আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:০৯

অনিশ্চিত গন্তব্যে না’গঞ্জ বিএনপি

ডান্ডিবার্তা | ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীগের নেতাকর্মীরা যখন নিবার্চনী উৎসবে সামিল হয়েছে, তখন বিএনপিতে হতাশা ভর করছে। দলের ভবিষ্যত নিয়েও চিন্তিত দলটির নেতাকর্মীরা। ঢিমেতালে দলের আন্দোলন চলমান থাকলেও এই আন্দোলনের ফলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া, স্বজন ছাড়া। গ্রেফতার তাড়া করছে নেতাকর্মীদের। দীর্ঘদিন দলের শীর্ষ নেতাদের প্রকাশ্যে দেখা মিলছে না। ফলে দলের তৃনমূলের নেতাকর্মীরাই এখন বিএনপির আন্দোলনের শেষ ভরসা। তবে নিবার্চন ঠেকাতে নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সূত্রমতে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, র‌্যাবকেও এ ধরনের তালিকা তৈরি ও নজরদারি জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, বিএনপি সমর্থকরা কিশোর গ্যাং, মাদকাসক্ত ও গৃহহীনদের অগ্নিসংযোগের জন্য অর্থ দিচ্ছে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিএনপি সমর্থকদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের সব ইউনিটকে ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে টহল বাড়াতে বলা হয়েছে এবং ‘ঝামেলা সৃষ্টিকারীদের’ গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়। সারা দেশে পুলিশ ২০১৩-১৪ ও ২০১৮ সালে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামিদের তালিকা তৈরি করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘সন্দেহভাজন সমস্যা সৃষ্টিকারীদের’ নতুন তালিকাও তৈরি করছে। বিএনপি মনে করে, এসব উদ্যোগ সরকারের ‘মাঠ থেকে বিরোধী দলকে নির্মূল করার’ পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। বাস্তবতা হলো, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের বিধান পুনর্বহাল করতে না পারলে বিএনপি যে নির্বাচনে জয়ী হবে না এবং পুনরায় সরকার গঠন করতে পারবে না, সেটি এখন মোটামুটি পরিষ্কার। বিশ্লেষক মহলের মতে, বিএনপির আন্দোলন কেন সফল হচ্ছে না এবং ১৯৯৫-৯৬ সালে যে দাবিতে আওয়ামী লীগের আন্দোলন সফল হলো, এখন একই দাবিতে বিএনপির আন্দোলন কেন ব্যর্থ হচ্ছে? শুধু এই একটি দাবিই নয়, ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে অন্য যেকোনো দাবি আদায়ের আন্দোলন করেই এখন যে সফল হওয়া কঠিন এবং কখনো কখনো অসম্ভব—তার কারণ কী? কারণ, ক্ষমতায় থাকা এবং ক্ষমতার বাইরে থাকা মানুষের শক্তির মধ্যে পার্থক্য এত বেশি যে ক্ষমতার বাইরে থাকা মানুষ এখন চাইলেই ক্ষমতাবানদের কাছ থেকে কোনো দাবি আদায় করতে পারে না। ক্ষমতাবান ও ক্ষমতাহীনের মাঝখানে যে শক্তিগুলো ছিল, সেগুলোও এখন ক্ষমতার অংশ। যেমন: জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় পরিচালিত রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনী, প্রশাসন, এমনকি গণমাধ্যম ও সিভিল সোসাইটি। ফলে দাবি আদায়ে ক্ষমতাহীনদের কেবল ক্ষমতাবানদেরই নয়, একইসঙ্গে তাদেরকে সেইসব শক্তিকেও মোকাবিলা করতে হয়, যাদের নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকার কথা ছিল।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা