সন্ত্রাসী কাশেম স¤্রাট ও রানার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি গোগনগরবাসীর
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে গোগনগরের শীর্ষ সন্ত্রাসী কাশেম ও রানার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। একইসাথে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে এবং তাদের হাত থেকে এলাকাবাসীকে নিরাপদে বসবাস করতে দেয়ার দাবি জানান তারা। অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীরা। এদের মাঝে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের চর সৈয়দপুর এলাকার দুর্ধর্ষ দৌলত মেম্বারের কু-পুত্র কাশেম সম্রাট ও রানা বাহিনী অন্যতম। নির্বাচনকে পুঁজি করে তাদের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্রের মহড়া নিরীহ এলাকাবাসীকে ভয়ভীতি প্রদান ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এই কাশেম সম্রাট ও রানা বিহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা থেকে শুরু করে, চাদাঁবাজি, ছিনতাই, মাদক কারবারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি, কাশেম স¤্রাট ও রানা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড রানার কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবী জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, তাদের অস্ত্র উদ্ধারে কোনো তৎপরতা নেই প্রশাসনের। স্থানীদের বলছে, কাশেম স¤্রাট ও রানা বাহিনীর অপকর্মে গোগনগর ও আশেপাশে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে এলাকার মানুষ। তাদের অপকর্ম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতিবাদ করেন গোগনগর ইউনিনের সংরক্ষিত নারী মেম্বার নিলুফা বেগম। সন্ত্রাসী রানাকে গ্রেপ্তার করে তার কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়ে চলতি বছরের ২১ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, পরে সিআইডি কার্যালয়ে এবং র্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে লিখিত আবেদন করেন এই নারী প্রতিনিধি। অভিযোগে নিলুফা বেগম উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের ১৫ মার্চ গোগনগরের ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য নিলুফা বেগমের বাড়ির সামনে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলার এক পর্যায়ে রানার (কাশেম স¤্রাট ও রানা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড) হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি গুলি চালালে তখন তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনায় ফলাও করে সংবাদ প্রচার করে গণমাধ্যম। এ ঘটনায় তখন কাশেষ সম্রাট, রানা সহ প্রায় ৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এলাকাবাসী জানান, দুর্ধর্ষ দৌলত মেম্বারের ছেলে কাশেম সম্রাট, তার প্রধান সহযোগী রানা, মো. বাবু, মো. মহসিন, শাহ পরান, কাশেম সম্রাটের ভাই ফয়সাল, কবিরসহ তাদের বাহিনী চর সৈয়দপুর সহ গোটা গোগনগরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। বিভিন্ন সময় তারা বিশালাকার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মহড়া দেয় এলাকায়। অস্ত্রধারী এই সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতঙ্কে সময় কাটাচ্ছে এলাকার মানুষ। তাই তাদের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবী তুলেছেন গোগনগরের স্থানীয়রা। সেই সাথে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও দাবী জানান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোগনগরের জসিম হত্যা মামলায় কাশেম সম্রাট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে। সেই জবানবন্দীতে কাশেম স¤্রাট বলেন, ২০১৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাত ১২ টায় আমাদের অফিসে ছলিমকে ডেকে আনি। শাহ পরান আমিনুল, মোশারফ তাকে অফিসের ২য় তলায় নিয়ে যায়। আমি ও শাহ পরান প্রথমে জসিমকে কিল ঘুষি মারি। শাহ পরাণ লাথি মেরে আঘাত করলে জসিম অজ্ঞান হয়ে পরে।