ক্ষমতায় থেকে অঢেল সম্পদের মালিক
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও স্থায়ী ঠিকানা করতে পারেনি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নেতারা। দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস কিংবা বাড়ীতে বসে। ফলে নেতাদের সাথে কর্মীদের বিশাল দূরত্ব রয়েছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে থানা আওয়ামীলীগের স্থায়ী কোন কার্যালয় করতে না পরলেও ব্যাক্তিগত ভাবে আখের গুছিয়ে নিয়েছে অনেক নেতা। অনুসন্ধানে জানাগেছে, টানা ক্ষমতায় থাকা থানা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। কেউ কেউ শূণ্য থেকে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছে। একাধিক বহুতল ভবন, দামী গাড়ী হাঁকাচ্ছে অনেক নেতা। দলের স্থায়ী ঠিকানা তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ায় থানা আওয়ামীলীগের তৃনমূলে বইছে সমালোচনার ঝড়। সূত্র জানায়, টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামীলীগ। ক্ষমতার ধারাবাহিকতায় মূল দল আওয়ামীলীগের পাশাপাশি অঙ্গ সংগঠনের নেতারা কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। এক সময়ে যাদের নুন আনতে পান্তা ফ‚রতো এখন তাদের অনেকে একাধিক বাড়ী, গাড়ীর মালিক। আলীশান জীবন যাপন করছেন অনেকে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কেউ ভূমিদস্যুতায়, কেউ মাদক ব্যবসায়, চাঁদাবাজি, জুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করে নিজেদের ভাগ্য বদলে নিয়েছেন। আর এসব করতে গিয়ে অস্ত্রধারী বিশাল ক্যাডার বাহিনীও গড়ে তুলছেন অনেক নেতা। দলের নাম, প্রভাব ব্যবহার করে অনেক নেতা অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেলেও দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করতে থানা আওয়ামীলীগের নিজস্ব এবং স্থায়ী ঠিকানা করতে ব্যর্থ হয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। মূল দল কিংবা অঙ্গ সংগঠনের নেতারা দলীয় কর্মকান্ড করছে নিজ বাড়ীতে বসে নয়তো ব্যাক্তিগত অফিসে বসে। আর এসব করতে গিয়ে কোন কোন নেতা নিজস্ব অফিসে দলীয় কর্মকান্ডের চেয়ে বিচারের নামে গড়ে তুলেছেন মিনি আদালত কিংবা টর্চালসেল এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। নেতাদের এসব অফিসগুলো বিচারের নামে চলে প্রহসন এবং টর্চার। এসব বিতর্কীত কর্মকান্ড করেই অনেক নেতা টানা ১৫ বছরের ক্ষমতায় কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। উল্লেখ্য, সাংসদ শামীম ওসমান ফতুল্লাবাসীর সুখ-দুঃখের কথা শোনাত ফতুল্লার নেতাদের কাছে বসার জায়গা চেয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতারা সাংসদ শামীম ওসমানকে বসার ব্যবস্থা করে দিতে ব্যর্থ হয়।