বিসিকে মুন্না ও গুটি সজীবগংদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারন মানুষ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লার বিসিক শিল্পাঞ্চল এলাকার ভয়ংকর জুট সন্ত্রাসী মুন্না ওরফে ম্যাক্স মুন্নার ইয়াবা সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে কয়েকমাস পুর্বে। বিষয়টি নজরে এসেছে গনমাধ্যম কর্মীদেরও। সূত্রে জানা যায়, ভয়ংকর জুট সন্ত্রাসী মুন্না ওরফে ম্যাক্স মুন্না মাদক সেবন ছাড়াও করেন মাদক ব্যবসা। এলাকায় মাদক ব্যবসা ছাড়াও করেন বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। তার নেতৃত্বে পরিচালিত হয় বিশাল এক গ্যাং বাহিনী। যে বাহিনীর অন্যতম সদস্য হলেন ম্যাক্স মুন্না মাদক সেবনের অন্যতম সদস্য সজিব ওরফে গুটি সবীব। যে কিশোর গ্যাং বাহিনী এলাকায় মাদক ব্যবসা ছাড়াও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ান, যার শেল্টার দিয়ে থাকেন জুট সন্ত্রাসী মুন্না। জুট সন্ত্রাস ছাড়াও ম্যাক্স মুন্না নগরীর হোন্ডাবাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নিরীহ মানুষের জমি দখলের কাজেও ব্যাপক। গত ১৯ অক্টোবর চররাজাপুর এলাকায় অবস্থিত আলমাস দেওয়ানের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানও দখলে গিয়েছিলেন এ মুন্না। ভুক্তভোগী অনেকেই জানান,একটি প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য’র হয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে এ মুন্না। বিসিকের জুট সেক্টর ছাড়াও স্থানীয় সাধারন মানুষের মানুষের জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও তাকে দিতে হয় মোটা অংকের টাকা। এক সময়ে পিজা শামীম ও লিমনের অন্যতম সহযোগি হওয়ার সুবাদে উক্ত পরিবারের সেই সদস্য’র কাছে ভিড়েন এ মুন্না। এ পর থেকে বেড়ে ওর প্রভাব। জুট সেক্টর, মাদকের বিশাল সা¤্রাজ্যের পাশাপাশি ব্যাপক অপকর্ম করছে মুন্না ও গুটি সজীব। বিসিক এলাকার শিল্পাঞ্চলে কর্মজীবি মানুষের সমাগম বেশী হওয়ার ফলে উক্ত এলাকায় রাতের আধারে মুন্না বাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে কর্মজীবি মানুষগুলো। মাসের ১ম সপ্তাহে শ্রমিকরা বেতন নিয়ে বাসায় ফেরার পথে তাদেরকে আটক করে তা সবকিছু হাতিয়ে নেয় তার বাহিনীর সদস্যরা জানান ভুক্তভোগী অনেক সাধারন মানুষ। যারা এলাকায় প্রচার করে বেড়ান যে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নাকি নিয়মিতভাবে মাসোহারা দিয়েই এরুপ কাজ করছে তারা। চররাজাপুর এলাকায় আলমাস দেওয়ানের ছেলে ইমরান দেওয়ান থানায় যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সেই অভিযোগের ৬নং আসামী। আরোহী ইসলাম নামক একটি ফেসবুক আইডিতে ছড়িয়ে দেয়া মুন্না ওরফে ম্যাক্স মুন্নার ইয়াবা সেবনের ভিডিওটি এখন সাধারন মানুষের মুখে মুখে আলোচনার খোরাক হয়ে দাড়িয়ে ছিলো। অনেকেই বলছে যে, নারায়ণগঞ্জের এক প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানের সাথে সর্ম্পক রেখে বিসিক এলাকায় জুট সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তা নেশার জগতে খরচ করছে। মুন্নার এরুপ কর্মকান্ড প্রভাবশালী সেই পরিবারটিকেও বিতর্কে ফেলতে পারে বলে অভিমত স্থানীয় অনেকের। মাদক সেবী ম্যাক্স মুন্না ও গুটি সজিবের ফুসে উঠেছে বিসিকসহ আশপাশের সাধারন মানুষ। তারা অনেকেই বলেন,নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের নির্বাচনী এলাকাতে মুন্না ও গুটি সজীবরা যেন অনেকটাই আতংকে পরিনত হয়েছে স্থানীয়রা। সাংসদ পবিত্র মক্কায় গিয়েও মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করলেও বাস্তবে তার উল্টোটা দেখছেন সাধারন মানুষ। স্থানীয়রা ম্যাক্স মুন্না ও গুটি সজীবগংদের অত্যাচার থেকে বাচঁতে পুলিশ সুপার ও র্যাব-১১’র সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।