ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান তার নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের সতর্ক করতে চাই। এবারের নির্বাচন ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ। ঈগল আকাশে ২১ দিন টানা উড়তে পারে। এ সময়ের মধ্যে সে এমন শিকার খোঁজে যা মিস হবে না। যখন সে তা পায় তখনই ছো মেরে হানা দেয়। আমাদের দেশের মানচিত্রের উপর ঈগল উড়ছে, তারা ওৎ পেতে আছে। ওরা চায় ফিলিস্তিনের গাজার মতো দেশটাকে বানাতে। তাদেরকে আমাদের ঠেকাতে হবে।’ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফতুল্লার ৪নং ওয়ার্ডের ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ি পারিবারিক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনি উঠান বৈঠকে নৌকার দলীয় প্রার্থী শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী এবং ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ১নং কার্যকরি সদস্য আবু মোহাম্মদ শরীফুল হকের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ-নিজাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল। এদিকে শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন আছে। আমাদের জেলার ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়। কেউ পায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, কেউ পায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এত দূরে ছেলে মেয়েদের পাঠাতে হবে বলে বাবা-মায়েরা তাদের লেখাপড়া বন্ধ করে দেন। নারায়ণগঞ্জে বিশ^বিদ্যালয় হবে ইনশাআল্লাহ।’ এসময় তিনি আরও বলেন, ‘৭৪ সালে চাইলে আমার বাবা নারায়ণগঞ্জের বহু সহায় সম্পত্তি সহ অনেক কিছু করতে পারতেন। তিনি তা না করে আমার ভাইয়ের বিয়ের জন্য ও দল পরিচালনা করার জন্য গোপনে বাড়ী বন্ধক রাখে। নয়শত টাকার জন্য ফরম ফিলাপ করতে পারিনি। আমি ও গোপনে আমার বাড়ী বন্ধক রেখেছিলাম ২০২৩ সালে। সাংবাদিকরা তা প্রকাশ করে দিয়েছে। আমাদের বাড়ী নিলামে উঠলে কোন আত্মীয়-স্বজন সেদিন এগিয়ে আসেনি। সেদিন ৪৪ হাজার শ্রমিক এক টাকা করে চাঁদা দিয়ে সেদিন বাড়ীর বন্ধক থেকে ছুটিয়েছিলো। এই ভালোবাসাটাই আমরা অর্জন করেছি। এর জন্যই এত পরিশ্রম। আল্লাহ আমাকে আপনাদের খেদমত করার যেই
সুযোগ তৈরী করে দিয়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রাণ খুলে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জের উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। আগামীতে নির্বাচিত হলে বাকি কাজগুলো সম্পন্ন হবে ইনশাআল্লাহ। তবে আমি ভোট চাইতে নয়, আমি এসেছি আপনাদের সজাগ করতে। যেন আপনারা ভোট দিতে কেন্দ্রে যান। যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকেই ভোট দিবেন।’ এসময় তিনি বিগত সময়ে ফতুল্লা সিদ্ধিরগঞ্জে তার করা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।