প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে উৎসবের আমেজ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আওয়ামীলীগের নির্বাচনী উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে আগামী ৪ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারায়ণগঞ্জে আগম এবং জনসভা। দীর্ঘদিন পর নারায়ণগঞ্জে আসবেন দলীয় প্রধান। তার আজমকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে সাজ সাজ রব উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ সফল করতে এবং প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ইতিহাসের সব চেয়ে বড় সমাবেশ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে দলটির নেতারা। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর আজমকে ঘিরে প্রস্তুতি সভা এবং নানা প্রচারণা শুরু হয়েছে। আগামী ৪ জানুয়ারীর পূর্ব নির্ধারিত সব কর্মসূচি স্থগিত করেছে আওয়ামী লীগের নেতারা। আজ লিংক রোড সংলগ্ন নাম পার্কে প্রস্তুতি সভা ডেকেছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান। এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে আওয়ামীলীগের শক্তি জানান দিতে চাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জেলা বাসীর জন্য উপহার হিসেবে মেট্রোরেল দাবি করবেন। ইতোমধ্যে সাংসদ শামীম ওসমান তার ইচ্ছের কথা প্রকাশ করেছেন। শামীম ওসমানের মতে, নারায়ণগঞ্জে আল্লাহ‘র হুকুমে রাস্তাঘাট করা হচ্ছে, মেডিকেল কলেজ হচ্ছে, পলিটেকনিক্যাল হচ্ছে, আইটি ব্যাসড ইউনিভার্সিটি হচ্ছে। আমাদের আর ঢাকা যাওয়া লাগবে না। এই সকল কাজে ১০ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। আরও একটি কাজ করার দরকার আছে বলে আমি মনে করি। আটাতে ৫ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। কিন্তু এতকিছু করার পর চোখে তো লজ্জা লাগে। এত কিছু পাবার পর চাইতে লজ্জা লাগে। তবে মার কাছে আবদার করার লাগে। যেদিন নেত্রী এখানে আসবে আর লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল হবে। নেত্রী ভাববেন যে, নারায়ণগঞ্জবাসী একাগ্রচিত্তে আমাকে কতটেই না ভালোবাসে। আমার বলতে লজ্জা লাগে। তখন আমাদের মধ্য থেকে একজন উঠে আসবে। আমি বলবো এই, চুপ থাকেন চুপ থাকেন। এমন নাটক করতে হয়। আমি বলবো আমাদের কোন দাবি নাই। ঠিক তখনই তার কানের কাছে গিয়ে আবদার করতে হবে, আপা আমাদের মেট্রোরেল হয়ে গেলে ভালো হয়। যদি ফতুল্লার মানুষরা গোরস্থান থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত ভিড় করে যে, মন্ত্রীর গাড়ি বের হতে পারছে না। তাইলে মনে রাখবেন, ৭ তারিখের পর প্রথম দিন দায়িত্বে আসলে যে সইটা দিবেন উনি, সেটা হবে মেট্রোরেলের জন্য।