ভোটের মাঠে প্রার্থী ও সহধর্মিণীরা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে প্রার্থীদের পাশাপাশি সহধর্মিণীরাও মাঠে নেমেছেন। জেলা রিটানিং অফিসার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর থেকেই দলীয় প্রার্থীসহ তাদের সহধর্মিণীরাও ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন প্রতিশ্রতি দিয়ে যাচ্ছেন। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর তৃতীয় দিন ছিল গত বুধবার। এদিন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচনি প্রচারণা সিলেট থেকে শুরু হওয়ায় দলটির অনেক প্রার্থী এতে অংশ নেন। তবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেন। দিনের পাশাপাশি রাতেও প্রার্থী ও তাদের লোকজনকে ভোট চাইতে দেখা যায়। প্রথাগত প্রচারণার পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমেও সরব দেখা গেছে প্রার্থীদের। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকবে। নারায়ণগঞ্জ ঘুরে দেখা গেছে, প্রচারণার অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ (জাপা) অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনি পোস্টার লাগানো হচ্ছে। সড়কে দড়িতে ঝুলছে প্রার্থীর ছবি, প্রতীকসহ সাদা-কালো পোস্টার। সড়ক সংলগ্ন দেয়াল, পিলার ও গাছেও পোস্টার শোভা পাচ্ছে। তবে নৌকা ও লাঙ্গলের পোস্টার, ব্যানার বেশি চোখে পড়েছে। কোথাও কোথাও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পোস্টার দেখা গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট ও হ্যান্ডবিল বিতরণ ছাড়াও ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভিডিও কনটেন্ট, পোস্টার আপলোড করেছেন অনেক প্রার্থী। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাংসদ একে এম শামীম ওসমান এমপি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তার নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। বিগত সময়ের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সাধারন মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন তিনি। পাশাপাশি তার সহধর্মীনি জেলা মহিলা সংস্থার প্রেসিডেন্ট সালমা ওসমান লিপি এবং পুত্র অয়ন ওসমানকেও দেখা গেছে ভোটারদের স্মরনাপন্ন হতে। নির্বাচনী প্রচারনায় সাংসদ শামীম ওসমান তার নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ কালে বলেন, যেখানে অন্যায়, যেখানে অত্যাচার, যেখানে অবিচার সেখানে কথা বলতে রাজনীতি করতে এসেছি। আমি সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলার জন্য রাজনীতি করছি। আমি ধান্দাবাজি করার জন্য রাজনীতি করতে আসি নাই। আজকে মা বোন ও সবাইকে ঘুম থেকে জেগে উঠার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি। কে বা কাহারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে এবং ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষকে হত্যা করছে। দেশের বাহিরে বসে হুকুম করবে আর দেশের মানুষ নাশকতা করে ফেরারী জীবন কাটাচ্ছে। বিগত সময়ে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালিন মানুষ কত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। নারায়ণগঞ্জে পতিতালয়ে শিশু বাচ্চাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করে টাকা কামিয়ে নিয়েছে। আর সেই টাকার শাড়ি কাপড় খালেদা জিয়া গ্রহণ করেছে। তার সহধর্মিণী সালমা ওসমান লিপি বলেন, নির্বাচনে না গিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় বসা যাবেনা, তা হয়তো বিএনপি ভুলে গেছে। তাই আপনারা কেন্দ্র গিয়ে ভোট দিয়ে বিএনপির নৃশংসতার প্রতিবাদ ও আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, স্বাধীনতার বিরদ্ধ শক্তিকে প্রতিহত করুন। সদর-বন্দর আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমান তার নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তার নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগকালে বিগত সময়ের উন্নয়ন চিত্র জনগনের মাঝে তুলে ধরেন। সেলিম ওসমান সাধারন মামুষের উদ্দেশ্য বলেন, আমার এলাকার শান্তির চড় প্রকল্প যদি বাস্তবায়ন হয় তবে ২০ লক্ষ মানুষের কর্মক্ষেত্র হবে। ‘৯৬ সালে শেখ হাসিনা আমাদের ডেকে নিয়ে গেছেন। আমাদের বলা হয়েছে যেকোনো উপায়ে নারায়ণগঞ্জের হুসিয়ারী ডেভেলপ করে রপ্তানিযোগ্য পণ্য বানাও। এরপর থেকে আমরা নিটওয়্যারের পণ্য বানানো শুরু করলাম। আল্লাহর রহমতে প্রায় ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছি নিটওয়্যার শিপ্লের মাধ্যমে। আমরা নিটিং শিল্পে চায়নাকে টেক ওভার করতে পেরেছি। শুধু নারায়ণগঞ্জেই ৪৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। রূপগঞ্জ আসনে গোলাম দস্তগীর গাজী এবং তার সহধর্মিণী হাসিনা গাজীও ভোটারদের কাছে ছুটে চলেছেন। উন্নয়নের প্রতিশ্রতি দিয়ে চালাচ্ছেন প্রচারনা। বাদ যাননি আড়াইহাজার আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু এবং তার সহধর্মিণী সায়মা আফরোজও স্বামীর পক্ষে প্রচারনায় নেমেছেন।