শ্রমিকলীগ নেতাকে গুলি-ইয়াবাসহ আটক
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সোনারগাঁয়ে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আশিক সরকারকে চার রাউন্ড গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেও রহস্যজন্ক কারণে ডিবি পুলিশ গুলি উদ্ধারের কথা লুকিয়ে যান। প্রথমে তারা স্থানীয় লোকজনকে ৪ রাউন্ড গুলি ও ১৪শত পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনা জানালেও পরে শুধু ৭শত পিস ইয়াবা উদ্ধারের কথা স্বীকার করে অভিযান পরিচালনাকারী ডিবি পুলিশ সদস্যরা। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাদিপুর মাঠের পাশে একটি প্রাইভেটকারে অভিযান পরিচালনা করে ১৪০০ পিস ইয়াবা ও চার রাউন্ডগুলিসহ শ্রমিকলীগ নেতা আশিক সরকার, বাদলসহ তিনজনকে আটক করে। পরে সেখানকার স্থানীয় মেম্বার আল আমিনকে ফোনে ডেকে আটককৃত মালামাল জব্দের তালিকা করে তার স্বাক্ষর রাখা হয়। জানাগেছে, গত বুধবার রাতে নয়াপুর মাঠের এক প্রান্ত থেকে শ্রমিকলীগ নেতা আশিকুর, বাদলসহ তিনজনকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। গ্রেপ্তারকৃত আশিক সাদিপুর ইউনিয়নের কাঠালিয়াপাড়া গ্রামের রূপ মিয়া সরকারের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত আশিক সরকারের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রুহুল আমিন জানান, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাতে আশিক সরকার নামের একজনের কাছ থেকে প্রায় ৭শ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এলাকাবাসী জানায় গ্রেপ্তারকৃত আশিক সরকার সাদিপুর ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হবে। সোনারগাঁ এলাকার দায়িত্বে থাকা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আল মামুন জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না তবে আমি জেনে আপনাকে জানাচ্ছি এরপর তিনি আর ফোন দেননি পরে ফোন দিলে রিসিভও করেননি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আশিক সরকার পদ পাওয়ার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এক সময় সে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো। শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর ওই এলাকায় সকল অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ তার গ্রেপ্তার ও উদ্ধারকৃত ইয়াবা ও গুলি নিয়ে লুকচোরি করছে। সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আল আমিন জানান, আশিক সরকারকে ডিবি পুলিশ ইয়াবা ও গুলিসহ গ্রেপ্তারের পর স্বাক্ষী হিসেবে আমার স্বাক্ষর নিয়েছে।