্থি হিসাবে পরিচিত নেতারা নাখোশ হলেও সাধারণ নেতাকর্মীরা এবারের নির্বাচনে সেলিম ওসমানের পক্ষে মাঠে নামতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করেন। সদর-বন্দর আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আমি লাঙ্গল প্রতীক নিলেও আমি আওয়ামী লীগের প্রার্থী। আমার শিরায় শিরায় আওয়ামী লীগ। অনেকে ভাবছে এখানে নৌকা কেন দেয়া হয়নি। এটা কষ্ট পাওয়ারই কথা। কিন্তু এই কষ্টে ভুল ছিল কীনা সেটাও ভেবে দেখতে হবে। আমার সাথে একবার বসা উচিত ছিল, কে নমিনেশন নেবে। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকে আমি এই আসনে দায়িত্ব পালন করছি। আমার ছোট বোন আইভীও বলেছে সেলিম ভাইকেই কেন নৌকা দিয়ে দেয়া হয় না। আমিতো রাজাকারের সন্তান না। আমার শিরায় শিরায় আওয়ামী লীগ। প্রতিটি মিটিংয়ে গিয়েছি, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে নিয়ে এসেছি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সেলিম ওসমানের আনুষ্ঠানিক প্রচারনা উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এখানে অত বড় কোন প্রার্থী নেই যে জোর দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে হবে বাংলাদেশের মানুষও ভোট দিতে পারে। চল্লিশ, পঞ্চাশ পার্সেন্ট দিয়ে হবে না, শতভাগ ভোট কাস্ট করতে হবে। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগই নেতৃত্ব দিবে। এবার এখানে আওয়ামী লীগের ক্যান্ডিডেট দেয়া উচিত ছিল। আমি খান সাহেব ওসমান আলীর নাতি। এক সময় আমাকে ড্রাইভারি করতে হয়েছে। মাছ বিক্রি করতে হয়েছে, বায়তুল মোকাররমের সামনে মুরগী বিক্রি করতে হয়েছে। আমি আল্লাহকে ছাড়া কারও কাছে মাথা নত করিনি। পরিবারকে সেফ রেখে তারপর মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি, ব্যাক্তি দায়িত্ব ছেড়ে কোথাও যাই না। চন্দনকে একটা পজিশনে পেয়েছি। আগামীতে খোকন সাহাকেও আমরা পাবো। আল্লাহ মানুষকে পৌছে দেয়, সে দায়িত্ব পালন করলে আল্লাহ প্রতিদান দেয়। তিনি আরও বলেন, আমি ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে কাজ করেছি। একটা মানুষের কয়টা নাতি নাতনি হয়, আমার লক্ষ নাতি নাতনি। সবাই আমাকে দাদু বলে ডাকে। আমি দাদু হয়ে গেলাম। আমার বয়স নেই। এবার নির্বাচন করার প্রশ্নই ছিল না। বলেছিলাম আপার নির্দেশ যদি আসে সেটা পালন করতেই হবে। জীবন দিয়ে হলেও নির্বাচন করতে হবে। মনোনয়ন দেয়ার পর এই একটি আসন খালি ছিল। আমাকে বলা হল ঘরের ছেলে ঘরে থাকুক। আওয়ামী লীগ আমাকে ভালবাসে। হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদ নারায়ণগঞ্জে এসে বলে গিয়েছিল এখানে দুটি পার্টি আছে। ওসমান পার্টি আর ওসমান লীগ। তিনি রংপুরে থেকে বুঝতে পারলে নারায়ণগঞ্জে থেকে তারা কেন বুঝতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভাইদের বলতে চাই। আপনারা আমার সাথে কাজ করেছেন। আপনারা ভেবেছেন ২৯ তারিখ আপনারা ক্ষমতায় এসে পড়বেন। সেটা হয়নি। ফিরে আসুন আমাদের সাথে। ঘরের ছেলে ঘরে থাকেন। সুখে শান্তিতে কাজ করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এমএ রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি প্রমুখ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা