নৌকা প্রতীকে অংশ নেয়া প্রার্থীদের জয়ী করতে জেলা ও মহানগর আ’লীগ কাজ করবে

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গতকাল বুধবার রাতে হঠাৎ করে মেয়র আইভীর আগমন এবং জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি এবং আলোচনা সাধারণ কর্মীদের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। অনেকের ধারণা ছিল, নির্বাচনে জাতীয়পার্টির প্রার্থীর পক্ষে নামার আনুষ্ঠানিক ঘোষনা আসতে পারে এই অনির্ধরিত সভা থেকে। এই কার্যালয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয়পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমান আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করার ঘোষনা দিয়ে বলেন, এখন থেকে লাঙ্গলের ক্যাম্প হিসাবে এ কার্যলয়টি ব্যবহৃত হবে। এ নিয়ে আওয়ামীলীগের সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রীয়া দেখা দেয়। অনেকেই বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা মন্তব্য করেন কাউকে না জানিয়ে অনেকটা জোর পূবর্ক কার্যালয়টি ব্যবহার করা হয়েছিল। যা ক্ষমতা আর প্রভাবের বর্হিপ্রকাশ ঘটেছে। আমরা এ ঘটনা একজন দায়িত্বশীল এমপির কাছ থেকে আশা করিনি। গতকাল বুধবার রাতে এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সেলিম ওসমান বা তার অনুসারিরা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আমাদের কাউকে না জানিয়ে এসে সমাবেশ করেছেন। তিনি আওয়ামীলীগ অফিসকে কিভাবে লাঙ্গলের ক্যাম্প ঘোষনা দিলেন এর উত্তর তিনিই দিতে পারবেন। তারা শুধু মাত্র নৌকার প্রার্থীদের পক্ষের স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করবেন এমন সিদ্ধান্ত কি লাঙ্গলের প্রার্থীর পক্ষে না সুচক কি না এ ব্যপারে কোন মন্তব্য না করে বলেন, আমরা ভোটর উপস্থিতি বাড়াতে কাজ করব। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না। নারায়ণগঞ্জ নৌকার ঘাটি হলেও দীর্ঘদিন যাবত সদর-বন্দর আসনের মানুষ নৌকায় ভোট দিতে পারে না। গত মঙ্গলবার সেলিম ওসমান আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আকস্মিক সমাবেশ করে দলীয় কার্যালয়কে লাঙ্গলের ক্যাম্প হিসাবে ঘোষনার পর কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে গতকাল বুধবার রাতে নেতাকর্মীদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী আলোচনা করেন। শহরের ২নং রেলগেইট এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সন্ধ্যার পর উপস্থিত হন তিনি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র, জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের একসাথে বসতে এই প্রথম দেখা গিয়েছে। তাঁদের আগমনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে নেতাকর্মীদের উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ¡াস ছড়িয়ে পরে। বৈঠকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে অংশ নেয়া প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা হয় বলে একাধিক সূত্র জানায়। কার্যালয়টি কিভাবে দোতলা থেকে তিন তলা করা যায় তা নিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা আলোচনা করেন। এছাড়া নেতাকর্মীদের যার যার অবস্থান থেকে নৌকা প্রতীকে অংশ নেয়া প্রার্থীদের জয়ী করতে কাজ করার বিষয়ে মতামত দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জাতীয় পরিষদ সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আদিনাথ বসু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. নিজাম আলী সহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।