এক মঞ্চে বসবেন তারা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট শুধু মেয়র আইভী নয়, জেলা আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট এখন পর্যন্ত মুভমেন্ট করেন নাই। এখানে জেলা সেক্রেটারি সাহেব আছেন, মহানগরের সেক্রেটারি সাহেব আছেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব আছেন। হয়তো ওনার কোনও ব্যক্তিগত কারণ থাকতে পারে, তাই উনি কোনও মুভমেন্ট করেন নাই। জেলা সভাপতি অনেক বিজ্ঞ লোক, তার সাজেশন অনেক দরকার। মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি আনোয়ার সাহেবও অনেক বিজ্ঞ লোক, ওনারও সাজেশন দরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাইফেলস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে এ তথ্য জানান ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান। আগামী ৪ তারিখ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদের আসছেন নারায়ণগঞ্জ। সাথে আসছেন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের আসন্ন নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মিটিং আয়োজন করা হবে শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে। এ নিয়ে এমপি বলেন, “তবে এটা সত্য, যখন ৪ তারিখে জাতির পিতার কন্যা আসবেন, তখন স্টেজে তো সবাই উঠবেন। তখন আসতেই হবে, আর স্বাভাবিকভাবেই তারা আসবেন। আমি চাই তারা সবাই আসুন। কষ্ট করে আমরা মিটিংটা অবশ্যই করবো, নেতৃত্ব যেন তারা দেন।” আমি আমার নির্বাচনী প্রচারণায় শুধু আইভী কেন, সবাইকেই চাই। আমাদের মাঝে কোন বিভেদ নেই। শামীম ওসমান আরো বলেন, এ দেশকে ব্যার্থ রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। একটা লোক গাছ লাগায় ফল খায়। আমরা গাছ লাগাবো, মানুষ যেন একটু কষ্ট করে ফলটা খায়। এসময় তিনি আরো বলেন, সারা দেশেই নির্বাচনের পরিস্থিতি ভাল। আমরা একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। তারা ৭১ সালেও ছিল। সেই রাজাকার আলবদরের সাথে আরেকটি দল যুক্ত হয়েছে। আমি ওদের সন্ত্রাসী দল বলি। তাদের সাথে আরও কিছু সুশীল আছে। আমি এর আগে পাঁচটি নির্বাচন করেছি। এবার সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেখেছি। সাধারণ মহিলারাও বলে মানবাধিকারের প্রশ্ন আমার দেশে আসে, ফিলিস্তিনে আসে না। বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক স্মার্ট। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো শহীদ বাদল (ভিপি বাদল), মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড খোকন সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি.এম. আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল সহ সংবাদকর্মীরা।