বাঘ বুড়ো হলেও খাবা দিতে ভুলে না: সেলিম ওসমান

বন্দর প্রতিনিধি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য প্রাথী বীরমুক্তিযোদ্ধা এ,কে,এম সেলিম ওসমানের নির্বাচনী মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বন্দর থানার ২৩নং ওয়াডস্থ বন্দর খানবাড়ি এলাকায় এ মতবিনিময সভা অনুষ্ঠিত হয়। মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বক্তবে সংসদ সদস্য প্রাথী সেলিম ওসমান বলেন, আমি কোন দলের লোক না। আমি একজন মুক্তিযুদ্ধা। আমি সম্মুখ যুদ্ধ করতে পেরেছি। ৫২ বছর যুদ্ধ করে আমি বেঁচে আছি। আমি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাজ করতে পেরেছি। অনেক কষ্ট নিয়ে আমি যখন সদর-বন্দর আসনে আসি। তখন আমার বড় ভাই নাসিম ওসমানের কথা মনে পরে। আপনাদের প্রাণ প্রিয় মানুষ। তার আগে আমার বাবা মরহুম এ কে এম সামসুজ্জোহা আপনাদের প্রাণপ্রিয় মানুষ। আজকে হয়ত অনেকে তাকে চিনেন। তারও আগে এমেলে হিসেবে আমার দাদা খান ওসমান সাহেব ওসমান আলী যার বাড়িতে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। আমি কোন দলের কোন মার্কা আমি জানিনা। তিনি বলেন, এই মুক্তিযোদ্ধার হাত বড় শক্ত। বাঘ যত বুড়াই হোক না কেন, থাবা দিতে ভুলে না। লন্ডনি হুকুম শুনতে চান না, তাই অনেকেই কিন্তু বিএনপি থেকে বেড়িয়ে গেছে। আমার এলাকায় যারা বিএনপি করেন, তারা অন্তত আমার এলাকায় শান্তিতে বসবাস করেন। আপনারা আমাকে দাওয়াত করেন, নির্বাচন করার জন্য। এমন কোন মায়ের ছেলে নাই যে লন্ডন থেকে বসে আপনার ক্ষতি করবে। আমি র্গব করে বলতে পারি আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী। আমার পরিচয় কিছু আসে যায় না। আমি এমপি নাকি এটা কখনো দেখি নাই। আমার বাড়িটাকে গুলি করে জাজরা করে দেওয়া হয়েছিল। বাড়িতে তিনটা মেয়েকে রেখে কিভাবে আমার দিন কেটেছে আমি জানিনা। ৭ দিন আমার ঘরে পানি কিংবা কোন খাবার ছিল না। কারা করে ছিলেন ওয়ান এলিভেন করে ছিলেন। ৭৫ একই ঘটনা ঘটেয়েন আমার বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, আমরা এই বন্দরকে নারায়ণগঞ্জের চেয়ে অনেক বেশি সাজাতে পারব এ বিশ্বাস আমার আছে ইনশাল্লাহ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা হোসিয়ারী শিল্পকে ডেভেলপ করে আমি যেন রপ্তানিতে নিয়ে যেতে পারি। সে ব্যবস্থা করার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী। আমি কানায় কানায় দায়িত্ব পালন করেছি। আজ বাংলাদেশ চায়না কে হারিয়ে প্রথম স্থানে। যত কথাই বলুক না কেন বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস শিল্প যাবে না। আওয়ামী লীগের কোন লোক ঘরে বসে থাকবেন না। যেমন বিএনপিকে জবাব দিতে হবে একদিন আপনাদেরকেও জবাব দিতে হবে। আপনারা জানেন না বিএনপি আগুন সন্ত্রাস করছে। আপনারা নেতাকর্মীদেরকে কেন উৎসাহিত করছেন না। আপনারাই ইলেকশন করবেন না কইরেন না। ঘরের ভিতরে ঢুকে গেলেন কেন। আপনাদের কি ইলেকশনের কোন মান সম্মান নেই। আপনাদের কি কোন দায়িত্ব নেই। আপনারা দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিন।আর না হয় চলে যান। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রাখলে বিএনপির লোক অনেক শান্তিতে থাকবেন। আবার যে ব্যবস্থা করেছিলেন তাই হবে। আমার বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ঘাটের সামনে বেঁধে এ বন্দরে টাকা পয়সা আদায় করে ছিলেন। রাখে আল্লাহ মারে কে। একবার মাফ করা যায় দুইবার মাফ করা যায় তিন বার মাফ করা যায় না। আমার যুবলীগের ভাইরা ও আমার জাতীয় পার্টির ভাইরা আমাকে একটি লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিবেন। বিএনপির ভাইয়েরা বিএনপি করেন মন দিয়ে করেন কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করবেন না। আমি বিএনপির ভাইদের কাছে যাইনি আমি কি সব বিএনপির ভাইদেরকে সম্মান করি নাই। বিএনপি সাবেক এমপি আবুল কালাম ভাইয়ের কাছে আমি যাইনি তাকে সালাম করিনি। বাড়িতে গিয়ে সালাম করি আমি নির্বাচন করুন আওয়ামী লীগের বাড়িতে গিয়ে আমি সালাম করে নির্বাচন করি নাই। কে জানে না সবাই জানেন। আমি মুরুব্বীদের সম্মান দিতে জানি আমি মানুষকে মানুষকে সম্মান দিতে জানি। তার জন্য আমার এতো ভালোবাসা। আজকে আমি সবচেয়ে চেয়ে বেশি খুশি হতাম আশা ও সুলতান এখানে যদি থাকতো। আমি দাওয়াতের অপেক্ষায় রইলাম। আসেন চাচা ও ভাই আপনার সাথে আমরা মিটিং করে জয়যুক্ত করব। আমরা বন্দরে উন্নয়ন করব।নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড: আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড: খোকন সাহা। মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জি,এম, আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এড: মাহামুদা মালা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি সাহাদাত হোসেন সাজনু, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, একই কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ২৩নং ওয়াডের সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মাহাবুবুর রহমান কমল, মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী ইশরাত জাহান স্মৃতি প্রমুখ। মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী এহসান উদ্দিন আহাম্মেদ, বন্দর থানা ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হাসান আরিফ, ২২নং ওয়াডের আওয়ামীলীগ নেতা এস, এ,রানা নেতা, আসিফ প্রধান, গোলাম সারোয়ার সবুজ, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা মাছুম আহাম্মেদ, ডালিম হায়দার, শেখ মমিন, উজ্জল, মহসিন পাটুয়ারী, নাসির পাটুয়ারী, রহিম, মিঠু, অপু ও ২৩নং ওয়াড আওয়ামীলীগ নেতা মনু প্রমুখ।