আমি প্রতিদিনই আমার শেষ দিন মনে করি: শামীম ওসমান
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী শামীম ওসমান বলেছেন, আমি প্রতিদিন তওবার নামাজ পড়ে ঘুমাই। কারণ আমি প্রতিদিনই আমার শেষ দিন মনে করি। আমি হয়ত আর ইলেকশন করবো না। সম্ভাবনা খুব কম। আমি এর আগে একটা কাজ করতে চাই। মাদক ও ইভটিজিং বন্ধ করতে চাই। যে মাদক বেঁচে সে হচ্ছে ইবলিশ। যে বাড়িতে একটি ছেলে মাদক খায় সে বাড়ি দোযখ হয়ে যায়। এক পুলিশ অফিসারের মেয়ে মাদকের জন্য বাবা মাকে জবাই করে ফেলল। এমন অনেকে এখানেও আছে। আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে হয়ত ছবিও তোলে অনেকে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ২নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগে এসে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, আমি গতবারও ভোট চাইনি, এবারও চাইবো না। আমি মনে করি আপনার জ্ঞান আমার চেয়ে বেশি। কোনটা ভাল, কোনটা খারাপ আপনি জানেন। আমার কাজ আমি করে যাবো, কবুল করবেন আল্লাহ। পৃথিবীর সব মানুষ আমার পক্ষে থাকলেও আল্লাহ বিপক্ষে থাকলে আমি কিছুই করতে পারবো না। আমার বাবা ও দাদা সবাই এমপি ছিলেন। অনেকে রাজনীতিকে ব্যাবসা হিসেবে নেয়। আমরা রাজনীতিকে ইবাদত হিসেবে নিয়েছি। আমরা মানুসের জন্য কাজ করি। মানুষের জন্য কাজ করলে আল্লাহ যদি খুশি হন আপনারাও খুশি হবেন। আমরা বারো থেকে পনেরো হাজার কোটি টাকার কাজ করেছি এই এলাকায়। আমি কিছু করিনি। আল্লাহর হুকুমে শেখ হাসিনার উসিলায় আমরা এগুলো করতে পেরেছি। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার নির্বাচনী প্রচারণায় যে পরিমাণ মানুষ হয় তারমধ্যে প্রতি পরিবার থেকে অন্তত দুজন করেও কেন্দ্রে গেলে আমার ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে ৫৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিত হবেন। আর যদি পাশের বাড়ির লোকজন নিয়ে আসেন তাহলে ভোটার ৬৫ শতাংশ হবেন।’ সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লাকে গোপালগঞ্জের চেয়ে শক্তিশালী দাবি করে আওয়ামী লীগ মনোনীত এ প্রার্থী বলেন, ‘আমি হলাম সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার বাসিন্দা। আমি মনে করি এ দুটি এলাকা গোপালগঞ্জের চেয়েও শক্তিশালী।’ শামীম ওসমান বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ‘গত বৃহস্পতিবার আমি কাশিপুর এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমি চাচ্ছিলাম মানুষ আমার থেকে কিছু দাবি করুক। কিন্তু কেউ কিছু চায়নি। তবে কিছু নারী এসে আমাকে বললেন, দেড় হাজার ফুটের একটি ড্রেন নির্মাণ করে দিতে।’ নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ অফিস তালাবদ্ধ প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ অফিস তালাবদ্ধ কি না আমার জানা নেই। আমি নির্বাচন করছি, মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছি, আওয়ামী লীগের অফিসে যাওয়ার সময় আমার নাই। আমি আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা করছি, আপনারা (সাংবাদিক) দেখছেনই। আর রূপগঞ্জে সংঘর্ষ হয়েছে। নির্বাচনে এটা হতেই পারে। তবে এটা হওয়া উচিত না। পুলিশ সুপার, নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তার এ বিষয়ে নজর রাখা উচিত।’ এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি সাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হাজী মোঃ সুমন কাজী, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব হোসেন, নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ভুইয়া রাজুসহ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।