আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:৪৮

পরিবর্তনের আভাস সোনারগাঁয়ে!

ডান্ডিবার্তা | ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোনারগাঁয়ে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন তবে মূল লড়াই হবে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা ও সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আব্দুল্লাহ আল কায়সারের মধ্যে। ইতোমধ্যে জমে উঠেছে সোনারগাঁ আসনের নির্বাচন। চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও হামলার ঘটনা। দুই প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তলবও করেছিল। উত্তেজনার পাশাপশি উৎসবমুখর পরিবেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ২ মূল প্রতিদ্ব›দ্বী সহ অন্য প্রার্থীরা। মানুষের জটলায় কিংবা চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনী আলাপ। কাকে ভোট দিবেন তা নিয়ে ভোটাররা শুরু করেছেন অঙ্ক কষা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিললেও সোনারগাঁয়ের মানুষ এবার পরিবর্তনের পক্ষে এমনি চিত্র দেখা গেছে সোনারগাঁ ঘুরে। বাসিন্দাদের দাবি ক্ষমতাসীন দলের এমপি না থাকায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি এই আসনে। তাই এবার সরকার দলীয় প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সারকে চাচ্ছেন ভোটাররা। এবার সোনারগাঁ আসনে মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন। তাঁরা হলেন, আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত (আওয়ামী লীগ), লিয়াকত হোসেন খোকা (জাতীয় পার্টি), এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান (বিএনএম), মো. আসলাম হোসাইন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), নারায়ণ দাস (বিকল্প ধারার বাংলাদেশ), মো, মজিবুর রহমান (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), এএইচএম মাসুদ (স্বতন্ত্র), মুক্তিজোটের মো. আরিফ। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সারকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে গেছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী এএইচএম মাসুদ। তাই কাগজ কলমে ৮ প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে ৭ জন। জানা গেছে, ভোট ব্যাংক না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে জেলার এই আসনটি দখলে রেখেছেন মহাজোটের সঙ্গী জাতীয় পার্টি। সোনারগাঁ আসনে ২ বার আওয়ামী লীগের ছাড়ে সংসদ সদস্য হন লিয়াকত হোসেন খোকা। এবারও আশায় ছিলেন আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টির আসন সমঝোতায় থাকবে তার নাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে যেসব আসনে ছাড় দিয়েছে সেই তালিকায় নেই সোনারগাঁ আসনটি। তাই সহজ সমীকরণে পরপর ২ বারের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাকে এবার মুখোমুখি হতে হবে শক্ত প্রতিদ্ব›িদ্বতার। সোনারগাঁয়ের ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দুইবার ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী না থাকায় জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টির খোকাকে নির্বাচিত করতে হয়েছে তাদের। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের এমপি না থাকায় জেলার অন্যান্য আসনে যেরকম উন্নয়ন হয়েছে এই আসনে সেরকম কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন না হওয়ার অভিযোগ করছেন এখানকার ভোটাররা। তারা বলছেন, আব্দুল্লাহ আল কায়সারের সময় এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ অনেক উন্নয়ন হয়েছিল। তাদের মতে, সরকার দলীয় এমপি হওয়ার সুবাধে বিভিন্ন মন্ত্রালয়ে জোর করে প্রকল্প নিয়ে আসার সুযোগ থাকে যেটা জোট সঙ্গী জাতীয় পার্টির এমপির দ্বারা সম্ভব না। এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কপাল খুলে গেছে গত দুইবার মহাজোটের প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হওয়া সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও তাঁর স্ত্রী ডালিয়া লিয়াকতের। ১০ বছর পূর্বে চাকুরিজীবী খোকার কাছে নগদ মাত্র ৩ লাখ টাকা থাকলেও বর্তমানে এই সংসদ সদস্যের নামে রয়েছে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কয়েক কোটি টাকা। গৃহিণী হয়েও শূন্য থেকে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তাঁর স্ত্রীও। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত গত ১০ বছরে বর্তমান এমপি ও তাঁর স্ত্রীর বিপুল সম্পদের মালিক হওয়াকেও ভাল ভাবে নেয়নি এলাকাবাসী। ভোটের মাঠে এই প্রচারণাও লিয়াকত হোসেন খোকার ভোট কমবে বলে দাবি ভোটারদের। তাছাড়া খোকার আত্মীয়-স্বজন পরিচয়ে শহরের অনেক লোক সোনারগাঁয়ে ‘ক্ষমতার দাপট’ দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। গত ১০ বছরে সোনারগাঁয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বালু সন্ত্রাস, ভ‚মিদুস্যতা ও মাদক বিস্তারের অভিযোগ করছেন নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা। এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কায়সারের পক্ষে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী মাঠে নেমেছেন যে কারণে ভোটের অঙ্কে এগিয়ে আছেন তিনি। আবদুল্লাহ আল কায়সারের বাবা বাবা আবুল হাসনাত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংকের পাশাপাশি কায়সারের নিজস্ব পারিবারিক ভোট ব্যাংক রয়েছে। নেতাকর্মীরা বলছেন, ১০ বছর ধরে জাতীয় পার্টির লোকজনের কাছে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকেরা নির্যাতিত। এবার তারা নিজেদের প্রার্থী পেয়ে খুশি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে হারানো যাবে না। আবদুল্লাহ আল কায়সার বলেন, সংসদ সদস্য থাকাকালীন সোনারগাঁয়ে আমি কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনি। এ কারণে আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন দলের সমর্থক ও সাধারণ মানুষ আমাকে পছন্দ করেন। ১০ বছর ‘নৌকার ঘাঁটি’ এই এলাকার মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিতে পারেনি। এবার তারা মুখিয়ে আছে নৌকায় ভোট দেবার জন্য।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা