ফতুল্লায় মেম্বারের পেটে ১১ লাখ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট জমি বিক্রির কথা বলে ১১ লাখ টাকা আতœসাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ফতুল্লা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসমত আলীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার দাপা ইদ্রাকপুর রেল স্টেশন এলাকার মোঃ বাবুল শেখ বাদী হয়ে ইউপি সদস্য হাসমত আলী ও তার ভাই আল আমিনকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ২০১৯ সালের দিকে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হাসমত আলী ও তার ভাই আল আমিন জমি বিক্রয় করার কথা বলে বাদীর মামা দুলালের নিকট থেকে বায়না বাদ দুই দফায় ১১ লাখ টাকা নেয়। এর বিপরীতে একটি ছয় মাসের সময়সীমা বেধে একটি বায়না দলিল করে। ছয় মাসের মধ্যে বাদীর মামা দুলাল জমির বকেয়া টাকা পরিশোধ করে সাফ কবলার মাধ্যমে জমি রেজিস্ট্রি করিয়া নিয়া নিবে। বাদীর মামা নির্দিস্ট সময় সীমার মধ্যে জমি রেজিস্ট্রি করে দেবার তাগিদ দিলেও অভিয্ক্তুরা তার নিকট বিক্রি না করে বেশী মূল্য পেয়ে অনত্র তা বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে বাদীর মামা দুলাল টাকা ফেরৎ চাইলে দেই দিচ্ছি বলে নানা তাল বাহানা করে আসছে। যা থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হাসমত আলী কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে তারা জানায়, হাসমত আলী আপন বোনের সম্পত্তি ও আত্মসাৎ করে রেখেছে। তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ করার মতো অনেক ঘটনাই রয়েছে। সে আর তার ভাই এলাকায় সা¤প্রতিক সময়ে মামলাবাজ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। হাসমত আলীর বিরুদ্ধ ফতুল্লা মডেল থানায় ২০১৮ সালে সরকার বিরোধী(বিএনপির) নাশকতা মামলা রয়েছে। সেই মামলায় ফতুল্লা থানা পুলিশ হাসমত আলীর বিরুদ্ধে আদলতে প্রতিবেন প্রদান করে। পরে সে স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর সে আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়।