আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | ভোর ৫:৪২

ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না যিনি

ডান্ডিবার্তা | ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কানাইনগর ভুমি অফিসে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না। সেবা নিতে সেখানে পদে পদে ঘুষ দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। ঘুষ না দিলে ভুল রিপোর্ট দিয়ে হয়রানী করা হয় সেবাপ্রার্থীদের। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র দেবনাথ নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে ঘুষ বাণিজ্য। প্রতিবাদ করলে বা ঘুষ দিতে না চাইলে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে নামজারী করতে ও সরকারকে খাজনা দিতে বাধার সৃষ্টি করা হয়। কথায় কথায় তিনি নারায়ণগঞ্জের বড় বড় নেতাদের কাছের মানুষ হিসেবেও নিজেকে পরিচয় দিয়ে চাপে রাখেন সেবাপ্রার্থীদের। তারা আরও অভিযোগ করেন, ঘুষ না পেলে একটি ফাইলে সাইন করেন না তিনি। শুধু তাই নয়, একজনের জমি আরেকজনকে খারিজ দিয়ে ঝামেলা লাগান এবং সংশোধনের নামে আবারও মোটা অংকের টাকা দাবি করে থাকেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বক্তাবলী, চর বক্তাবলী, চর বয়রাগাদিসহ কানাইনগরের আওতাধীন বিভিন্ন মৌজার বাসিন্দারা জিম্মি হয়ে আছে এই ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা তথা নায়েব দুলাল চন্দ্র দেবনাথের কাছে। তিনি এই অফিসে যোগদান করার পর থেকে দুর্ণীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বক্তাবলী ইউনিয়ন ভুমি অফিস। নামজারী করার জন্য সরকারী ফি ১১’শ টাকা নির্ধারিত থাকলেও এর বাইরে তিনি নিজের মতো করে ফি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। বক্তাবলী বাজারসহ প্রতিটি এলাকার সড়কের পাশের জমির নামজারি করতে হলে শতাংশ প্রতি ৫ হাজার  এবং অন্যান্য যে কোনো জমির নামজারি করতে হলে শতাংশ প্রতি ২ হাজার টাকা তাকে দিতে হবে বলে নির্ধারণ করেছে দুলাল চন্দ্র দেবনাথ। ঘুষ দিতে না চাইলে বা এর কম দিলে ভুল রিপোর্ট দিয়ে হয়রানী করার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু সরকারী কর্মকর্তা হওয়ায় মুখ খুলতে সাহস পায় না কেউ। আরো জানা গেছে, এলাকা ভিত্তিক দালালও নিয়োগ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এদের মাধ্যমে জমির কাগজপত্রে এদিক সেদিক করে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন দুলাল চন্দ্র দেবনাথ। দুর্নীতি দমন কমিশন গোপন তদন্ত করলেই দুলাল সাহার বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছে বলে বের হবে মনে করেন ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল। দুর্নীতিবাজ ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে অর্থ আদায়কারী দুলাল সাহাকে প্রত্যাহার সহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান ভুক্তভোগীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুমি অফিসের এক কর্মচারী বলেন, এমন দুর্নীতিবাজ অফিসার আমি জীবনেও দেখি নাই। সকালে অফিসে এসেই টাকা টাকা করে। কয়টা নামজারির আবেদন জমা পড়ছে, সেই খবর নিয়ে হিসেব করতে বসে, কোনটা থেকে কতো টাকা নিবে? টাকা ছাড়া ফাইলই দেখেন না। আগে বলে, টাকা কতো আছে সেটা বলো। একইভাবে নারায়ণগঞ্জ সদর এসিল্যান্ডের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মোট ৪৩টি ইউনিয়ন ভুমি অফিস আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর তিনজনের মধ্যে ১ নম্বর হচ্ছে দুলাল চন্দ্র দেবনাথ। তার নামে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অভিযোগও আছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। এসব অভিযোগে বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হয় অভিযুক্ত দুলাল চন্দ্র দেবনাথের সাথে। অভিযোগ শুনেই তিনি কল কেটে দেন এবং পরে বারবার কল দিলেও কল রিসিভ করেন নি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা